জিমেইল গুগলের কিছু জাদুকরী এবং কার্যকরী এপ্লিকেশনের মধ্যে অন্যতম একটি। জিমেইলের ব্যবহার সম্পর্কে জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর। পূর্বে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে চিঠিকে গণ্য করা হত। কিন্তু চিঠি আদান প্রদান করা খুবই সময়সাধ্য ব্যাপার। সেটির কথা মাথায় রেখেই জিমেইলের আবির্ভাব বর্তমানে।
জিমেইলের এর মধ্যে একসাথে অসংখ্য ইমেইল পাঠানো যায়। আপনি ঘরে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেইল পাঠানোর অন্যতম সহজ মাধ্যম হলো জিমেইল।তাছাড়া বর্তমানে অফিস আদালতে কোন ধরণের ক্লায়েন্টের সাথে অফিশিয়ালি যোগাযোগের প্রথম মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয় জিমেইলকে। তবে জিমেইলের রয়েছে নানাবিধ কার্যকরী এবং যুগান্তকারী ব্যবহার। চলুন আজ তাহলে জেনে আসি জিমেইলের নানাবিধ ব্যবহারসমূহঃ
১.একাধিক মেইল ব্যবহারঃ
আপনি একটি জিমেইলে এক বা একাধিক মেইল আইডি ব্যবহার করতে পারেন। এর প্রধান সুবিধা হলো আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য এবং কাজ কর্মের মেইল আলাদা রাখতে পারবেন।
২.মেইলের পাশাপাশি ছবিঃ
জিমেইলে আপনি শুধুমাত্র যে মেইল পাঠাতে পারবেন তা কিন্তু নয়।আপনি আপনার মেইলের সাথে ছবিও পাঠাতে পারবেন।
৩. ইমেইজ পাঠানোর কার্যকারিতাঃ
ইমেইজ পাঠানোর সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হলো জিমেইল।কারণ জিমেইলে ইমেজ পাঠালে সেই ইমেজ কিন্তু ফেটে যাবার চান্স থাকে না।
৪.বড় ফাইল পাঠানো যায়ঃ
আপনি আপনার জিমেইলে কোন ধরণের বাঁধা ছাড়াই যেকোনো বড় ধরনের ফাইল পাঠাতে পারবেন।
৫.গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল আলাদা করাঃ
আপনি জিমেইলে আপনার মেইলগুলো খুব সহজে আলাদা করে বাছাই করে রাখতে পারেন।সেইজন্য আপনি আপনার গুরুত্বপূর্ণ মেইলগুলোকে স্টার মার্ক করে রাখতে পারেন।
৬.অল্প মেগাবাইট ব্যবহারঃ
আপনি ধীরগতির ইন্টারনেট কানেকশনে দিয়েও ব্যবহার করতে পারবেন জিমেইলে। সেই জন্য আপনাকে https://mail.google.com/mail/2ui=htm লিখে সার্চ করলেই হবে।
৭.ছবি এডিট করা যায়ঃ
জিমেইল একটি থার্ড পার্টি এপস। জিমেইল দিয়ে ডকুমেন্ট কিংবা ছবি এডিট করা যায়।
৮.ব্যক্তিগত নিরাপত্তাঃ
জিমেইলে রয়েছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।তাই আপনি জিমেইলে বার্তা আদান প্রদান করা সবচেয়ে নিরাপদ মনে করতে পারেন।
জিমেইল এক জাদুমকরি বার্তা আদান প্রদান মাধ্যম।আমরা অনেকেই জিমেইলকে শুধুমাত্র বার্তা আদান প্রদানের মাধ্যম হিসেবে জানলেও কিছু নতুন ব্যবহারবিধি সম্পর্কে উপরে আলোচনা করেছি।আশা করি উক্ত মাধ্যমগুলো আপনাদের উপকারে আসবে।