বর্তমান এই বিশ্বে দিন দিন টেকনোলজির চাহিদা অধিক পরিসরে রেড়েই চলছে। এই চাহিদা বৃদ্ধির পিছনে অনেক কারনও রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম একটি কারন হলো নিত্য প্রোয়জনীয় কাজগুলো সহজেই সম্পন্ন করা, এবং এই টেকনোলজির একটা বড় অংশ জুড়ে আছে মোবাইল টেকনোলজি। এর কারন যদি আমরা খুজতে যাই তবে দেখবো যে বর্তমানে আমরা মোবাইল কিংবা ট্যাবলেট ছাড়া একটা মূহুর্তও ভাবতে পারি না।
যদি আজ থেকে ৫০ পূর্বের দিনগুলোতে লক্ষ্য করি তবে দেখতে পাবো যে তখন মানুষ যেকোনো বার্তা পাঠানোর জন্য কত ভোগান্তি করত। প্রথমে কবুতর দিয়ে বার্তা পাঠানো হত এরপর আসলো পোস্টম্যান যার মাধ্যমে বার্তা কিংবা চিঠি পাঠানো হত, তবে এই ধারনাকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে মোবাইল উদ্ভাবন করার মাধ্যমে। মোবাইল আবিষ্কার এর ফলে মানুষ ঘরে বসেই কিংবা দেশের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত সহজেই যোগাযোগ করতে সক্ষম হল। যা একটি বড় কারন এই টেকনোলজিকে অধিক গুরত্ব প্রধান করার।
মানুষ এখন নিত্য দিনের কিংবা নিত্য প্রোয়জনীয় কাজগুলো আরও সহজেই সম্পন্ন করতে অধিক গুরত্ব দিচ্ছেন এই টেকনোলজিকে। যেটিকে বেস করে কোম্পানিগুলো বাজারে নিয়ে আসলে একে আধুনিক সব মোবাইল টেকনোলজি, এবং এর মধ্যে অন্যতম একটি ট্যাবলেট কিংবা প্যাড ।
যা বৃহও আকার এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কারনে বাজারে নিজের শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে স্মার্ট ফোনের পাশাপাশি। বর্তমানে যদি মানুষ প্যাড কিংবা ট্যাবলেট ক্রয়ের কথা চিন্তা করে তবে সর্বপ্রথমই যেই নামটা আসে কিংবা মানুষ আস্থা পায় তাহলো আই প্যাড। আজ আমরা জানব কেন এই আই প্যাড এর জনপ্রিয়তা এত বেশি এবং কোন বিষয়গুলো আমার বিবেচরা করা উচিত একটি আই প্যাড ক্রয়ের পূর্বে? এছাড়াও বাংলাদেশ এর বর্তমান ল্যাপটপ বাজারে iPad এর লেটেস্ট মূল্য জানতে ভিজিট করতে পারেন এখানে: https://mcsolution.com.bd/laptop/apple/ipad/
ডিসপ্লে
একটি ডিভাইস ডিভাইস বিবেচনার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যেই বিষয়টি আসে তা হলো এই ডিসপ্লে। অবশ্যই ক্রয়ের পূর্বে আপনার একটি ভালো ডিসপ্লে নিশ্চিত করতে হবে, যাতে করে সর্বচ্চো ভিজুয়্যাল কোয়ালিটিটা নিশ্চিত করতে পারেন। এবার যদি আসি iPad এর ডিসপ্লে এবং ভিজুয়্যাল সক্ষমতায় তবে আমরা দেখতে পাবো যে বেশিরভাগ আইপ্যাড এ ডিসপ্লে হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে Retina display এবং কিছু উচ্চ রেঞ্জের ডিভাইসগুলোতে ডিসপ্লে হিসেবে দেওয়া হয়েছে Retina XDR Display. যেই ডিসপ্লেগুলি অনেক পারফর্ম করে আসছে পূর্বে থেকেই। অ্যাপেলের iPad গুলোতে সর্বনিন্ম 2160×1620 হতে সর্বচ্চো 2732 x 2048 পর্যন্ত ডিসপ্লে প্রদান করা হয়েছে। যা যথেষ্ট একজন ইউজারকে ভালো ভিজ্যুয়াল সক্ষমতা প্রদান করতে। ডিসপ্লে সেকশনে অ্যাপেল বরাবরই ভালো করে আসছে। তবে আমার দিক থেকে মনে হয় লো রেঞ্জের আইপ্যাডেগুলো আরেকটু বেশি সক্ষমতা দিলে এটি হয়তো আরো একটু বেশি সন্তুষ্ট করতে পারতো ক্রেতাদের।
প্রসেসর
প্রসেসর এমন একটা বিষয় যা প্রতিটি ডিভাইসকে ভালো কিংবা খারাপ প্রমান করতে পারে। অবশ্যই প্রতিবার ক্রয়ের পূর্বে আপনার বাজেটের উপর ভিত্তি সেরা প্রসেসর নির্বাচন করে নিতে হবে। কীভাবে সেরা প্রসেসর নির্বাচন করবেন? প্রসেসর নির্বাচন এর জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনার একটি বাজেট নিশ্চিত করতে হবে এবং অতপর আপনাকে সেই বাজেটের মধ্যে থাকা ডিভাইসগুলোর সাথে প্রসেসর এবং অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে। যাতে করে বাজেট বিবেচনায় সেরা স্পেসিফিকেশন এবং প্রসেসর নিশ্চিত করতে পারেন। তবে এর মানে এই না যে শুধু প্রসেসর ভালো হলেই ওই ডিভাইসটি সেরা অবশ্যই প্রসেসর এর পাশাপাশি অন্যান্য স্পেকগুলো কতটা অর্থযোগ্য অবশ্যই আপনাকে নিশ্চিত করে হবে তবেই আপনি একটি ভালো ক্রয় করতে সক্ষম হবেন। অ্যাপেলের iPad এ প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে A13 এবং M1 চিপ। তবে বর্তমানের বেশিরভাগ আইপ্যাডই আসে M1 চিপ এর সাথে। যা কারনেই iPad এর এত জনপ্রিয়তা বেশি, যেটিকে আর নতুন করে পরিচয় করে দেওয়া কিছু নেই।
ক্যামেরা
ক্যামেরা বলতে আমরা বুঝে থাকি র্স্মাটফোনের ক্যামেরা তবে একটি ট্যাবও যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোবাইল এর পারফর্ম করতে পারে তা সম্পর্কে হয়তো আপনি অবগত নন। ট্যাবলেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্যামেরা মূখ্য কোনো বিষয় না হলেও এটিও এমনি একটি যা আপনার বিবেচনা করা উচিত। অ্যাপেলের iPad গুলোতে পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে ৮, ১০ এবং ১২ মেগাপিক্সেলের Front এবং Rear এছাড়াও Wide এবং Ultra Wide এর ক্যামেরা। যা কোনো ক্ষেত্রে কিছু কিছু র্স্মাট ফোন থেকে অনেক ভালো পারফর্ম করে iPad এর ক্যামেরা। তবে বর্তমান মোবাইল টেকনোলজি বিবেচনা করলে আমার দিক থেকে মনে হয় ক্যামেরা মেগাপিক্সেল আরেকটু বেশি হওয়া দরকার।
স্টোরেজ
একটা মোবাইল এ যেমন স্টোরেজ বেশ একটা গুরত্বপূর্ণ বিষয় তেমনি ট্যাবলেট বা প্যাড এ স্টোরেজের গুরত্ব অনেক বরং কিছু দিক থেকৈ ট্যাব এর স্টোরেজ একটু বেশিই প্রোয়জন হয়ে থাকে । অবশ্যই করের পূর্বে আমার বাজেটের উপর ভিত্তি করে র্যাম এর সাথে কম্বিনেশন ধরে রাখতে ভালো স্টোরেজ নির্বাচন করতে হবে। যেখানে স্মার্ট ফোনের দাম ঠিক করা হয় প্রথমে প্রসেসর উপর ভিত্তি করে, ঠিক অন্যদিকে iPad এর দাম ঠিক করা হয় স্টোরেজের উপর ভিত্তি করে। আইপ্যাডে পর্যায়ক্রমে 256 GB, 512 GB, 1 TB এমনকি 2 TB পর্যন্ত স্টোরেজ অপশন রয়েছে। আপনার প্রোয়জন এবং বাজেট বিবেচনা করে বেছে নিতে পারেন সেরা স্টোরেজটি।
ব্যাটারি
মোবাইল টেকনোলজির শেষ এবং অন্যতম একটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় ব্যাটারি। অবশ্যই প্রতিটি ক্রেতার উচিত ক্রয়ের পূর্বে সেই ডিভাইসটি ব্যাটারির সক্ষমতা নিশ্চিত করা তার প্রোয়জন অনুসারে। ব্যাটারি একটি বড় ভূমিকা পালন করে একটি মোবাইল কিংবা একটি ট্যাবলেটের এর ক্ষেত্রে। স্মার্ট ফোনের ব্যাটারি mAh = A milliampere hour দ্বারা প্রকাশ অন্যদিক ল্যাপটপের ব্যাটারি বিবেচনা করা Wh = watt hour দ্বারা প্রকাশ করা হয়। iPad গুলোতে নিম্ন মূল্য হতে উচ্চ মূল্যর ভেরিয়েন্টগুলোর মধ্যে পর্যায়ক্রমে ব্যবহার করা হয়েছে 25 হতে 40.88Wh পর্যন্ত ব্যাটারি। যা আপনাকে অনায়াশে এক দিন ব্যাটারি দিতে সক্ষম। তবে হেভি ইউজার হলে একদিনে দুইবারও চার্জ দিতে হতে পারে।
আমার মতামতঃ
পূর্বে থেকেই আমরা বুঝে আসছি যে অ্যাপেল মানেই বিলাসিতা, এর কারন ছিলো কম স্পেক অন্যান্য ডিভাইস এর তুলনায় এবং উচ্চ মূল্যও বটে। তবে বিগত কয়েক বছরে অ্যাপেল এই জিনিসটাকে কিছুটা পরিবর্তন করে দিয়েছে কম মূল্য ভালো কিছু প্রোডাক্ট অফার করা দ্বারা এর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে iPad। যদি আমাকে প্রশ্ন করেন আইপ্যাড অর্থযোগ্য কিনা তবে আমি বলব আইপ্যাডকে তবে আমি বলব হ্যা আইপ্যাড ভ্যালু ফর মানি যখন আপনি M1 চিপ এর দিকে লক্ষ্যে করবেন। আরো যদি আমাকে প্রশ্ন করেন কোথা থেকে কম মূল্য অথেনটিক iPad ক্রয় করা যেতে পারে তবে আমি বলব MC Solution BD। যেখানে অন্যান্য শপের তুলনায় কিছুটা কম মূল্য প্রদান করা হয়েছে iPad এর উপরে। আপনাদের মতামতগুলো আমাকে কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।