আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই ?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থান থেকে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি।
সৌন্দর্য নারীরই এক অলংকার স্বরূপ। যুগ যুগ নারীরা সৌন্দর্য চর্চায় তাই নানান ধরণের প্রসাধনী ব্যবহার করার প্রচলন ছিল ,আছে এবং থাকবে। সৌন্দর্য চর্চায় নারীরা প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের বাণিজ্যিক পণ্যও ব্যবহার করতে দেখা যায়।তাই সৌন্দর্য চর্চাকারী পন্যের কদর সর্বকালে সকল স্তরে সমাদ্রিত।কিন্তু এইসকল ফেয়ারনেস ক্রিমগুলোর উদ্দেশ্য কি? ক সৌন্দর্য বলতে শুধুমাত্র যে রং ফর্সা হতে হবে তা বুঝায়?আমি আগেও বলেছি সৌন্দর্য নারীর একটি অলংকার তবে কখনোই সৌন্দর্য বলতে নারীকে বুঝায় না।রঙ ফর্সাকারী সৌন্দর্য থেকে মনের সৌন্দর্য সবথেকে বড়ো সৌন্দর্য হিসেবে বিবেচিত।
যুগ যুগ ধরে নারীদের সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে”ফেয়ার এন্ড লাভলী” ।নারীদের সৌন্দর্য চর্চায় দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসবেএ বিবেচিত হত এই ক্রিম।মুখের রঙ ফর্সাকারী ক্রীম হিসেবে এটি এশিয়ার মহাদেশে সকলের কাছে খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র “রং ফর্সাকরী” শব্দটিতে যুক্ত হওয়ায় এই পণ্যের উপর বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগ আনা হয়। আর সেই জন্য প্রশ্ন উঠেছিল অন্যান্য সকল ফেয়ারনেস ক্রিম নিয়েও। অনেকেই ভাষ্যমতে “ফেয়ার এন্ড লাভলী”শব্দটি পুরাই বৈষম্যমূলক। আর চারদিক থেকে নামটি নিয়ে এত্ত সমালোচনা হচ্ছিলো যে সকলের অভিযোগের ভিত্তিতে তাই ফেয়ার এন্ড লাভলীর নামটি পরিবর্তন করতে বাধ্য হয় কতৃপক্ষ।
গত জুন মাসে এক কৃষ্নাঙ্গের মৃত্যুতে
সারা পৃথিবীব্যাপী বর্ণবাদ আবারো জোরালো হয়ে উঠেছে। তাই যাতে কোনো ধরনের পণ্য কোনো ধরণের বর্ণবাদকে উস্কানি না দিতে পারে সেই জন্য কর্তৃপক্ষ ফেয়ার এন্ড লাভলীর নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দিয়েছেন “গ্লো এন্ড লাভলী “।তাদের মতে ফেয়ার ,হোয়াইট এইসব শব্দগুলো সরাসরি বর্ণবাদকে
উস্কনি দিচ্ছে।
ইউনিলিভার এর যোগপোযোগী এই উদ্যোগের কারণে তারা তাদের ভরসা অর্জন করেছে নেটিজেনদের কাছ থেকে। সেই সাথে তাদের এই সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে সর্বমহলে প্রশংসা পেয়েছে।
ধন্যবাদ সবাইকে।সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন