আসলামুওয়ালাইকুম পাঠক ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন আপনারা ? আশাকরছি মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে আপানরা সবাই
ভালোই আছেন। আমি আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতে ভালো আছি।
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা আমদের মধ্যে যার যারা মুভি লাভার রয়েছেন বা মুভি দেখতে পছন্দ করেন। আজকের কন্টেন্টা মূলত তাদের জন্যই। কারন আজ আমি আপনাদের কাছে নতুন একটি মুভি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি মুভিটি আপনাদের পছন্দ হবে। চলুন তাই দেরি না করে শুরু করা যাক।
মুভির নামঃ Thappad
মুভিটি মুক্তি পায় ২০২০ সালের ২৭ই ফেব্রুয়ারি। মুভিটি অনলাইন প্লাটফর্ম আম্যাজন প্রাইমে মুক্তি পায়।
২ঘন্টা ২২মিনিটা এর মুভিটিতে অভিনয় করেছেন তাপসী পানু, অভিনয় করেছেন দিয়া মির্জা, এছারাও রাত্না পাঠাক, কুমুদ মিশরা সহ আরও অনেকেই অভিনয় করেছেন এই মুভিটিতে।
চলুন মুভিটির মূল কাহিনির দিকে যাওয়া যাক।
দিল্লির চেনা পরিবারের এক মেয়ে, ক্লাসিকাল ডান্স জানা মেয়ে অমৃতা। জীবন অন্য খাতে বইতেই পারত, কিন্তু সেরা গৃহবধূ হওয়াই ছিল তাঁর স্বপ্ন। সে কারণে নাচও ছেড়ে দেওয়া। বিক্রমও ভালো মানুষ। কেরিয়ার নিয়ে সদা ব্যস্ত। যদিও অফিসের রাজনীতির শিকার হলে সেই ঝাল মিটত স্ত্রীর উপরেই। সেরকমই একদিন পার্টিতে স্ত্রীর গালে এক চড়! আর তাতেই জীবন একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি বদলে যাওয়া। স্ত্রীকে ভালোবাসে বিক্রম, কিন্তু কেরিয়ার তৈরির নেশায় শয়তান হতেও বাধ সাধে না সে। ছবিতে তাপসীকে দেখা যাবে উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের উচ্চ শিক্ষিত নারীর ভূমিকায়, যাঁকে বাধ্য করা হয় স্বামী গায়ে হাত তোলার পরও তাঁর সঙ্গে সংসার টিকিয়ে রাখতে। অমৃতা চুপ করে থাকাতেই বিশ্বাসী। কিন্তু আচমকাই সেই চড়ের পর থেকে ভিতরে ভিতরে বদল হতে শুরু করে তাঁর। কষ্ট, অভিমান, রাগ, সব মিলে এক অন্য অমৃতার জন্ম হয়। পাশে অমৃতা পেয়ে যান তাঁর বাবাকে। আর তারপরই শুরু আসল নাটক।
এই ছবি তৈরি করে অনুভব সিন্হা সমাজের গালে কষিয়ে থাপ্পড় মেরেছেন। তিনি দেখাতে পেরেছেন গার্হস্থ্য হিংসার আয়নাকে। বিয়ের পর যেখানে বার বার বলা হয়, লোকে কী বলবে বা সংসার অনেক বেশি গুরুত্বের, তেমন নানা প্রচলিত কথার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে এই ছবি। নারীরা অবলা নয়, বরং প্রয়োজনে তাঁরা গর্জে উঠতেও দ্বিধা বোধ করে না সেটাই পরিচালক তাপসী পান্নুর মধ্য দিয়ে দেখিয়েছেন। পরিচালক ও তাপসীর মেলবন্ধনই এই সিনেমার ইউএসপি। স্বামীর সঙ্গে সুখী দাম্পত্য কাটানোর সময় তাপসী যেমন স্বাভাবিক, থাপ্পড় খাওয়ার পর তাঁর রাগ-ঘৃণা-অবজ্ঞা-প্রশ্ন ভীষণ অনায়াস। বিশেষ করে তাঁর মুখের ওই সংলাপ যা বারেবারে ঘুরেফিরে এসেছে ছবির বিভিন্ন মুহূর্তে, অমৃতা বলেছেন, ‘সির্ফ এক থাপ্পড়? নেহি মার সকতা! (শুধু একটা থাপ্পড়? মারতে পারে না)।’ গলার স্বরের ওঠাপড়া, অভিমান, অপমান, জেদ মিলেমিশে একাকার হয়ে জীবন্ত অমৃতা তিনি, যা অবশ্যই মুগ্ধ করবে দর্শকদের।