আপনারা জানেন আমরা চাইলে যতই আবিষ্কার বা যে কোনো কিছুই করি না কেন প্রকৃতির শক্তির কাছে আমাদের প্রতিরোধ কিছুই না। প্রকৃতির শক্তি বা ক্ষমতা আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখতেই পারি যেমন: ভূমিকম্প, ঝড়বৃষ্টি এবং সুনামি। এসব পরিচিত ঘটনা ছাড়াও আরও কিছু প্রাকৃতিক ঘটনা রয়েছে যা পৃথিবীর কোনো না কোনো প্রান্তে ঘটেই থাকে। সেসব সম্পর্কে অামরা সবসময় জানতেও পারিনা। আজ অমি প্রকৃতিতে ঘটে যাওয়া এমন বিরল কিছু ঘটনা জানাবো।
১. কোকোনাট ট্রিস: ২০১০ সালে পাকিস্তানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় যা ৩৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলো। যার ফলে পাকিস্তানের সকল শহর ও গ্রাম সম্পূর্ণরূপে জলে ডুবে যায়। এই বৃষ্টির কারনে যা ক্ষতি হয়েছে তা তো আছেই কিন্ত লাখ লাখ সংখ্যক মাকড়সা পানি থেকে নিজেদের বাচাতে গাছে উঠে পড়ে। এবং পাকিস্তানের গাছগুলোকে মাকড়সারা সম্পূর্ণরূপে তাদের জালে জড়িয়ে দেয় যা দেখতে খুবই অদ্ভূত ছিলো। মাকড়সার এ কাজের ফলে সাধারন মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি বরং মসার সমস্যাও একবারে মিটে যায়। ফলে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মত রোগেরও সমস্যা সমাধান হয়ে যায়।
২. দ্যা ব্ল্যাক সান: গ্রীষ্মের শেষ দিকে ইউনাইটেড কিংডমের মত দেশে চালিং বার্ড একসাথে জমাট বেধে থাকে। সূর্যাস্তের সময় যখন তারা একসাথে উড়ে তখন এরা সংখ্যায় এত বেশি থাকে যে পুরো একটি মেঘের মত দেখা যায় যা অনবরত বিভিন্ন ডেউয়ের সৃষ্টি করে। সত্যি তখন এদের দেখতে রোমাঞ্চকর লাগে।
৩. হেয়ার আইস: আপনি যদি কখনো এমন জঙ্গলে যান যেখানকার তাপমাত্রা শূণ্য ডিগ্রির নিচে হয় তাহলে আপনি সেখানকার মানুষদের এমন চুল দেখতে পাবেন যা বরফ দিয়ে তৈরি। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন এগুলো কোনো দূর্লভ বস্ত কিন্ত না এগুলো বরফ দিয়ে তৈরি চুল।
৪. নিউ আইসল্যান্ড ফরমেশন: পৃথিবীর সকল আইসল্যান্ডই কখনো না কখনো ভূভাগে লম্বাভাবে বিশাল ফাটলের কারনে সৃষ্টি হয়েছে। অথবা সমুদ্রতলদেশে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের কারনেও সৃষ্টি হতে পারে। কিন্ত এখন একটি নতুন আইসল্যান্ডও তৈরি হতে শুরু করছে। কারন সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত একটি জোয়ালামুখী যা কয়েকশ বছর ধরে সক্রিয় রয়েছে। এই জোয়ালামুখী যখন আবারও ২০০৩ সালে সক্রিয় হয় তখন ১৫ মিটারের একটি আইসল্যান্ড সমুদ্রের মধ্যেই তৈরি হয়। কিন্ত কিছুক্ষন পরেই এই আইসল্যান্ডটি সমুদ্রের নিচে চলে যায়। কিন্ত বিজ্ঞানীরা মনে করেন মানবজীবনের ইতিহাসে আমরা অবশ্যই আরও একটি নতুন আইসল্যান্ড দেখতে চলেছি।
৫. ফায়ার টর্নেডো: ২০১৮ সালের ২৮ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফরেষ্টে খুব ভয়ংকরভাবে আগুন লেগে যায়। যেটি কয়েকশ কিলোমিটার দূর থেকে খুব সহজেই দেখা যেত। কিন্ত এই আগুনের গতি খুব বেড়ে যাচ্ছিলো ফলে আশেপাশে থাকা জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোকে খুব দ্রুত খালি করতে হয়। এই আগুন লাগার একটি ভয়ংকর দিক হলো এই আগুনের ফলে একটি আগুনের টর্ণেডোর সৃষ্টি হয়ে যায়। যা একটি সিনেমার দৃশ্যের মত মনে হয়েছিলো যা কিনা কিছু সময়ের মধ্যে অনেক বড় ক্ষতিও করতে পারতো। এরকম টর্ণেডো বেশি সময় স্থায়ী হয় না কিন্ত এরা অত্যন্ত ভয়ানক হয়।