আসসালামু আলাইকুম! আজকে আমি আলোচনা করব প্লেজিয়ারিজম (Plagiarism) সম্পর্কে। প্লেজিয়ারিজম কি! এইযে আমরা GRAthor এর সাইটে লেখালেখি করি, এগুলো সব ইউনিক হতে হবে। আপনি অন্য কারো সাইট থেকে কোনো টেক্সট কপি করে এখানে পোস্ট করলেন, এবং ঐ কপিকৃত টেক্সট এখানে পোস্ট করাকেই প্লেজিয়ারিজম বলে। প্লেজিয়ারিজমকে আপনি নকলও বলতে পারেন। উদাহরণস্বরুপ, আপনি একজন স্টুডেন্ট! কলেজে স্ট্যাডি করেন। পরীক্ষার ক্ষেত্রে আপনি অন্যের লেখা হুবহু কপি করে লিখলেন এই লেখাকেই নকল বলা হয়।
চেষ্টা করবেন নিজে থেকে ইউনিক কিছু লিখতে। অন্যের সম্পদ চুরি করা যেমন মারাত্মক অপরাধ, ঠিক তেমনি অন্যের সাইট থেকে লেখা চুরি করে নিজের ব্লগসাইটে অথবা এই GRAthor সাইটে লেখালেখি করা মারাত্মক অপরাধ। কর্তৃপক্ষ এর জন্য আপনার বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারেন। আপনি যার লেখা কপি করবেন, সে ইচ্ছা করলে আপনাকে কপিরাইট আইনের আওতায় আনতে পারেন। বন্ধ করুন অন্যের লেখা কপি করা, চেষ্টা করুন নিজে থেকে ইউনিক কিছু লিখতে।
এখন অনলাইনের যুগ। মানুষ এখন বলতে গেলে ২৪ ঘন্টাই অনলাইনের মধ্যে ব্যস্ত থাকে। আর এই অনলাইনের মাধ্যমে যে প্লেজিয়ারিজম ঘটে তাকে সাইবার প্লেজিয়ারিজমও বলা হয়। দুনিয়ায় সর্বপ্রথম ইংল্যান্ড “কম্পিউটার মিসইউজ অ্যাক্ট ১৯৯০” নামক একটা সাইবার আইন প্রণেতা তৈরি করে। যাতে করে কেউ অন্যের লেখা কপি করে নিজের নামে তা চালাতে না পারে। এবং ঐ ইংল্যান্ডেই ২০০৮ সালে সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে “জাতীয় ই-অপরাধ” নামে একটা ইউনিট গঠন করা হয়। ভারতে উক্ত আইন তৈরি হয় ২০০০ সালে, আর আমাদের এই বাংলাদেশে ২০০৬ সালে সাইবার অপরাধ দমনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন তৈরি হয়। তাই বুঝা গেল, প্লেজিয়ারিজম বা সাইবার প্লেজিয়ারিজম মারাত্মক অপরাধ!!!