-
আপনি ভোটার হয়েছেন কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড পাননি? চিন্তার কোনো কারণ নেই,আপনার জন্যই আজকের লেখা। চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আপনি আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার মাধ্যমে সহজেই ভোটার আইডি কার্ড এর অর্জিনাল অনলাইন কপি পেতে পারেন।
বর্তমান সময়ে ভোটার আইডি কার্ড খুবই গুরুত্তপূর্ণ একটি বিষয় হিসেবে নেওয়া হয়েছে। যে সব ক্ষেত্রে ভোটার আইডি আবশ্যক করা হয়েছেঃ ব্যাংক একাউন্ট, বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা, সিম কার্ড ক্রয়, চাকুরি, আপনার পরিচয় ভেরিফাই, ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে এবং এমন অসংখ্য কারনে অতিব জরুরি জিনিসটার নাম ভোটার আইডি কার্ড।
বর্তমান সরকার সকলের জন্য ভোটার আইডি কার্ডের স্মার্ট কার্ড দিতে চলেছেন। স্মার্ট কার্ড বিতরন ইতি মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। আপনি স্মার্ট কার্ড না পেয়ে থাকেন অথবা ছবি তুলেছেন বা ফ্রম পুরুন করে যাবতিয় কাজ সম্পন্ন করেছেন কিন্তু আপনার ভোটার আইডি কার্ড এখনো পান নাই, তাদের জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি ওয়েবসাইট চালু করে রেখেছেন যার সম্পর্কে আমরা ৭০% মানুষ এখনো জানি না। ওয়েব সাইট টির মাধ্যমে পৃথিবির যে কোন প্রান্ত থেকে আপনি চাইলেই আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর অনলাইন কপির,একটি পিডিএফ ডাউনলোড করে তা প্রিন্ট আউট করে লেমেনিটিং করে বানিয়ে ফেলতে পারবেন ভোটার আইডি কার্ড এবং সেই কার্ডটির মাধ্যমে যে কোন ধরনের সেবা পেতে পারেন।
আইডি কার্ড এর অনলাইন কপি যেভাবে পাবেনঃ
——————————————————————-ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপির জন্য আপনার এনআইডি নম্বর দরকার হবে। আপনার এনআইডি নম্বর না থেকে থাকলে ফ্রি এসএমএস এর মাধ্যমে তা জিনে নিতে পারেন খুব সহজেই।
(এনআইডি নাম্বার জানতে অবশ্যই আপনার স্লিপ নাম্বার লাগবে।)
মোবাইলে এস এম এস এর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার পাওয়ার পদ্ধতিঃ
———————————————————————-মেসেজ অপশন এ গিয়ে টাইপ করুন
nid<form number><dd-mm-yyyy>
লিখে ১০৫ এ প্রেরন করুন।উদাহরণ: ( nid 425364 23-12-1998)
ফিরতি এস এম এস এ আপনার কাংখিত আইডি নাম্বার পেয়ে যাবেন। তা কপি করে রাখুন।
তারপর,
————–আপনার মোবাইলের ব্রাউজার থেকে সার্চ করুনঃ
https://services.nidw.gov.bd/voter_center
১ঃ- পেইজ টি ওপেন হওয়ার পর উপরে রেজিস্ট্রার অপশনে ক্লিক করুন। তারপর (রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই) এর উপর ক্লিক করুন।
২ঃ- সেখানে ৩টি বক্স পাবেন, ১ম বক্সে আপনার কপি করা এনআইডি নাম্বার টি পেস্ট করুন। তারপর ২য় বক্সে আপনার জন্মা তারিখ,মাস,সাল দিন। পরে ৩য় বক্সের উপরে থাকা কেপচা টি সঠিক ভাবে দিয়ে সাবমিট করুন।
৩ঃ- তারপর আপনার কাছে ভেরিফাই এর জন্য আপনাকে আপনার নাম্বার দেখাবে এবং নিচে বার্তা পাঠাতে চাই এর উপর ক্লিক করুন। তারপর আপনার মোবাইলে আসা কোড টি দিয়ে ভেরিফাই করে নিন এরপর আপনার বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ি ঠিকানা সিলেক্ট করে নিন। তারপর পরবর্তী লেখার উপর ক্লিক করুন।
৪ঃ- এরপর আপনাকে ২টা অপশন দেখাবে একটি স্কাইপ করুইন (এড়িয়ে যান) , আর একটি পাসওয়ার্ড সেট করুন।
(Note:- আপনি পাসওয়ার্ড সেট করে রাখলে পরবর্তীতে আবার লগইন অপশনে গিয়ে user name and password দিয়ে লগ ইন করতে পারবেন। আর যদি স্কাইপ করে দেন তাহলে আপনাকে পুনরায় উপরক্ত নিয়ম মেনে আসতে হবে।)
৫ঃ- তারপর পরবর্তি অপশনে ক্লিক করে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড এর সকল তথ্য দেখতে পাবেন। ডান পাশে নিচে লেখা থাকবে (জাতিয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করুন) লেখা টির উপর ক্লিক করলে ৫,৭ সেকেন্ড এর মধ্যে আপনার মোবাইলে ১০০-১১০ কেবির একটি পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড হয়ে যাবে। যেকোন পিডিএফ রিডার দিয়ে সেই ফাইল ওপেন করে দেখে নিন আপনার ভোটার আইডি কার্ড।
তারপর আপনার ওয়েব সাইটের কাজ শেষ সতকর্তার জন্য উপরে ডান পাশের কোনায় থাকা লগ আউট অপশনে ক্লিক করে লগ আউট করে নিন।
এরপর,আপনি যেকোন কম্পিউটার এর দুকান থেকে সেই ফাইল টা প্রিন্ট আউট করে নিয়ে লেমিনেটিং করে বানিয়ে নিন আপনার ভোটার আইডি কার্ড।
সময় নিয়ে পড়ার জন্য,ধন্যবাদ।
গুগল মামা থেকে সহজে টাকা আয় এবং নিজের ব্লগ থেকে আয়!!!
আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সকলে। আশাকরি সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি। বিষয়টি হলো...