আমরা দেখতে দেখতে আজ এই একবিংশ শতাব্দীতে হাজির হয়েছি। আর এ শতকে সবচেয়ে বড় অগ্রগণ্য ভুমিকাটি যে বিষয়টির সেটি আর অন্য কিছু নয়। অবশ্যই তা হচ্ছে ইন্টারনেট।
বর্তমান সময়টিকে ইন্টারনেটের যুগ বলা যায়। কারণ, এখন এমন কোনো একটি কাজ খুঁজেপাওয়া খুবই কষ্টকর হবে, যেটাতে কোনো না কোনোভাবে ইন্টারনেট এর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ব্যবহার নেই। অর্থাৎ, প্রায় সকল প্রকারের ক্ষেত্রেই আমরা ইন্টারনেটের প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ব্যবহার দেখতে পাবোই পাবো। এতে কোনো দিক দিয়েই বিন্দু মাত্র সন্দেহ প্রকাশের কোনো দিক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আমরা বর্তমানের সকল কাজই বর্তমানে ইন্টারনেট এর ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারছি। যেমনঃ- স্কুল এবং কলেজের যানতীয় যেকোন ধরনের তথ্য, শিক্ষার প্রয়োজনীয় সকল বিষয়াদি, চাকরির ক্ষেত্রে স্থানের প্রতি নির্ভরশীলতা কমানো, উপস্থিত না হয়েও সকল তথ্য প্রাপ্তি এবং সকল সুবিধা গ্রহণ, আগের দিনের মতো খাটাখাটনির হ্রাস প্রভৃতি সহ আরো নানা ধরনের অসংখ্য অসংখ্য উদাহরণ এখানে দেয়া যাবে। এক কথায়, উদাহরণগুলো দিয়ে শেষ করা কখনো সম্ভবপর হবে না। ইন্টারনেট এর ব্যবহার করার ফলেই মানুষের আজ এত উন্নতি এবং এর ফলেই আমরা আজ এতদূর পর্যন্ত এগিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি।
ইন্টারনেট এর বেশিরভাগ ব্যবহারেই আমরা এর সুষ্ঠু এবং সুন্দর দিকগুলোই মূলত দেখতে পাই। কিন্তু, এর মধ্যেই এটির ব্যবহার সীমাবদ্ধ নয়। ইন্টারনেটের যেমন ভালো দিকগুলো বলে শেষ করা অসম্ভব, ঠিক তেমনি খারাপ দিকের সংখ্যাটাও দিন দিন অসংখ্য রকমের বৃদ্ধির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আমরা একটু চোখ খুলে তাকালেই আমাদের আশেপাশে এই ধরনের নানান উদাহরণ দেখতে পাবো। বিশেষ করে তরুণ সমাজের বেলাতেই আসা যাক। তরুণরাই আজ বেশি ক্ষতির মুখে। তারা তাদের প্রয়োজনীয় অনেক কিছু বাদ দিয়ে সারাদিন অনলাইনে, বিশেষ করে নেতিবাচক দিকের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ধরনের ফাঁদে পা বাড়িয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছে। তবুও তাদের করুণ অবস্থাগুলো দেখেও অনেকে আবারো সেসব দিকেই আগ্রহ সৃষ্টি করে। ফলে খারাপ দিক গুলো থেকে তাদের নেশাকে সরানো অনেক যথাসাধ্য পরিশ্রমের বিষয় হিসেবে দাড় হচ্ছে প্রতিনিয়।
অনলাইনে সারাদিন গেমস খেলা, পড়ালেখা বাদ দিয়ে ফেসবুকে পড়ে থাকা – এগুলো করে যেমন অনেকের সময় অপচয় হচ্ছে, ঠিক তেমনি তাদের শারীরিক মানসিক সব দিক থেকেই নেতিবাচক প্রভাব পরছে।
এখন সকলের লক্ষ্য একটাই হিসেবে দাঁড় করানো যেতে পারে। আর সেটি হলো ইন্টারনেটের সঠিক ও নিরাপদ ব্যবহার। বক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে যেমন নিরাপত্তা খুবই প্রয়োজন, একইভাবে ইন্টারনেট এবং অনলাইনের বিভিন্ন সাইটেও নিরাপত্তার গুরুত্ব অপরিসীম। সকলেরই উচিত সর্ব ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহারের প্রতি মনোযোগ দেয়া এবং সকল খারাপ ও নেতিবাচক দিকগুলোর থেকে যথেষ্ট দূরত্ব রাখা অথবা সেগুলোর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠে সবদিকে এগিয়ে যাওয়া।
এভাবেই আমরা ইন্টারনেটের সঠিক ও নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারবো এবং আমাদের এই জাতি ও দেশকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব, ধন্যবাদ।