অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক খেলোয়াড় ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। টেস্ট স্টেটাস প্রাপ্তির পরের হিসেবে ডমিঙ্গো হলেন টাইগারদের ১২তম কোচ। সদ্য সমাপ্ত বিশ^কাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আশানুরুপ না হওয়ায় চাকরি যায় স্টিভ রোডসের। তারই স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন ডমিঙ্গো। গত ৮ আগস্ট রাসেল ডমিঙ্গোর সাথে আলোচনা করে ক্রিকেট বোর্ড। তারপর থেকে কিছুটা নির্ভারই দেখা যায় ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের। কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইছিল ফুল টাইম একজন কোচ এবং বেতনও যেন হয় সাধ্যের মধ্যে। সেদিক থেকে ডমিঙ্গো ফুলটাইম সময় দিতে রাজি হন এবং তার সম্মানির অর্থটাও লাগামছাড়া নয়। তাই এবারকার মতো তার উপরই আস্থা রাখতে চাইছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও বিসিবি তারপর একে একে যোগাযোগ করেছে মাইক হেসন, এন্ড্রি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার, ফিল সিমন্স, মিকি মার্থারের ও চন্ডিকা হাতুরাসিংহের সাথে। কিন্তু তাদের সাথে বেতন ও কর্মঘণ্টার মিল না হওয়ায় ভেস্তে যায় সেই আলোচনা। ফলে ভাগ্য খুলে যায় ডমিঙ্গোর। ডমিঙ্গোর নিয়োগের ব্যাপারে বিসিবি সভাপতি বলেন ‘দলকে পূর্ণ সময় দিতে পারে এমন একজন কোচ চেয়েছি আমরা। সেটা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ডমিঙ্গো। তাই তাকেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি।’ ডমিঙ্গো বিসিবির সাথে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন-ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দূর্বার। কিন্তু ঘরের বাইরে তেমন সাফল্য পায় না। ২০২৩ সালের বিশ^কাপ ভারতে। পরিচিত কন্ডিশন। আমরা সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই এগোতে পারব। তাছাড়া শুধু জাতীয় দল নয় সময় ও সুযোগ পেলে এ দল, হাইপারফরম্যান্স ও অনুর্দ্ধ ১৯ দলকেও কোচিং করানোর ইচ্ছা আছে তার।
রাসেল ডমিঙ্গোর ক্রিকেট ক্যারিয়ার অতটা উজ্জ্বল না হলেও তার কোচিং ক্যারিয়ারে তিনি বেশ সফল। মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি যুবদলের দায়িত্ব নেন। তারপর তিনি সেদেশেরই অনুর্দ্ধ ১২,১৩ , ১৯ বি দল ও এ দলের কোচিং করান। ২০০৫ সালে দেশের সেরা ওয়ারিয়র্সের দায়িত্বও পান তিনি। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার তৎকালীন প্রধান কোচ কার্স্টেন-এর সাথে সহকারি কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেদেশের টি টুয়েন্টি দলের। পরবর্তীতে দক্ষিণ আফ্রিকার তিন সংস্করণেরই হেড কোচের দায়িত্ব পান ডমিঙ্গো। ২০১৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচের দায়িত্ব সফলভাবে পালন করেন তিনি। তার নের্তৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩টি টেস্টের মধ্যে ৮টি,২২টি ওয়ানডে সিরিজের ১৪টি, ৪২টি টি টুয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ২৩টিতে জয়লাভ করে। সে হিসেবে একজন সফল কোচকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ নিযুক্ত করেছে বিসিবি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর অনুভুতি জানাতে গিয়ে রাসেল ডমিঙ্গো বলেন। ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পাওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। দিন দিন উন্নতি করতে থাকা দলটিকে আমি চেষ্টা করব টর্গেটে পোঁছাতে । আমি বিশ^াস করি বাংলাদেশ তার লক্ষে পোঁছাবে প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়ে।
দেশের কোটি কোটি ক্রিকেট অনুরাগীরও প্রত্যাশা ডেভ হোয়াটমোর, চন্ডিকা হাতুরাসিংহের মতো সফল কোচদের উত্তরসূরী হিসেবে ডমিঙ্গোও সফল হোক । বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাক ঈর্ষণীয় উচ্চতায়।
ইংল্যান্ডের ১০০০তম টেস্ট ম্যাচে ভারতকে ৩১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম টেস্ট ম্যাচে জয়।
ক্রিকেটের জনক ইংলিশরা। নিজেদের এক হাজারতম টেস্টে ভারতকে ৩১ রানে হারিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে আরো স্মরণী করে তুললো ইংল্যান্ড। এজবাস্টনে...