পাই কয়েন কী?
ক্রিপ্টোকারেন্সির জগতে পাই কয়েন একটি নতুন সদস্য। এটি এখনো বিটকয়েন, লাইটকয়েন, ইথারিয়াম, সাতোশি ইত্যাদির মত এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি, তবে আগামী ৫/১০ বছরের মধ্যে পাই কয়েন একটি ভাল অবস্থানে উঠে আসবে বলেই ধারণা করা যায়।
তবে পাই কয়েন এখনো লঞ্চ হয়নি, ২০২১ সালের মধ্যেই লঞ্চ হয়ে যাবে। পাই নেটওয়ার্কে যারা যুক্ত রয়েছেন তারা প্রতিদিন পাই কয়েন মাইন্নগ করে যাচ্ছেন কোনো খরচ বা পরিশ্রম ছাড়াই। যেদিন পাই কয়েন লঞ্চ হবে সেদিন এর মাইনিং বন্ধ হয়ে যাবে এবং আপনি তখন পাই কয়েন কিনতে বা বিক্রি করতে পারবেন।
তাই আপনি পাই কয়েন মাইনিং করতে চাইলে এখনি পাই নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারেন। একটি পাই কয়েন আপনাকে ৫/১০ বছর পর লাখ টাকা এনে দিতে পারে।
পাই নেটওয়ার্ক কতটা বিশ্বস্ত?
অনেকেই পাই নেটওয়ার্ক কে স্ক্যাম মনে করতে পারেন, কিন্তু এটি সম্পূর্ণ লেজিট বা বিশ্বস্ত। পাই কয়েন একটি নতুন ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা যেটা আমেরিকার স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটির পিএইচডিধারী কয়েকজন ছাত্রের একটি গ্রুপ দ্বারা তৈরী।
তাদের সমস্ত ডিটেইল, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, পাই কয়েন নিয়ে তাদের পরিকল্পনা সবই ইন্টারনেটে পেয়ে যাবেন। এটিই বিশ্বের প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি যা আপনি আপনার মোবাইল দিয়েই মাইনিং করতে পারবেন।
এটায় আপনাকে কোনো ইনভেস্ট করতে হচ্ছে না বা কোনো শ্রমও দিতে হচ্ছে না, তাই এটিকে স্ক্যাম বলারও কোনো সুযোগ নেই।
তাছাড়া একটি ক্রিপটোকারেন্সি মার্কেটে লঞ্চ করার আগে তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। পাই কয়েন অলরেডি দুইটি ধাপ অতিক্রম করে এখন তৃতীয় ধাপে রয়েছে। তাই এটি স্ক্যাম হওার কোনো সম্ভাবনা নেই।
পাই কয়েনের ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল?
পাই কয়েন এর যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে। এত অল্প সময়ের মধ্যেই এটি প্রায় দশ মিলিয়ন বা এক কোটি মানুষের কাছে পৈছে গিয়েছে। তবে এটিকে ভাল অবস্থানে যেতে হলে আরো অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। আমরা সবাই তো বিটকয়েনের কথা শুনেছি। ২০০৮ সালে যখন বিটকয়েন প্রথম লঞ্চ হয় তখন এটা নিয়ে কয়জন মানুষ মাথা ঘামিয়েছিল? কেউ তো এটাকে গুরুত্বই দিতে চায়নি।
সেই সময় যারা বিটকয়েনের পিছনে শ্রম দিয়েছেন তারাই কিন্তু আজকে অনেক লাভবান। ২০১১ সালে ১ বিটকয়েনের দাম ছিল মাত্র ১ ডলার, অথচ বর্তমানে ১ বিটকয়েন= ৫০ হাজার ডলার বা প্রায় ৪ লক্ষ টাকারও বেশী। যারা বিটকয়েন লঞ্চের আগে মাইনিং করে রেখেছিলেন, তারাই আজ লক্ষ কোটি টাকার মালিক! পরবর্তীতে লাইটকয়েন, ইথারিয়াম, সাতোশি সহ অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি বের হয় এবং সেগুলোর দামও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ভবিষ্যতে পাই কয়েনও জনপ্রিয়তা লাভ করবে বলা যায়।
তাই যারা বুদ্ধিমান তারা শুরু থেকেই পাই কয়েন মাইনিং করে আসছে। আপনিও পাই নেটওয়ার্কে একাউন্ট খুলে মাইনিং করতে পারবেন।
কিভাবে পাই ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং বা আর্ন করবেন?
পাই কয়েন মাইনিং করার বা আর্ন করার জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে “পাই নেটওয়ার্ক” (Pi Network) অ্যাপটি ইনস্টল করে নিতে হবে। এরপর অ্যাপ টি ওপেন করে আপনার ফেসবুক আইডী দিয়ে লগিন করে একাউন্ট খুলতে হবে। ফেসবুকে লগিন করার পর আপনার ফার্স্ট নেম, লাস্ট নেম এবং ইউজার নেম দিতে হবে। ইউজার নেম অবশ্যই এমন একটা নাম দিতে হবে যেটা আগে কেউ ব্যবহার করেনি। যেমন আমার ইউজার নেম Abid1909760। একাউন্ট খোলার সময় রেফার কোড চাইবে, রেফার কোড আপনাকে অবশ্যই দিতে দিতে হবে, রেফার কোড ছাড়া একাউন্ট খোলা যায় না। রেফার কোডের স্থানে আপনি চাইলে আমার রেফার কোড ব্যবহার করতে পারেনঃ Abid1909760 অথবা আপনি চাইলে আপনার অন্য কোনো বন্ধুর রেফার কোড ব্যবহার করতে পারেন। রেফার কোড অবশ্যই লাগবে, এটা যে কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং এর জন্য জরুরী। এরপর আপনার হোমপেজে নিয়ে যাবে যেখানে আপনার মাইনিং শুরু হয়ে যাবে।
কীভাবে মাইনিং করবেন?
পাই কয়েনের অন্যতম বিশেষত্ব্য হচ্ছে এটি আপনি মোবাইলের মাধ্যমে মাইনিং করতে পারবেন এবং এর জন্য আপনাকে কোনো ধরনের টাকা, ইন্টারনেট বা শ্রম দিতে হবে না। এমনকি মোবাইলে ডাটা অফ করে রাখলেও মাইনিং হতে থাকবে। আপনাকে শুধু ২৪ ঘন্টা পর পর একবার অ্যাপ এ ঢুকে উপরের ডানদিকের ফ্ল্যাশ বাটনে ক্লিক করতে হবে। এভাবে প্রতিদিন মাত্র একবার অ্যাপ এ ঢুকে যাস্ট একটা বাটনে টাচ করতে হবে, ৩০ সেকেন্ডও লাগবে না। আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের রেফার করতে পারেন, এতে আপনার দুটি লাভঃ প্রতি রেফারে একটি পাই কয়েন পাবেন, এবং আপনার মাইনিং রেটও বাড়বে। রেফার না করলেও আপনার অটোমেটিক মাইনিং হতে থাকবে।
তাই আপনার যদি ধৈর্য্য এবং ইচ্ছা থাকে, তাহলে আপনিও পাই কয়েনের মালিক হতে পারবেন, যা কয়েক বছর পর আপনাকে বেশ কিছু অর্থ উপার্জনের পথ খুলে দিবে। এখানে যেহেতু আপনাকে ইনভেস্ট, পরিশ্রম বা রেফার করতে হচ্ছে না, তাই এখানে মাইনিং করে কিছু কয়েন আপনার নামে জমিয়ে রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।