আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমরা সবাই বর্তমান সময়ে আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটিকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এন্ড্রয়েড ফোন বর্তমানে আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই অ্যান্ড্রয়েড ফোন পেছনে ফেলে দিয়েছে পুরনো আমলের সকল ফিচার ফোনকে।
কিন্তু আসলেই কি তাই হয়েছে? প্রত্যেক জিনিসের যেমন কিছু সুবিধা আছে তেমনি রয়েছে অসুবিধা। যা আমরা অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করে আসছি। ফিচার ফোন গুলো এত তাড়াতাড়ি বিদায় নেওয়ার পাত্র নয়। তারাও সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পাল্লা দিয়ে চলছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে পিছনে ফেলার। যদিও আমাদের কাছে এটিকে মনে হতে পারে অসম্ভব কল্পনা কিন্তু এই অসম্ভব কল্পনাতেই সম্ভব করার জন্য আগমন ঘটে ফিচার ফোন জগতের একটি অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার Kaios।
Kaios:
নামটি আমাদের অনেকের কাছেই পরিচিত আবার অনেকেই এর সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা রাখি না। বর্তমান সময়ে অনেকটা অদ্ভুত ভাবেই এই অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসে। যে সময় মানুষ অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে পাওয়ার জন্য এবং তার প্রতিটি নতুন মডেল কে আরও উন্নত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তখন এই অপারেটিং সিস্টেম লঞ্চ করা হয় ফিচার ফোনের জন্য। জিনিসটা অনেকটা অদ্ভুত মনে হলেও এই অপারেটিং সিস্টেমটি জনমনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এটি একটি লিনাক্স বেজড অপারেটিং সিস্টেম। হংকংয়ের একটি প্রতিষ্ঠান এর নির্মাতা।২০১৭ অর্থাৎ পাঁচ বছর আগে এই অপারেটিং সিস্টেমটি বিশ্ববাজারে লঞ্চ করা হয়। আর অপারেটিং সিস্টেমটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় ব্যাপারটি হলো যখন মানুষ অ্যান্ড্রয়েডের জন্য বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম খুঁজে বেড়াচ্ছে তখন এই অপারেটিং সিস্টেম বের হয় ফিচার ফোন ব্যবহারকারীদের জন্য। বিষয়টি মানুষদেরকে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেয়। এর আরো কয়েকটি আকর্ষণীয় ব্যাপার হল:
এতসব সুবিধা প্রদান করার ফলে এটি ফিচার ফোন জগতের একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং অতি আকর্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে নকিয়া সহ বিভিন্ন নামিদামি ব্রান্ডের ফোন তাদের ফিচার ফোন গুলোতে এই অপারেটিং সিস্টেম দেওয়ার চেষ্টায় নিয়োজিত আছে।
আমরা যারা এখনো ফিচার ফোন ব্যবহার করতে ভালোবাসি তাদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফিচার ফোন কেনার ক্ষেত্রে যদি আমরা Kaios এর বিষয় মাথায় রেখে ফোন ক্রয় করি তবে কখনোই আমাদের হতাশার সম্মুখীন হতে হবে না আশা করা যায়।