হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ এর নমুনা কপি

আজকের আর্টিকেলে আমরা হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ এর নমুনা কপি কিভাবে লিখতে হয় সেটা সম্পর্কে জানতে পারবো। বিবাহ যে কতটা পবিত্র সম্পর্কের সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে সবাই প্রচলিত নিয়মে বিবাহ করেন। বিভিন্ন সমস্যার কারণে অনেকেই কোর্ট ম্যারেজ করে থাকে। হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ এর নমুনা কপি –

কোর্ট ম্যারেজ কি?

কোর্টে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট এর সামনে আইনি পদ্ধতিতে বিবাহ কার্য সম্পাদন করাকে সাধারণত কোর্ট ম্যারেজ বলা হয়। এক্ষেত্রে বর ও কনে কে 200 টাকা দিয়ে হলফনামা কিনে তাতে ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষর প্রদানের মাধ্যমে বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়।

আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে সম্পন্ন হয়ে থাকে। কোর্ট ম্যারেজ এর ক্ষেত্রে অনেকসময় আমরা নমুনা কপি কিভাবে লিখতে হয় সেটি জানিনা। ফলে আমাদের এক জন থাকে আরেকজনের কাছে যেতে হয় লিখিয়ে নেওয়ার জন্য। আর তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি হিন্দুদের কোর্ট ম্যারেজ এর একটি নমুনা কপি নিচে লিখে দিচ্ছি, নিচের নিয়ম অনুযায়ী আপনিও আপনার টা লিখতে পারবেন।

হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ এর নমুনা কপি:

বরাবর, নোটারি পাবলিক ওর কার্যালয়, ঢাকা।
– বিবাহের হলফনামা –
আমরা (ক) ____ ,জন্মতারিখঃ ___ইং, পিতাঃ ___, মাতাঃ___ , গ্রামঃ ___, জেলাঃ ___, ডাকঘরঃ ___, ধর্মঃ ___, জাতীয়তাঃ ___।
এবং
(খ) ____ ,জন্মতারিখঃ ___ইং, পিতাঃ ___, মাতাঃ___ , গ্রামঃ ___, জেলাঃ ___, ডাকঘরঃ ___, ধর্মঃ ___, জাতীয়তাঃ ___।

আমরা যৌথভাবে হলফনামার দ্বারা ঘোষণা করিতেছি যে,
১ । আমি ___ একজন প্রাপ্তা বয়স্কা নারী এবং আমার বিবাহের ব্যাপারে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ন ক্ষমতা সম্পন্ন বটে । আমি ___ কে দীর্ঘদিন যাবৎ চিনি ও জানি । আমাদের উভয়ের দীর্ঘদিনের পরিচয়ে গভীর ভালবাসায় রুপান্তরিত হইয়া আত্নার সম্পর্ক গড়িয়া উঠিয়াছে । আমরা উভয় উভয়কে স্বামী – স্ত্রী রুপে বরণ করিয়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । আমি ___ এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইয়া তাহাকে স্বামী হিসাবে বরণ করিয়া নিলাম । স্বামীর সুখ দুঃখের সাথী হইয়া দাম্পত্য জীবনে সুখের নীড় গড়িয়া তুলিব।
২। আমি ___ একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন সুপুরুষ এবং আমার বিবাহের ব্যাপারে যে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্ন ক্ষমতা সম্পন্ন বটে । আমি আমার প্রিয়তমা ___ কে ভালবাসা দিয়া আমাদের সংসার জীবন সুন্দর ও সুখময় করিয়া তুলিব ।
৩। আমাদের বিবাহের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে বাহিরের কোন হস্তক্ষেপ ছলচাতুরী বা কোন প্রভাব বিস্তার লাভ করে নাই । আমরা স্বেচ্ছায় , স্বজ্ঞানে , সুস্থ্য শরীরে , একে অন্যকে মনে প্রানে ভালবাসিয়া বিশ্বাস করিয়া স্বামী স্ত্রীরুপে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইলাম ।

বিঃদ্রঃ খালি ঘর গুলোতে আপনি আপনার আসল তথ্য গুলো দিন। আসল তথ্য দিয়ে পুরোটা লিখলে আপনার আবেদন হয়ে যাবে।

আশা করছি আর্টিকেলটা আপনাদের উপকারে এসে থাকবে। এই বিষয়ে কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন, শেষ করছি এইটুকুতেই, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

9 Comments

মন্তব্য করুন