ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়টি প্রাচীনকাল থেকে বেশ সম্মানীয় ও লাভজনক পেশা হিসেবে প্রচলিত হয়ে আসছে। সময়ের সাথে সাথে বেড়ে উঠছে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা। একটা সময় অনলাইন ব্যবসায়ের কোনো প্রচলন ছিলনা ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান এর মত দেশগুলোতে। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন এসব দেশেও সময়ের সাথে সাথে অনলাইন ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটছে।
ব্যবসা করার আগে আমাদের নিশ নির্ধারণ করতে হয়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্যবসার শুরুটা কম পুঁজিতে করতে চেয়ে থাকেন। এ কারণে আজকের আর্টিকেল দ্বারা আমরা জানব কম পুঁজিতে কয়েকটি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। যদি আপনি অনলাইনে কম পুঁজি বিনিয়োগ করে নিজের বাণিজ্য শুরু করতে চান তবে আপনার জন্য এই নিশ গুলো বেশ লাভজনক প্রমাণিত হতে পারে। তবে চলুন শুরু করা যাক।
কম পুঁজির কয়েকটি অনলাইন ব্যবসার আইডিয়াঃ
১. অনলাইনে কোর্স বিক্রি করুন: অনেকে ভাবতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে কোর্স বিক্রি করা কিভাবে ব্যবসায়ের আওয়াতাই আসবে? এক্ষেত্রে আপনার কাজ হলো আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। এরপর যারা বিভিন্ন কোর্স করায় তাদের থেকে আপনি কোর্স গুলো নিন। পরবর্তীতে সেই কোর্স বিষয়ে একটি আর্টিকেল আপনি আপনার ওয়েবসাইটে পাবলিশ করুন। আপনার সাইটে এসইও করার মাধ্যমে ভিজিটর নিয়ে আসুন। এরপর আপনার সাইটে আসা লোকেদের থেকে যত জন কোর্স গুলো কিনবে সে বাবদে আপনি কিছু কমিশন মূল কোর্সের মালিক থেকে নিতে পারেন।
এই প্রক্রিয়ায় তার বানানো কোর্স আপনি আপনার সাইট দ্বারা বিক্রি করবেন, এর ফলে আপনি কোর্স মালিক থেকে কিছু টাকা নিচ্ছেন। দ্বিতীয় উপায় হিসেবে বলা যায়, আপনি নিজেই বিভিন্ন কাজ শিখে সেগুলোকে সুন্দর মত সাজিয়ে একটি কোর্স তৈরি করে ফেলতে পারেন। এরপর সেগুলো থেকে আয় করতে পারেন। কম পুঁজিতে বেশ লাভ করা সম্ভব এই ব্যবসা থেকে। এতে অন্যের লাভের পাশাপাশি আপনিও লাভ করতে পারবেন।
২. অনলাইনে টি-শার্ট বিক্রি: আপনি হয়তো জানেন না প্রতিনিয়ত অনলাইন শপ গুলোতে টি-শার্ট বিক্রির পরিমাণ অনেকটা বেশি থাকে। প্রত্যেক ছেলেরাই টি-শার্ট পরিদান করে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত তারা নিত্যনতুন গেঞ্জি বিভিন্ন শপ থেকে ক্রয় করে। অনলাইন থেকে কেনাকাটার অভিজ্ঞতার জন্যে অনেকে এক বারের জন্য হলেও অনলাইন থেকে টি-শার্ট কিনে থাকে। সল্প পুঁজিতে এই ব্যবসা করে আপনি ভালো অংকের আয় করতে পারবেন পাশাপাশি নিজের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন।
৩. এফিলিয়েট মার্কেটিং:
এফিলিয়েট মার্কেটিং এক প্রকার অনলাইন ব্যবসা। যেটিতে একদমই সল্প বিনিয়োগ করে আপনি অর্থ আয় করতে পারেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি, ডোমেইন, হোস্টিং, প্রিমিয়াম থিম এর প্রয়োজন হবে। সব মিলিয়ে মাত্র ৫-১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে আপনি শুরু করতে পারবেন।
পরবর্তীতে আপনার কাজ একটি নিশ বাছাই করে সেটি নিয়ে উপকারী কনটেন্ট লেখা। এরপর কোনো এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে পণ্যের লিংক নিয়ে আপনার কনটেন্ট এর সাথে জুড়ে দেওয়া।
আপনার সাইটে আসা ট্রাফিক থেকে কেও ঐ লিংক ক্লিক করে পণ্য ক্রয় করলেই আপনি কমিশন পাবেন। এই প্রক্রিয়ায় বর্তমানে হাজারো মানুষ আজ করছেন।
৪. ব্লগিং
যারা ব্লগিং কে ব্যবসা হিসেবে নেন তারা প্রফেশনাল ভাবে এটিকে শুরু করে থাকেন। কেননা এটি ও এক প্রকার লাভজনক অনলাইন বিজনেস আইডিয়া।
ব্লগিং এর ক্ষেত্রে মাত্র ২-৩ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে আপনি ব্যবসা আরম্ভ করতে পারবেন। যদি আপনার ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি লাভজনক নিশ নিয়ে ইংরেজি আর্টিকেল পাবলিশ করে ভালো অর্থ আয় করতে পারবেন ব্লগিং করে।
৫. ডোমেইন ও হোস্টিং ব্যবসা
বর্তমানে ছোট বড় সকল প্রতিষ্ঠান তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কাজের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকছে। এক্ষেত্রে তাদের সাইটের জন্য অবশ্যই ডোমেইন এবং হোস্টিং এর প্রয়োজন হয়।
তবে আমাদের দেশে এখনও খুব বেশ কোম্পানি নেই যারা ডোমেইন এবং হোস্টিং প্রদান করেন। হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি আছেন।
এক্ষেত্রে ভালো সার্ভিস এর সাথে আপনি যদি ডোমেইন এবং হোস্টিং ব্যবসা শুরু করেন আপনি বেশ লাভ করতে পারবেন।
সর্বশেষ পরামর্শ
বন্ধুরা এই ছিল আপনাদের জন্য ৫ টি কম পুঁজির অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া।
যারা অনলাইনের দ্বারা নিজের বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন তাও কম পুঁজিতে তাদের জন্য এই ব্যবসা উত্তম হবে। আর্টিকেলটা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট করে জানাবেন, আল্লাহ হাফেজ।