মেসেঞ্জার এ মেসেজ ফরওয়ার্ডিং এর সুবিধা অনেক। এর মাধ্যমে এক বন্ধু থেকে আরেক বন্ধুর কাছে সহজেই কোন কিছু ফরওয়ার্ড করা যায়। অনেক সময় আমরা আমাদের বন্ধুদের কাছ থেকে অনেক রকমের মেসেজ পেয়ে থাকি। এবং মেসেজের শেষে লেখা থাকে এই মেসেজ টা অনেক জন কে forward কর। আসুন আজ জেনে নেই এই রকমের মেসেজ দেখলে কি করণীয়।আমার কাছে একদিন একটা মেসেজ এসেছিল যে কক্সবাজারের একটা মিয়ে নাকি কুরআন শরীফের উপর পা দিয়ে দাড়িয়েছে। এই মেসেজ টা 100 জন কেফরওয়ার্ড কর আর কাফির হলে চুপ থাকো।। একটু পর আবার আরেক টা মেসেজ দেখলাম যেখানে ওই একই জিনিস লেখাছিল। পর পর আরো লোক এই মেসেজ পাঠাল।এই মেসেজ টা আমাকে 45+ লোক পাঠিয়েছে।
আমি তো অবাক। এই একটা বিষয় এত তাড়াতাড়ি ভাইলাল হল। আমি সবাই কে বলছি যে আমি free ফেসবুক ইউজ করি। আমার ফোনে messenger app নাই। আমার বন্ধু মেহেদী আমাকে বলল যে আমি যেন সবাইকে কপি করে এই মেসেজ টা সবার কাছে পাঠিয়ে দেই। অজ্ঞতা ! তাই করলাম।কিছু দিন পরে আমি যখন একটা নিউজপোর্টাল এ খবর পড়ছিলাম তখন আমার চোখে পরলো একটা খবর ।”ফেসবুক ভুয়া তথ্য ছড়ানো সেই যুবক গ্রেফতার”। তাকে প্রশ্ন করা হলে কেন সে এমন করেছে?
উত্তরে সে জানায় ওই মেসেজ সবাইকে forward করলে তার ওই মেসেজ ভাইরাল হলে যাবে এই জন্যে সে ওই মেসেজ বানিয়েছে। কিন্তু তার ফল যে এত বড় হবে টা সে ভাবেনি।আবার কিছু দিন আগে আমার কাছে আরেকটা মেসেজ এসেছে । মেসেজটা এইরকম; ফেসবুকে অতিরিক্ত ফেক আইডির কারণে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও আরো কয়েকটি দেশের আইডি তারা ইনএক্টিভিটির কারণে বন্ধ করে দিচ্ছে। আর একবার আইডি বন্ধ হয়ে গেলে তা আর ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
তাই আইডি ডিসেবল হওয়া থেকে বাচার জন্য বাংলায় এই মেসেজটি ২৫ জনের কাছে ফরওয়ার্ড করুন। সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হবে আপনার আইডিটি এক্টিভ। আর যদি না পাঠান তাহলে আপনার আইডিটি ফেক বলে গন্য করে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
From Messenger End From the owner of Facebook
Mark Zuckerbarg , এইটা আবার আরেকটা ভাইরাল হওয়া মেসেজ। এই মেসেজ ভাইরাল হবার পর বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি জুকারবার্গের কাছে যায় এবং এই ব্যাপার টা খুলে বলতেই তিনি বলেন যে এমন কোন কর্মকান্ড এর সাথে ফেসবুক জড়িত নয়।
যাই হোক আপাতত এই গুজব ছড়ানো লোক টিকে ধরার অভিযান চলছে।
এবার আসি আসল কথায়।
ইন্টারনেট জগতে যে সব তথ্য সঠিক তার কোন ভরসা নেই। অনেক তথ্য আছে যা আপনাকে হুমকির মুখেও ফেলতে পারে। তাই এইসব আজগুবি টাইপের কোন মেসেজ ফরওয়ার্ড না করে চুপচাপ ওই মেসেজটা ডিলেট করেদিন।
মেসেজ ফরওয়াডিং করার সবচে ভয়ংকর দিকটা ত বলিনি।
এবার সেটা সম্পর্কে কিছু কথা বলা যাক।
আপনি কি জানেন? যে মেসেজ গুলো আপনার কাছে ফরওয়ারড হয় তার মধ্যে অনেক রকমের জাভা কোড থাকে ,এর মধ্যে আবার অনেক জাভা কোড আছে যা হ্যাকাররা আপনাদের কাছে পাঠায় এবং আপনি খুশিতে গদগদ হয় অন্যের কাছে forward করেন। আর এসব মেসেজের বেশির ভাগ মেসেজ এমন হয়:
এই মেসেজ টা ১০০ জন কে ফরওয়র্ড কর ইনশাআল্লাহ তুমি ২ মিনিটের মধ্যে ভালো খবর পাবে।
আমরা ভবি এমন বিষয় ত আচ্ছা করছি! জাভা কোড কিনবেন কি ভাবে:
প্রথমে wps office নামের একটা Google play store থেকে ডাউনলোড করুন। তার পর যদি এমন কর মেসেজ আসে তাহলে তা কপি করে wps office নামের ওই অ্যাপ এ পেস্ট করে দিন। যদি এমন আসে:
তাহলে বুজবেন যে ওই মেসেজ ত আসলে ছদ্মবেশে জাভাকোড। প্রায় ১০% জাভা কোড বাবানো হয় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকারদের জন্য।27% হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার দের জন্য ও বাদবাকি নিষ্ক্রিয়। এখন থেকে যদি কেউ কোন সুন্দর মেসেজ ফরওয়ার্ড করে তাহলে তার মেসেজটি ডিলেট করে আমাদের এই পোস্টটি তার সাথে শেয়ার করুন ।ধন্যবাদ।