গ্রাথোর ব্লগে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি স্বাগতম। আশা করি ভালোই আছেন। আজকের টাইটেল দেখে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কি বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। অর্থাৎ আমরা কিভাবে মেধাবী বা ট্যালেন্টেড হব। বড়রা অথবা আপনার মা-বাবা অথবা কারও মা-বাবা অবশ্যই বলে থাকে যে পাশের বাসার ছেলেটি মেধাবী অথবা তুমি মেধাবী কিন্তু ওই ছেলেটি অথবা তুমি কেন মেধাবী নও অথবা আমরা অনেক সময় বুয়েটের ভাই অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ছাত্রকে দেখে বলি সে অনেক বড় মেধাবী। এখন সে মেধাবি কিন্তু আমি মেধাবী না, কেন ঘটল? এর কতগুলো বিজ্ঞানসম্মত কারণ আছে। আবার ধরা হয় যে মানুষের ব্রেইন এর মধ্যে কিছু পরিবর্তন আছে। আমি মূল বিষয়টি আমি তোমাদেরকে বুঝিয়ে বলছি। আমি পরবর্তীতে এর নাম রেখেছি বিজ্ঞান যুক্তি ও মেধারবিকাশ। প্রথমত বলছি যে মানুষ পরিশ্রম করলে সবকিছু সম্ভব। তুমি পরিশ্রম করে নিজের মেধার বিকাশ ঘটাতে পারে। অর্থাৎ তুমি কিভাবে মেধার বিকাশ ঘটাতে চাও সেক্ষেত্রে পরিশ্রম করে জ্ঞান অর্জন করে মেধার বিকাশ সম্ভব। আর এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য প্রথমত মেধাবী হওয়া।মেধাবী হওয়ার কতগুলো উপায় আছে। প্রথমত বলেছি যে পরিশ্রম করা। পরিশ্রম করেও কেউ কেউ এমনিতেই মেধাবী হয়।মেধাবি হওয়ার কিছু বিজ্ঞানসম্মত কারণ আছে। যেমনঃ আমরা যারা মানুষ আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষ থাকে। সেটা আপনারা জানেন। স্নায়ুকোষ আমাদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন তথ্য মেমোরি ধারণ করে পুরো বডিটা কে পরিচালনা করে এবং আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে খারাপ ও ভাল, ভুল- সঠিক উন্মোচন করতে পারি সেটা আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ু কোষের কারণে ঘটে।মস্তিষ্কের নিউরন বা স্নআয়ুকোষ মানুষের যতো বেশি সক্রিয় থাকবে সে ততো বেশি মেধাবী। সব মানুষের স্নায়ুকোষ একই রকম ভাবে সক্রিয় থাকে না। কিছু কিছু মানুষের থাকে বেশি আবার কারো কম। যাদের একদম বেশি কম পরিমাণে থাকে তারা হলো বিশেষ প্রতিবন্ধী শিশু। যারা ভালো মন্দ আন্দাজ করতে পারে না। যারা সঠিক জ্ঞান ভালো নেই। আর যাদের মস্তিষ্কের নিউরন অতিমাত্রায় থাকে তারা মেধাবী এবং যেকোনো কিছু নিখুঁতভাবে ধরে ফেলতে পারে। অথবা অনুধাবন করতে পারে। এবং জ্ঞানে বুদ্ধিতে তারা সর্বশ্রেষ্ঠ। যেমনঃবিজ্ঞানী আইনস্টাইন কে ধরুন। মানুষের চেয়ে তার 33% নিউরন বেশি সক্রিয় ছিল। যার ফলে অনেক মেধাবী এবং উনিশ শতকের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। সবচেয়ে বেশি জরুরী যে আমি বা আমার মস্তিষ্কের নিউরন কিভাবে সক্রিয় থাকবে।তার কিছু উপায় আছে
যেমন আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল চর্চা করতে হবে। সৃজনশীল মানে নতুন নতুন সৃষ্টি করবেন। বিশেষ করে আপনি যখন নতুন কিছু ভাববেন, নতুন কিছু দেখবেন, নতুন কিছু খাবেন, নতুন কিছু উপলব্ধি করবেন তখনই আপনার মেধা বৃদ্ধি পাবে। এখন আমি শুরুতেই বলেছিলাম জ্ঞানার্জন মেধাবৃত্তির সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। এর একটা ভালো কারণ আছে যেমন কারণটা হলো যখন কেউ জ্ঞানার্জন করবে তখন সে নতুন শিখবে, নতুন জানবে, নতুন বুঝবে অর্থাৎ সবকিছুই নতুন। এখন আপনাকে নতুন শিখতে হবে তা কে বলেছে আপনি আপনার মেধার উৎকর্ষ করবেন, আপনার বুদ্ধিবৃত্তি বাড়াবেন নতুন কিছু খেতে পারবেন। নতুন কিছু করতে পারবেন। নতুন একটি সিনেমা দেখবেন। নতুন নাটক দেখবেন। এরকম নতুন সবকিছু করবেন। তাহলে আপনার মেধাবৃত্তি বাড়বে।ধন্যবাদ।