Instragram Marketing:
অতিসম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম ইন্টারনেট দুনিয়ায় এক নতুন জোয়ার বয়ে এনেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার কথা যদি চিন্তাভাবনা করেন তাহলে ইনস্টাগ্রামের কথা না বললেই নয় প্রায় ১ বিলিয়ন মাসিক সক্রিয় ইউজারদের কে নিয়ে ইনস্টাগ্রাম এখন সকলের পছন্দের সোশ্যাল মিডিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে বিভিন্ন বড় বড় ব্র্যান্ড এবং কোম্পানির নিজস্ব চ্যানেল
সেই সব ব্র্যান্ড তাদের সোশ্যাল মিডিয়া বাজেটের অধিকাংশ ব্যয় করে ইনস্টাগ্রামে। এবং সেখানে তাদের কাস্টমার বৃদ্ধির জন্য।
এটাই হবে সবচেয়ে ভালো সুযোগ ভালো টাকা আয় করার। ইনস্টাগ্রামের উঠতি পপুলারিটি কে কাজে লাগিয়ে এ সুযোগ মিস করা পুরোই ভোকামি।
যদি আপনি সময়কে প্রায়োগিক কাজে লাগাতে পারেন এবং আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর সফলতাকে দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারেন, তাহলে আপনি অনলাইনে আয় করার সুযোগ পাবেন।
কারা কাজটি করতে পারবেনঃ
যারা ইন্সটাগ্রাম এর ছবি আপলোড দিতে এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এ কাজ উপযুক্ত।
কি কি দক্ষতার প্রয়োজনঃ
- ভালো কোয়ালিটির ফটোগ্রাফি দক্ষতা প্রয়োজন।
- প্রফেশনালি যেকোনো ছবি এডিট করার দক্ষতা প্রয়োজন।
- হাই কোয়ালিটির ছবি এবং ওয়ালপেপার এডিট করার সক্ষমতা প্রয়োজন। এর জন্য আপনাকে কিছুর টুল ইউজ করার সাজেস্ট করতে পারি। যেমনঃCanva,BeFunky ইত্যাদি।
- এছাড়া দরকার সৃজনশীলতা এবং চিন্তাশক্তি।
কিভাবে শুরু করবেনঃ
শুরু করার জন্য প্রথমেই আপনার একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর প্রয়োজন। এবং একটি সুন্দর ইউজারনেমের প্রয়োজন। এছাড়া দরকার একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল পিকচার এবং আকর্ষনীয় বায়ো(Bio)
যদি আপনি ইনস্টাগ্রামে টাক আয় করার কথা চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে অবশ্যই আপনার নিজস্ব ফলোয়ার্স বাড়ানোর চিন্তা করতে হবে। এবং তখনই আপনি ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিং অথবা পোস্ট করে টাকা আর একটা সুযোগ গড়ে তুলতে পারবেন।
Tips –
১)বিষয় নির্ধারণঃ
ইনস্টাগ্রামে মার্কেটিং শুরুর পূর্বে একটি নির্দিষ্ট বিষয় নির্ধারণ করে নিতে হয় যে বিষয়ে আপনি পোস্ট এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করবেন। অথবা নিজস্ব মার্কেটিং পরিকল্পনা গড়ে তুলবেন। আপনি যে বিষয়ে ভালো এবং ইন্টারেস্টেড সে বিষয় নিয়ে ফটোগ্রাফি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি একজন ফ্যাশনেবল(Fashionista) হয়ে থাকেন অর্থাৎ ফ্যাশনের প্রতি আকৃষ্ট তাহলে ফ্যাশনের নতুন নতুন আপডেট নিয়ে আসতে পারেন। যত ফ্যাশন ট্রেন্ড, স্টাইল আসে সেসব নিয়ে আপনি নিয়মিত নতুন নতুন টিপস এবং ট্রিক্স অডিয়েন্স দের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। এবং সে নিয়ে ছবি আপলোড দিতে .
২)বায়ো সঠিকভাবে পূরণ করবেন
আপনার বায়ো হলো একমাত্র উপায় যার মাধ্যমে ফলোয়ার্সরা আপনার সম্বন্ধে ভালো ধারণা নিবে এবং তারা আপনার একাউন্টের প্রতি ইন্টারেস্টেড হবে। আপনার বায়ো যদি ইন্টারেস্টেড এবং প্রফেশনাল হয় তাহলে আপনার সকল কাজকর্ম তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে।
এর জন্য আপনি 1 অথবা 2 লাইনের একটি ভালো ডেস্ক্রিপশন অ্যাড করতে পারেন। এবং আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকলে তার লিংক সেখান দিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়া আপনার নিজস্ব আইকন এবং তাদের এটেনশন ধরে রাখার জন্য সুন্দর স্লোগান অথবা ট্যাগ লাইন দিয়ে রাখতে পারেন।
এছাড়া আপনি কিছু শব্দের তৈরি একটি হ্যাশট্যাগ দিয়ে রাখতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনার সঠিক ফলোয়ার্স যারা আপনাকে ফলো করা উচিত ছিল, তারা সে হ্যাশট্যাগের বদৌলতে আপনাকে খুঁজে পাবে এবং তারা ফলো করতে পারে।
৩) ফলোয়ার্স এর জন্য ভালো পোস্ট তৈরি
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট শেয়ারিং এর পূর্বে অথবা ইমেজ শেয়ারিং এর পূর্বে আপনাকে কিছু বিষয়ে রিসার্চ এবং কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেমনঃ আপনি যে বিষয় বা টপিকস এর উপর ইমেজ আপলোড করবেন সেগুলোর কোন বিষয়টা অডিয়েন্সরা পছন্দ করে?
অথবা কোন ইমেজ গুলো অডিয়েন্সদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে?
এছাড়া কোন ট্যাগ লাইন একটা ভালো প্রভাব ফেলবে তাদের উপর?
উপরে মেনশনড করা প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনাকে সাহায্য করবে একটি ভালো টার্গেটেড পোস্ট তৈরী করার জন্য। এবং আপনি অসংখ্য ফলোয়ার্স পাবেন আপনার একাউন্টে।
৪)নিয়মিত পোস্ট শেয়ারিং
আপনার ফলোয়ার্স দ্রুতগতিতে বাড়ানোর জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত একটি নির্দিষ্ট টপিকবা আপনি যে বিষয়ে ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট খুলেছেন তার উপর ভিত্তি করে পোস্ট শেয়ার অথবা ইমেজ আপলোড করে যেতে হবে। আপনাকে কতগুলো ইমেজ প্রতিদিনই আপলোড করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার ইমেজ যদি আপনি আপলোড করেন তাহলে আপনার একাউন্ট সক্রিয় থাকবে। কখনো যদি খুব ব্যস্ত হয়ে থাকেন, তাহলে প্রতিদিন অন্তত পক্ষে একটি ছবি আপলোড করার চেষ্টা করবেন
৫)হাই-কোয়ালিটি ইমেজ ব্যবহারঃ
আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট হবে একটি ব্র্যান্ডের মত। সে ব্র্যান্ডের যখন কিছু পোস্ট করবেন, তখন তো আর লো-কোয়ালিটির ইমেজ পোস্ট করা ঠিক হবে না, সেখানে হাই কোয়ালিটির বা হাই রেজুলেশনের ইমেজ পোস্ট করতে হবে।
যদি লো-কোয়ালিটি ইমেজ পোস্ট করেন তাহলে এটি আপনার অ্যাকাউন্টের মূল্য ধীরে ধীরে কমাবে।
অপরদিকে হাই কোয়ালিটি ইমেজ একটি দীর্ঘমেয়াদী ভার্চুয়াল ইম্প্রেশন তৈরি করবে আপনার ফলোয়ার্স তার মাঝে। এবং তারা সে ছবিটিকে ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারবে, যেকোনো ধরনের হাই কোয়ালিটি পিকচার একজন অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যথেষ্ট।
৬)দরকারি হ্যাশট্যাগ এর ব্যবহারঃ
হ্যাশট্যাগ ইনস্টাগ্রামের একটি অন্যতম ফিচার, যেটি আপনি যদি চালাকি করে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার পোষ্টের অসংখ্য ভিজিটর পাবেন এবং লোকজন আপনার পোস্টটি খুঁজে পাবে। এর জন্য আপনাকে ভালো রিসার্চ করতে হবে। এবং ভালো হ্যাশট্যাগ তৈরির জন্য আপনার নিজস্ব বিষয় বা টপিকস এবং আপনার পোস্ট-ফটো এর সাথে একটা মিল বন্ধন তৈরি করে নিতে হবে।
tagsforlikes.com এই ওয়েবসাইটটি ঘুরে আসতে পারেন ভালো হ্যাশট্যাগের দেখার জন্য।
সর্বোচ্চ ভালো হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কারণ এটা ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ার বাড়ানোর অন্যতম উপায়। ইনস্টাগ্রাম প্রতিটি পোস্টে প্রায় 30 টি করে হ্যাশট্যাগ দেওয়ার গ্রহণযোগ্যতা দেয়।
অবশ্যই দেখবেনঃ ১/প্রথম জরিপ পূরণে ৩০০ টাকা পেমেন্ট বিকাশে।
২/ডেইলি ২০০ টাকা আয় করবেন যেভাবে,পেমেন্ট বিকাশে/রকেটে।
৭)ফলোয়ার্স দের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরিঃ
আপনাকে আপনার ফলোয়ার্স দের প্রতি অবশ্যই সচেতন হতে হবে। এবং তাদের প্রতি ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তাদের নিজস্ব প্রবলেম, চাহিদা এবং এক্সপেরিয়েন্স সম্পর্কে জানতে হবে। তা নিয়ে আপনাকে প্রতিদিন ভালো ভালো ছবি দিতে হবে। তাদের মনোবল বাড়াতে হবে এবং পাশাপাশি তাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে আপনাকে পোস্ট শেয়ার করতে হবে। এতে তারা আপনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে এবং আপনার প্রতি আস্থা স্থাপন করে নিজস্ব মার্কেটিংয়ে আপনাকে সহযোগিতা করবে।
ভালো সম্পর্ক তৈরী করার উপায়ঃ
একটি সহজ উপায় হলো আপনার সম্প্রতি ফলোয়ার্স অ্যাকাউন্টে আপলোড করা ছবিগুলোতে লাইক করতে পারেন। এছাড়া তাদের কমেন্টের রিপ্লাই করতে পারেন বা তাদের ইমেজে গিয়ে ভালো কমেন্ট করতে পারেন। অথবা তাদেরকে ফলো ব্যাক করে দিতে পারেন মানে আপনিও তাদের কে ফলো করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি ডেইলি একটি কনটেস্ট চালু করতে পারেন। যেটি আপনার ফলোয়ার দের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরীর জন্য যথোপযোগী। যেমনঃ একটি উদাহরণস্বরূপ, একটি স্বনামধন্য ব্র্যান্ড বিভিন্ন ধরনের কনটেস্ট রাখে। এবং তাদের কাস্টমারদের জিজ্ঞাসা করা হয় বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করার জন্য। এটি কন্টেস্টের নামঃ “Pic of the day”।
তারপরও সে কন্টেস্ট এর বেস্ট ইমেজটাকে তারা সিলেক্ট করে এবং যার ইমেজ তার নাম সাবমিট করে সে পোস্টটি নিজের একাউন্টে পাবলিশ করে।
এটি হলো এমন এক ধরনের কনটেস্ট যেটি ফলোয়ার্স এর দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তাদের সাথে সম্পর্ক তৈরী একটা অন্যতম উপায়। তার ইমেজ এর প্রতি সকলেই বা অন্যান্য ফলোয়ারস সমূহ আকৃষ্ট হয় এবং তার নিজস্ব একাউন্টের ফলোয়ার্সও বেড়ে যায়।
#নিচের উপায়গুলো সর্বোৎকৃষ্ট উপায় যেগুলো ব্যবহার করে ইনস্টাগ্রামে টাকা আয় করা সম্ভব:
- Affiliate Marketing
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি ভালো উপায় ইনস্টাগ্রামে টাকা আয় করার জন্য। ইন্টারনেটে অনেক এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাইট আছে, যেখানে নিজস্ব পণ্য কেনাবেচা হয়। ধরুন আপনি ফ্যাশন নিয়ে আপনার ইনস্টাগ্রামের সবসময় ছবি পোস্ট করেন। এখন একটি ফ্যাশন পূর্ণ প্রোডাক্ট আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে সেটি শেয়ার করার জন্য আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এ একটি-দুটি পোস্ট করতে পারেন। সে পোস্টে অনেক ফলোয়ার্স আগ্রহী হবে এবং আপনার লিংক ব্যবহার করে যদি সে প্রোডাক্টটি সেল করে তাহলে তো আপনার টাকা আয়ের আরেকটা সুযোগ হয়ে যায়।
অন্যান্য ট্রেডিশনাল চ্যানেল, যেমনঃ ব্লগিং এবং ভিডিও মার্কেটিং থেকে ইনস্টাগ্রাম মারকেটিং অনেক বেশি সুবিধা দেয়। এবং অনেক লাভজনক।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে যদি আপনাদের সম্পূর্ণ ধারণা না থাকে তাহলে আপনি আমার একটি ব্লগ পড়তে পারেন, যেটা আমি এখানেই পাবলিশ করেছি। ব্লগের লিংকঃ এখানে ক্লিক করুন।
এখানে আপনাকে বিউটিফুল কতগুলো ইমেজ পোস্ট করতে হবে ঐ প্রোডাক্টির যে প্রোডাক্টটি আপনি প্রমোট করতে চান অথবা শেয়ার করার জন্য উদ্যোগ হিসেবে কাজ করছেন। এবং পাশাপাশি একজন আপনাকে নিজস্ব ইউআরএল দিতে হবে যে লিংকে ক্লিক করলে আপনার টাকা আর শুরু হবে।এর জন্য ভালো ক্যাপশন ব্যবহার করতে পারেন।
নিচে কতকগুলো লিঙ্ক দিয়ে রেখেছি এমন সব কোম্পানির যারা ইনস্টাগ্রামে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য নিজস্ব সার্ভিস দেয় এবং আপনাদের সুবিধা দিবে যেখানে আপনি আফিলিয়েট মারকেটিং করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।
👉Stylinity.com
👉Liketoknow.it
এখানে প্রতি প্রোডাক্ট সেলে মোট লাভের ৫০% পর্যন্ত পাবে। পেমেন্ট পেপাল/ক্রেডিট কার্ড।
২)স্পনসরড পোস্ট তৈরি করাঃ
যদি আপনার একাউন্টে ভালো ফলোয়ার্স থাকে তাহলে শুধুমাত্র স্পনসর্ড পোস্টগুলো পাবলিশ করে ভালো আয় করতে পারবেন।
স্পনসর্ড পোস্টগুলো আসলে এক ধরনের নিয়মিত বা রেগুলার পোস্ট, যেগুলো হাই কোয়ালিটি ইমেজ অথবা ভিডিও ধারণ করে একটি নিজস্ব প্রোডাক্ট এবং ব্র্যান্ডের উপর। এছাড়া কিছুই না।
প্রতিটি স্পন্সরড পোষ্টের জন্য আপনাকে মোটা অংকের টাকা প্রদান করা হবে। এবং সে পেমেন্ট নির্ভর করবে সে স্পনসর্ড পোস্টের পপুলারিটি, এছাড়া ফলোয়ার্স এর কাছে কতটুকু ভালো লেগেছে এবং তারা কতটুকু উপকৃত হয়েছে তার উপর।
স্পনসর্ড পোস্টের একটি অসাধারণ লক্ষ্য হলো, তারা ফলোয়ার্সদেরকে নিজেদের প্রোডাক্ট অথবা ব্র্যান্ডের ব্যাপারে আরও সচেতন করতে চায়।
👊আয়⇒$১০০/প্রতি পোস্ট (100k Follow)
কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি তখনই স্পন্সরড পোস্ট আপনার একাউন্টে এলাও করবেন, যেগুলো আপনার নিজস্ব বিষয় এর সাথে কানেক্টেড এবং যেটি অডিয়েন্স তার জন্য ভালো হবে। এবং আপনার ইনস্টাগ্রামের অন্যান্য ইমেজের সাথে অ্যাডজাস্ট করে এরকম।
নিচে আমি কতগুলো কোম্পানির নাম দিয়ে রেখেছি, যেখানে আপনি রেজিস্টার করতে পারেন। বিভিন্ন স্পনসর্ড করা পোস্ট আপনার একাউন্টে পাবলিশ করার জন্য।
👉1. Tapinfluence
👉2. Ifluenz
👉3. Takumi
৩)আপনার ফটো গুলো বিক্রি করে আয়ঃ
যদি আপনি হাই কোয়ালিটির ফটোগ্রাফি অথবা ভালোভাবে প্রফেশনাল এডিটিং করতে সক্ষম হন, তাহলে আপনি তো অবশ্যই আয় করতে পারবেন। এর মধ্যে কতগুলো ফটো বিক্রি করে অথবা শেয়ার করে টাকা আয় করা যেতে পারে।
ইন্টারনেটের অনেক ব্লগার অথবা ব্যবসায়ি আছে যারা একটি নতুন এবং সৃজনশীল ফটো খুঁজছে, এবং ইনস্টাগ্রাম সে বিষয়ে আপনাকে সহযোগিতা করতে পারে। যার মাধ্যমে আপনার নিজস্ব ফটোগ্রাফি সেল করে আপনি প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন।
এখানে একটি খুব সহজ পদ্ধতি আছে। কিভাবে আপনি এটি করবেন? যেমনঃ আপনার ইমেজে একটি ওয়াটারমার্ক অ্যাড করে নিতে হবে। এবং যে সকল ইমেজগুলো সেল করবেন সেগুলোর ক্যাপশন এর একটি তালিকা তৈরি করে নিতে হবে। তারপর আপনি সেই ইমেজ গুলো তাদের কাছে সেল করার জন্য কন্টাক্ট করতে পারেন। এমনকি আপনার নেওয়া কতগুলো সোট(Shots) তাদের সাথে শেয়ার করে নিতে।
নিচে কতগুলো ট্রাস্টেড সাইট এর নাম দেয়া হলো, যেগুলো ইনস্টাগ্রামের ফটো সেল করার ব্যাপারে আগ্রহী
👉Twenty20.com
👉Foap.com
৪)আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয়
যদি আপনি ব্যক্তিগতভাবে কোন ধরনের প্রোডাক্ট তৈরি করেন, অথবা কোন প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেন,তাহলে আপনার নিজস্ব প্রডাক্ট প্রমোশন অথবা সেগুলো বিক্রি করতে আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে আপনার ব্যক্তিগত ছবিগুলোর সাথে সে প্রোডাক্টের একটা ইমেজ থাকবে এবং সে প্রোডাক্টটি সহজেই আপনি আপনার ফলোয়ার্স এর মাধ্যমে প্রমোশনের পাশাপাশি সেল করার জন্য তাদেরকে আগ্রহী করে তুলতে পারেন। এমনকি আপনি যেকোনো ধরনের প্রমোশনাল হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে সেটাকে একটা অন্য মাত্রা দিতে পারেন। অথবা একটি ভালো সুন্দর ফটোগ্রাফি তুলতে হবে সেই প্রোডাক্টটির।
৫)ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট বিক্রি করে আয়ঃ
যদি আপনি অলরেডি একটি ভালো ফলোয়ার্স তৈরি করে নেন ইনস্টাগ্রামে, অথবা মিলিয়ন ফলোয়ার পেয়ে যান ইনস্টাগ্রামে, তাহলে আপনি সেই ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট বিক্রি করে নিমিষেই ধনী হয়ে যেতে পারবেন। এজন্য শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রাম থেকে আপনাকে চলে যেতে হবে এবং সেখানে অন্যান্য স্পনসর্ড অথবা অন্য ইউজারদের কাছে বিক্রি করে প্রচুর টাকা লাভ করতে পারেন।
অথবা ধরুন, আপনি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে চলে যেতে চান বা ইনস্টাগ্রাম আর চালাতে চাইছেন না, তখন আপনি সেই ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট বিক্রি করে প্রচুর লাভ করতে পারবেন। আপনি চিন্তাও করতে পারছেন না।
আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট কত টাকায় বিক্রি হবে সেটি আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর নিজস্ব টপিকস এবং ফলোয়ার্স সংখ্যার উপর নির্ভর করবে।
নিচে কতগুলো ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া হলো যেখানে আপনি আপনার ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট বিক্রি করতে পারবেন এবং ভালো লাভ নিতে পারবেন।
👉Fameswap.com
👉Viralaccounts.com
💥Extra টিপ্স –
উপরে যে সকল টিপস দিয়েছিলাম সেগুলো ইনস্টাগ্রামে একাউন্টে ভালো আয় করার ক্ষেত্রে উপযুক্ত।
কিন্তু একটা বিষয় মনে রাখবেন, আপনার যতক্ষণ না 10,000 ফলোয়ার্স আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কোন ধরনের প্রমোশনাল ইমেজ ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করবেন না!
বিশ্বাস করুন ইনস্টাগ্রামে ফলোয়ারস তৈরিতে একটা ভালো পদ্ধতি হলো আপনাকে অবশ্যই ফলোয়ার্স দেন বিশ্বাস বিশ্বাস অর্জন করে নিতে হবে। এবং আপনার প্রতি যেন তাদের আস্থা আরো দৃঢ় হয় সেদিকে নজরদারি রাখতে হবে। তাহলে ঠিক একসময় আপনি অনেক বেশি ফলোয়ার্স নিতে পারবেন এবং সে ফলোয়ার্সরা কখনোই আপনাকে ছেড়ে যাবে না।
Keyword: how to earn money from instragram, instragram marketing bangla, instragram marketing company, ইন্সট্রাগ্রাম থেকে আয়, অনলাইন আয় ২০২০, ইন্সট্রাগ্রাম মার্কেটিং