ইরানের চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি বেশ সমৃদ্ধ। আমাদের দেশীয় টিভি ইন্ডাস্ট্রি ইরানি নাটক বাংলায় প্রচার করেই টিকে আছে বলা চলে। ইউসুফ জুলেখা, সেহেরজাদ ফরহাদ এর মতো নাটক আমাদের দেশে পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। তো যাই হোক আজ কথা বলবো মুসলিম বিশ্বের প্রথম অস্কার জয়ী সিনেমা এ সেপারেশন নিয়ে।
এ সেপারেশন
বছর: ২০১১
দেশঃ ইরান
পরিচালকঃ আশগর ফরহাদী।
লেখকঃ আশগর ফরহাদী।
স্রটিং: লাইলা হাতামি, পেমন মোয়াদি, শাহাব হোসেইনি, সারেহ বায়াত।
অতি সাদামাটা একটি গল্প আহামরি কিছুনা যেই গল্প হয়তো আমাদের আশে পাশেই প্রতিনিয়ত ঘটে থাকে। এটাই ইরানের বিশেষত্ব অতি সাধারণ গল্পেকে পর্দায় খুবই নিখুঁত ভাবে তুলে ধরতে পারে। নেই কোন গান, ডায়লগবাজি, কমেডি বা অ্যাকশন। তারপর ও অদ্ভুত একটি ভালো লাগা কাজ করে ইরানি সিনেমার প্র্রতি।
তো গল্প শুরু হয় সিমিন নামের একজন নারীকে নিয়ে। ইরান থেকে সে অন্য দেশে চলে যেতে চান নিজের মেয়ে তারমেহ এর উচ্চ শিক্ষার জন্য। কিন্তু তার স্বামী তার অসুস্থ বাবা কে ছেড়ে কোথাও যেতে রাজি নয়। এই নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি শুরু হয় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যা পরবর্তীতে আদালতে তাকাল পর্যন্ত গড়ায়। আদালতে এই বিষয়ে তালাকের আপিল হলে বিচারক তাদের তালাকের লিগান কোন কারন না পেয়ে আপিল খারিজ করেন।
এরপর সিমিন মেয়েকে রেখে তার বাপের বাড়ি চলে যায়। সিমিনের যাবার পর তার সময় বৃদ্ধ বাবার ও বাসার খেয়াল রাখতে এক জন মহিলাকে বাসায় নিয়ে আসে। মহিলাটির ছোট একটি মেয়ে ছিল।
কিছুদিন কাজ করার পর মহিলাটি একদিন হটাৎ নিজের মেয়ে কে নিয়ে সিমিনের শশুরকে একা বাসায় তালা মেরে চলে যায় ডাক্তার এর কাছে। সিমিনের স্বামী তার মেয়েকে নিয়ে বাসায় আসলে দেখেন বাসায় তালা মারা। ঘরে ঢুকে দেখেন তার বাবা অজ্ঞান হয়ে গেছেন। এই ঘটনাটি দেখে সিমিনের স্বামী অনেক রেগে যায়। কাজের মহিলাটি ফেরত আসলে সে তাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। কিছু সময় পর জানতে পারে সেই কাজের মহিলাটি হাসপাতাল ভর্তি আছেন এবং তিনি গর্ভবতী ছিলেন। সিঁড়ি থেকে পরে যাবার কারণে তার বাচ্চা মারা গেছে। এর পর সিমিনের স্বামীকে পুলিশ হত্যার চার্জ দিয়ে গ্রেপ্তার করে।
এখন কি করবে সিমিন? তার সময় কি ছাড়া পাবে? আর তার স্বামীর সাথেও কি তার সম্পর্ক ঠিক থাকবে? জানতে হলে দেখে নিন সিনেমাটি। আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলছি। জীবনে ১ বার হলেও এমন মুভি দেখা উচিত। আমাদের ব্যস্ত যান্ত্রিক জীবনে এমন মুভি কিছুটা হলেও শান্তি শিক্ষা দুটিই দেবে।
আশা করি আমার লেখা ভালো লেগেছে। কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী। সবাই ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।