হিসাববিজ্ঞান প্রক্রিয়ার পর্যালোচনা সম্পর্কিত তথ্য

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমি ও ভালো আছি। আজ আমি আলোচনা করবো হিসাববিজ্ঞান সম্পর্কিত কিছু তথ্য নিয়ে, চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
উপস্থাপনাঃ- ব্যাবহারকারীদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন তথ্য উপাও সরবরাহ করা আর্থিক হিসাব বিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশ্য। বর্তমান এবং সম্ভব্য বিনিয়োগকার, পাওনাদার ও ঋনদাতাদের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ব্যাবহারকারীগণ ব্যাবসার মুনাফাযোগ্যত,, ভবিষ্যতে নগদ প্রবাহ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়। প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণ  এবং উহাতে উপস্থিত তথ্যের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকারী সংশ্লিষ্ট নোট সমূহ তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে। এসব তথ্যের বিষয়বস্তু ও উপস্থাপনার ধরণ প্রতিষ্ঠানের খেয়াল খুশি মতো হলে তাতে ব্যাবহারকারীগণের মন্দ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হিসাববিজ্ঞানের অর্থওসংজ্ঞাঃঃঃ-
কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কোন সময়কালের যাবতীয় আর্থিক কার্যাবলী থেকে উদ্ভূত লেনদেনসমূহকে সুষ্ঠ, সুন্দর, ও সুশৃঙ্খলভাবে হিসাবের বইতে লিপিবদ্ধকরণ ওশ্রেণীবিন্যাসের মাধ্যমে আর্থিক ফলাফল নির্ণয় ও আর্থিক অবস্থা নিরূপণ এবং উহাদের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে সেগুলোকে তথ্য ব্যাবহারকারীর নিকট প্রতিবেদন অনুযায়ী পেশ করার প্রক্রিয়া বাকৌশলকে হিসাববৈিজ্ঞান বলা হয়।
A.W.Johnson এর মতে, অর্থের অংকে পরিমাপযোগ্য কারবারি লেনদেনসমূহ সংগ্রহ, সংকলন, সুশৃঙ্খলভাবে লিপিবদ্ধকরণ, আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুতকরণ,  সেগুলোর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থাপনায় তথ্য ও দিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য ঐসব প্রতিবেদন ব্যবহারকরণকে হিসাববৈিজ্ঞান বলা হয়।
হিসাব প্রক্রিয়ার অর্থ ও সংজ্ঞাঃঃঃ-
প্রতিটি হিসাবকালে হিসাব সংক্রান্ত কার্যক্রমের পর্যায়ক্রমিক আবর্তনকে হিসাব প্রক্রিয়ার বলা হয়। বিকল্প অর্থে হিসাবকালের প্রথম তারিখ হতে শেষ তারিখ পর্যন্ত যে কার্যক্রমে হিসাববিজ্ঞানের ছকে বাঁধা কার্যাবলী সম্পাদন করা হয় এবং উক্ত কার্যক্রম ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী জীবন পর্যন্ত চলতে থাকে তাকে হিসাব প্রক্রিয়া বলা হয়। কারবারি লেনদেন সনাক্তকরণ ও লিপিবদ্ধকরণের মাধ্যমে হিসাব প্রক্রিয়ার কার্যক্রম শুরু হয় এবং শ্রেণীভুক্তকরণ, আর্থিক বিবরণী প্রস্তুতকরণ ও আর্থিক বিবরণীর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে শেষ হয়। একটি বছরের শেষ দিনের সম্পত্তি ও দায় সমূহকে পরবর্তী বছরের শুরুতে প্রারম্ভিক জাবেদার মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করে পরবর্তী বছরের হিসাব প্রক্রিয়ার একই ধারায় আাবর্তীত হয়। এভাবে বছরের পর বছর চলতে থাকে এবং প্রতিটি বছর বিগত বছরের মতো একই ধরনের কাজ চলতে থাকে।
হিসাব প্রক্রিয়ার ধাপ সমূহঃঃ-
একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব সংক্রান্ত কার্যাবলীর ধারাবাহিক ধাপে প্রকাশকরণকে হিসাব প্রক্রিয়া বলা হয়। বিভিন্ন হিসাববৈজ্ঞানিক হিসাব প্রক্রিয়ার ধাপসমূহকে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আধুনিক হিসাববিজ্ঞানে হিসাব রক্ষকের কাজকে সহজতর করার জন্য এবং হিসাববিজ্ঞান অনুশীলনের জন্য প্রচলিত ধারণা বিশ্লেষণ করে সর্বজন স্বীকৃত হিসাববিজ্ঞান নিতীমালাকে অনুসরণ করা হয়েছে। সকল ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেরই হিসাব সংক্রান্ত একটি বিভাগ থাকে যাকে ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠানের মেরুদন্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হিসাব বিভাগ ব্যাবসায়ীক লেনদেন সমূহকে লিপিবদ্ধ এবং আয় ব্যায় সমূহ চিন্হত করে থাকে। ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান মুনাফার জন্য আয়ের উপর নির্ভরশীল হয় এবং ব্যায় এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান সচল থাকে। আর্থিক অবস্থার উপর কারবারের ভবিষ্যৎ মুনাফাযোগ্যতা এবং স্বচ্ছলতা নির্ভর করে। আর এইসব কিছুর জন্য সুষ্ঠ এবং সঠিক ভাবে লেনদেনসমূহ লিপিবদ্ধ করা এবং তার ফলাফল নির্নয় করা অপরিহার্য। লেনদেনের লিপিবদ্ধকরণ এবং ফলাফল নিরূপণ প্রক্রিয়া ধারাবাহিক ভাবে কয়েকটি ধাপ অনুসরণের মাধ্যমে শেষ হয়।
ধাপসমূহঃ
১/লেনদেন ও অন্যান ঘটনা সনাক্তকরণ
২/জাবেদাভূক্ত করণ
৩/খতিয়ানভূক্তকরণ
৪/রেওয়ামিল প্রস্তুতকরণ
৫/সমন্বয় দাখিলা
৬/সমন্বিত রেওয়ামিল

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন