Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

ইন্টারনেট বিবর্তনের ইতিহাস। যা অনেকেরই অজানা।

আমরা সাকলেই ইন্টারনেট ব্যাবহার করি।কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি যে এই ইন্টারনেট কিভাবে আসলো?? কি এর ইতিহাস?আজ আমি যে আর্টিকেল টি লিখছি সেখানে আপনারা এই দুটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন। প্রচলনের পর থেকে ইন্টারনেট প্রযুক্তি টি বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করেছে ইন্টারনেটের সম্প্রসারণ বিষয়টিকে তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত করা যায়।
১ম পর্যায়ঃ ১৯৬৯সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আর্পানেট(আদ্ভান্সড রিসার্চ প্রজেক্ট এজেন্সি নেটওয়ার্ক) নামক প্রজেক্ট এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের পতন ঘটে।আর্পানেট পরবর্তীতে আশির দশকের প্রথম ভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সীমিতভাবে উন্মুক্ত ছিল। ১৯৮২ সালে বিভিন্ন কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপনে উপযোগী টিসিপি/আইপি(ট্রানস্মিশন কন্ট্রোল প্রটোকল/ ইন্টারনেট প্রটোকল)প্রটোকল উদ্ভাবিত হলে প্রথম আধুনিক ইন্টারনেটের ধারণাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আরপানেট এ 1983 সালে এই প্রোটোকলের ব্যবহার শুরু হলেও এ পর্যায়ে ইন্টারনেটের সম্প্রসারণ এর গতি ছিল ধীর।২০ টি দেশের সর্বোচ্চ 200 টি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্ক প্রটোকলের আওতায় আনা সম্ভব হয়।
২য় পর্যায়ঃ এই পর্যায়ের বিস্তৃতি ছিল পুরো আশির দশক জুড়ে। এ পর্যায়ে ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয় নেশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন নেটওয়ার্ক বা এন এফ এস নেট এবং এর অধীনে বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক উন্নয়নে সংযুক্ত হয়।ফলে ধীরে ধীরে আরপানেটের প্রভাব কমতে থাকে এবং হাজার ১৯৯০ সালে এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
৩য় পর্যায়ঃ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার বা আই এস পি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) নামে পরিচিতি পায়। এর মাধ্যমেই বাণিজ্যিকভাবে ইন্টারনেট সারা পৃথিবীতে সকলের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত হয়। ইন্টারনেটকে আরো সম্প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারনেট সোসাইটি বা আই এস ও সি।১৯৯৫ সালে এন এফ এস নেট বন্ধ হয়ে গেলে ইন্টারনেটের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ এর সর্বশেষ বাধা অপসারিত হয়। এ সময় থেকেই ইন্টারনেট সংস্কৃতির বাণিজ্যিক বিস্তারে বিভিন্ন অনলাইন সেবা তথা ইলেকট্রনিক মেইল, ইন্সট্যান্ট মেসেজিং সার্ভিস, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল বা ভি ও আই পি, ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব, ইন্টারনেট ফোরাম, ব্লগ, সামাজিক যোগাযোগ, ই-কমার্স ইত্যাদির প্রচলন শুরু হয়।

Related Posts

20 Comments

Leave a Reply