এসইও টুল এর মধ্যেই UberSuggest সবচেয়ে জনপ্রিয়। আপনার যদি বেশি ট্রাফিক অথবা ভিজিট এর প্রয়োজন হয় তাহলে Uber suggest টুল এর সফল ব্যবহার আগে শিখতে হবে। যদি এই এসইও গেম টা কে জিততে চান তাহলে এবার সাজেস্ট করবো Ubes suggest টুলটি ব্যবহার করার জন্য। আপনার জন্য ভালো একটি উপায়, এখানে যে কোন একটি ডোমেইন অথবা কিওয়ার্ড সার্চ করে শুরু করে দিতে পারেন এর ব্যবহার।
UbesSuggest কেন ব্যবহার করবেনঃ
কন্টাক্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, স্ট্র্যাটেজি সবকিছুর জন্য আপনাকে ভালো এসইউ প্রয়োজন হবে। যদি করেন এসইও করিয়ে নিতে চান, তাহলে দেখা যায় কীওয়ার্ড এর সার্চ অপশনটি অনেক বেশি জরুরী।অন্যান্য মার্কেটিং যেভাবে কাজ করে, এই টুল টি আপনাকে সেভাবে কাজ করার উপদেশ দিবে। আর সেটি যদি কাজে লাগিয়ে আরো ভালো ইম্প্রুভ মানে উন্নতি করতে পারেন তাহলে আপনার এসইও দ্রুত হবে। নিম্নোক্ত বিষয়ে এই টুল সহায়তা করবে।
১)Top SEO Pages
যদি এমন হয় যে আপনি ব্লগে লিখতে লিখতে ক্লান্ত, কিন্তু আপনার সেই লেখাগুলোতে ভিজিটর ভালো হয়নি বা কোনো রেসপন্স নেই অথবা কোন সোশ্যাল সাইটে শেয়ার হয়নি তাহলে কেমনটা লাগে? যদি এমন হয় তাহলে আপনার সেই লেখালেখি অথবা ব্লগ কনটেন্ট এসইও পেইজে নেওয়ার চেষ্টা করতে হয়। আর এর জন্য এ টুলটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
এসইও পেইজের রিপোর্ট গুলো দেখে আপনি ডিসকভার করতে পারেন যে কোন ধরনের পপুলার কীওয়ার্ডস। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে কোন অর্গানিক কিওয়ার্ড, অথবা সেটাতে কি সব পঙক্তি ব্যবহারে এই পেজটি এসইও পেজে চলে এসেছে তা জানতে সহায়তা দিবে UberSuggest টুল। আর এভাবে আপনি পপুলার সকল এসইউ পেজ এর মাধ্যমে নিজের নিজস্ব দক্ষতা গড়ে তুলতে পারবেন।
যদি এই টুলের ব্যবহার একবার শিখে যান তাহলে আপনার কনটেন্ট গুলো শুধু শুধু লিখতে হবে না, যেখানে কিনা কোনো ভিজিটই আসছে না
২)কিওয়ার্ড সাজেশনঃ
যদি লাগে আরো বেশি কিওয়ার্ড সাজেশন তাহলে ইউবারসাজেস্ট ব্যবহার করে সাজেস্ট করা কিওয়ার্ডগুলো নিতে পারেন। সেগুলো আপনার আর্টিকেল এ ব্যবহার করতে পারেন। আর কিওয়ার্ড আইডিয়াগুলো নেওয়ার জন্য আপনাকে long-term অথবা বিভিন্ন ধরনের ফ্রেইস(Phrase) ব্যবহার করা লাগতে পারে।
এটি আরো সহজ করার জন্য আপনি কিওয়ার্ড লিস্ট নিতে পারেন, সেই লিস্ট গুলো থেকে আর্টিকেল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
৩)কন্টেন্ট আইডিয়াঃ
আপনি কি এমন সব কন্টেন্ট আইডিয়া খুঁজছেন যেগুলো খুব সহজে ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার মত সাইটে শেয়ার হতে পারে, অথবা একদিনে ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। আপনার Niche ওয়েবসাইটে তাহলে আপনি কন্টাক্ট স্ট্যাটিজি(Contact Strategy) দেখে ভালো জ্ঞান নিয়ে টপ পারফর্মিং কন্টেন্ট গুলো ব্যবহার করতে পারেন। যেগুলো খুব ভালো পারফর্ম করে এবং লোকজন তাতে ইন্টারেস্টেড।
৪)ব্যাকলিংক ডাটাঃ
ব্যাকলিংক হলো গুগোল অ্যালগরিদম এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইউবারসাজেস্ট ব্যবহার করে দেখতে পারেন যে আপনার নিজস্ব কনটেন্টের কোন স্পেইস আর ব্যাকলিংক পিপল লিনকিং করছে কিনা, এমনকি কোন সাইটে তার ব্যাকলিংক ব্যবহার করছে। তাহলে ঐ সকল সাইটে লিংক করার জন্য অ্যাপ ইউজ করতে পারেন।এ সম্পূর্ণভাবে ইউবারসাজেস্ট টুলের ব্যবহার করতে পারেন এবং আপনার পেইজ রিভিউ এসইও করাতে পারেন।
এতক্ষণ এই টুলের গুরুত্ব আর কিভাবে কাজে আসে এসইও করানোর জন্য তা আলাপ করলাম। এবার আলাপ হবে এটির ব্যবহার সম্বন্ধে।
ব্যবহার বিধিঃ
এ সাইটে যেতে এখানে ক্লিক করুন। ক্লিক করার পর আপনি এখানে চলে আসবেন। তারপর টুল হিসেবে ব্যবহার করার সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। যেমন এখানে কিছু ফিচার আছে। আবার আছে ড্যাশবোর্ড, এখানে একজন এসইও এনালাইজার অথবা অফিসের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ টুল আছে, যেমন এখানে আছেঃ
১)Site Audit: এটি আপনারা সরাসরি স্ক্রোল অপশনে ক্লিক করার পর অর্থাৎ অ্যারো বাটন এ ক্লিক করলে অন্যান্য অপশনের সাথে এই অপশনটিও পাবেন। এখানে আপনাকে শুধুমাত্র নিজের ওয়েবসাইটের URL লিখে সার্চ দিতে হবে। ইউ আর এল দিয়ে ফেললে আপনি ওকে বাটনে ক্লিক করবেন, অথবা সরাসরি সাইট রিভিউ করবেন। যেখানে আপনি ক্লিক করলে আপনার ওয়েব সাইট সম্পর্কিত নানা ধরনের বর্ণনার চলে আসবে। যেমনঃ
২)On Page SEO স্কোর: এখানে আপনার অনপেজ এসইও কিভাবে করেছেন এবং স্কোর কত তা দেখাবে। যত বেশি স্কোর হবে তার মানে আপনার এসইও ততবেশি করানো হয়েছে।
৩)Organic Monthly Traffic: এখানে দেখানো হবে আপনার ওয়েবসাইটের মান্থলি ট্রাফিক অর্থাৎ প্রতি মাসে মোট কত ভিজিটর আসে। আপনার ওয়েবসাইটের এর উপর নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইটের প্রগ্রেস অথবা উন্নতি।
রিলেটেডঃ এসইও টুল: Google Analytics এর ব্যবহার।
৪)Organic Keyword: এখানে মানে আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা কোন কিওয়ার্ডগুলো গুগোল সচরাচর ফলো করে আপনার ওয়েবসাইটকে এসইও পেজে নিয়ে এসেছে সে সকল অর্গানিক কিওয়ার্ডগুলো এখানে রাখবে। আর অর্গান কিওয়ার্ড এর মোট কত সেটাও দেখাবে। সে হিসেবে বুঝতে পারবেন যে কোন কিওয়ার্ডগুলো ব্যবহারে আপনার সফলতা হয়েছে।
৫)Backlinks: ব্যাকলিংক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই টুল ইউজ করে ব্যাকলিংক স্কোর কত অথবা ব্যাকলিংক কতটা সবকিছু জানতে পাবেন।
Healthy এছাড়া দেখাবে যে আপনার ওয়েবসাইট কতটুকু হেলদি। Redirects SEO health Warning এ আছে এসইও এর স্বাস্থ্য ওয়ার্নিং অর্থাৎ আপনার একাউন্ট এ কোন লিংক থাকলে সেগুলো কতটুকু মাত্রা তা এখানে দেখাবে।
৬)Load speed:একটি ওয়েবসাইটের লোড করার স্পীড যত বেশি হবে সে ওয়েবসাইট ততই সফল। যদি লোড স্পিড অনেক বেশি হয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে একটি সুপার ওয়েবসাইট। আর সুপার স্পিডো ওয়েবসাইট। কিন্তু লোড যদি নিতে অনেক সময় নেয় তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে টেকনিক্যাল বা প্রযুক্তিগত সমস্যা আছে। তো সেই দিক থেকে আপনার ওয়েবসাইট ডেক্সটপে কত সময় নিয়ে লোড নেয়, আর মোবাইলে কত সময় নেয় সেটা দেখাবে এখানে। সেখানে স্কোর অনুযায়ী আপনাকে বলে দিবে যে আপনার ওয়েবসাইটটি ঠিক আছে নাকি নেই। যেমন ডেক্সটপে সচরাচর যে কোনো পেইজ লোড নিতে কম সময় নেয় কম কিন্তু মোবাইল ফোনে ওয়েবসাইট লোড নিতে যথেষ্ট সময় নেয়। সেদিকে খেয়াল করলে আপনার ওয়েবসাইট লোড নিতে মোবাইলে যত সময় কম লাগে তত ভালো।
৭)Critical error( webmaster can fixed): আপনার ওয়েবসাইটে কোনরকম ক্রিটিকাল ইরোর দেখা দিলে সেটা আপনাকে এই টুলটি বলে দিবে। এখন ক্রিটিকাল ইরোর কি ধরনের সেটা বোঝার চেষ্টা করুন! এটি হলো এক ধরনের প্রযুক্তিগত সমস্যা যেটি ওয়েবমাস্টার টুল এর ব্যবহার করে সমাধান করতে পারেন।
৮)কিওয়ার্ড রিসার্চঃএখানে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। পাশাপাশি যেকোনো কীওয়ার্ড টাইপিং করবেন তখন ঐ কিবোর্ড এর উপর ভিত্তি করে কোন সাইট গুলো সবার আগে আসে তাও আপনি দেখে ফেলতে পারবেন। কোন ওয়েবসাইট কিওয়ার্ডের দিক থেকে এসইও করা সেগুলো বলে দিবে। এবং কোন আর্টিকেল এসই করা কিওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে তাও এখানে দেখাবে। মোটকথা এর ব্যবহার খুবই সুন্দর।
আসলে এই টুলটি অনেক ভালো ব্যবহারের জন্য। এর অনেক জটিল ব্যবহার আছে। এ সম্বন্ধে আমি নিজেই ভালো অবগত নই, কাজে আরো ভালো ব্যবহার সম্বন্ধে জানতে সরাসরি এর সাইটে গিয়ে আপনি ভিজিট করতে পারেন। সাইটটি ভিজিট করতেএখানে ক্লিক করুন।
রিলেটেডঃ এসইও টুল: Google Search Console এর ব্যবহার।