বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ভিপিএন কী?
ভিপিএন এর অর্থ হলো ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। ভিপিএন কম্পিউটার, স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেটের মধ্যে সুরক্ষিত সংযোগ তৈরি করে। অনলাইনে প্রবেশ করার সময় আমাদের সকলের সব ধরনের ডিভাইসেরই একটি আইপি ঠিকানা থাকে। ডিভাইসের আইপি ঠিকানাটি একটি ফোন নম্বর বা বাড়ির ঠিকানার সাথে তুলনা করা যেতে পারে। তবে কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের জন্য আইপি ঠিকানাটি ইন্টারনেট সংযোগের জন্য একটি ব্যক্তিগত পরিচয় কোড যা দ্বারা ব্যাক্তি বা ডিভাইসকে শনাক্ত করা হয়। এটি ডিভাইসের অবস্থান শনাক্ত করে এবং ইন্টারনেট সরবরাহকারীর প্রদান করা ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত।
ভিপিএন সর্বদা আপনার সকল অনলাইন ট্র্যাকিং কভার করতে পারে না। কিন্তু এমন পদ্ধতিও রয়েছে যা অনলাইনে ব্যাক্তি বা ডিভাইসের পরিচয়টি বের করতে পারে। সর্বোপরি, ভিপিএন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গোপনীয়তাকে খুব ভালভাবে রক্ষা করতে পারে।
ব্যক্তিগত এই নেটওয়ার্কটি কোনও বহিরাগত সার্ভারে এনক্রিপ্ট করা ও সুরক্ষিত সংযোগের মাধ্যমে ডেটা ট্র্যাফিক প্রেরণ করে থাকে। সেখান থেকে ট্র্যাফিক ইন্টারনেটে প্রেরণ করা হয়। এই কারণে ইন্টারনেটে দেখানো আইপি ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়।
ভিপিএন কেন ব্যবহার ব্যবহার করা হয়?
ভিপিএন ব্যবহার করা সত্যিই প্রয়োজনীয় কিনা হয়তো এটা আপনার বা আমাট ভাবনায় আসতেই পারে। আমাদের জীবনের একটি অংশ আমরা অনলাইনে ব্যয় করি। আমরা আমাদের ব্যাংকিং করা, বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রাখা, মেডিকেল রেকর্ড পরীক্ষা করা এবং অনলাইনে কাজ করা সবকিছুই প্রায় অনলাইন নির্ভর। সর্বোপরি, কেবল ব্যাংকিং এর ক্ষেত্রেই নয় বরং আপনি যদি নিজের ইন্টারনেট সংযোগটি সুরক্ষিত না করেন তবে আপনি যে কোনো ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। কারন, চালান হ্যাকার থেকে শুরু করে সরকার, ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট, নিয়োগকর্তা এবং অন্যান্য সকল পক্ষই আপনার সম্পর্কে ও আপনার সিকিউরিটি পর্যবেক্ষণ করবে। ভিপিএন এই সমস্ত ঝুকি থেকে আপনার ডেটাকে রক্ষা করে।
ভিপিএন ব্যবহার শুরু করার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কারন, এটি আপনার অনলাইন গোপনীয়তা বৃদ্ধি করে। আপনার অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং আপনাকে আরও স্বাধীনতার সাথে ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুযোগ করে দেয়।
আল্লাহ হাফেজ