ইউটিউব হল একটি ভিডিও শেয়ারিং সাইট, যার মাধ্যমে যেকোন ইউজার নিজের ভিডিও আপলোড করতে পারে একইসাথে অন্যদের আপলোড করা ভিডিওগুলোও দেখতে পারে। এই সাইটটি ২০০৫ সালে প্রথম মুক্ত ওয়েবসাইট হিসেবে যাত্রা করে।ইউটিউবের শ্লোগান হল “broadcast yourself”..এটি বলতে বুঝিয়েছে যে, ইউটিউব সার্ভিস ডিজাইন করা হয়েছে
সাধারণ মানুষদের জন্য যারা নিজেদের তৈরি ভিডিওগুলো প্রকাশে আগ্রহী। অনেক কোম্পানী এবং প্রতিষ্ঠান তাদের প্রচার প্রচারণা ও ব্যবসার কাজে ইউটিউব ব্যবহার করে, যদিও ইউটিউবের ব্যবহারকারীদের মাধ্যে অপেশাদারদের সংখ্যাই বেশী। ইউটিউবের সুবিধা হল এতে আপলোড করার সাথে সাথে এসব ভিডিও অন্য ওয়েবসাইটেও আপলোড করা যায়, তবে হোস্ট করা হয় ইউটিউবের সার্ভার ব্যবহার করে।
ইউটিউবে পুরো বিশ্ব থেকে ভিডিও আপলোড করা হয়। এজন্য প্রায় সবধরণের যেমনঃ হোমমেড ভিডিও, পেশাদার-অপেশাদার, মজার ভিডিও এতে পাওয়া যায়। বর্তমান বিশ্বে ইউটিউব এর কারণে আজ যেকোন মানুষ কোন সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ঘটনার সচিত্র বর্ননা যেমন পাচ্ছে, তেমনি বিভিন্ন বিষয়ে সহায়ক শিক্ষণীয় টিউটোরিয়াল কিংবা ঐতিহাসিক বিষয়েও বর্ননার মাধ্যমে জানতে পারছে। সর্বোপরি ইউটিউব অনেকটা সংবাদপত্র, টিভি এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা একইসাথে পালন করছে।
এ বিষয়টি নিয়ে লেখার আগে আমি অনেক বাংলা সাইট Research করে দেখেছি। বিভিন্ন জন তাদের সাইটে বিভিন্ন চাতুরীর কথা লিখেছেন যে, কিভাবে বাংলাদেশ হতে YouTube এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে হয়। আসলে YouTube এর মাধ্যমে এখনো বাংলাদেশ থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়। কারণ বাংলাদেশে এখনো YouTube Monetization সাপোর্ট দিচ্ছে না। সে জন্য যে যতই চাতুরীর কথা বলুক না কেন সাধারণ কোন Channel দিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করা অাদৌ সম্ভব নয়। তবে আপনি যদি আপনার YouTube Channel টিকে ভালমানের একটি Channel হিসেবে YouTube এর কাছে প্রমান করতে পারেন তাহলে YouTube আপনাকে তাদের নিজে থেকে Monitization এর জন্য অফার করবে। কেবল তখনই আপনি বাংলাদেশ থেকে YouTube এর মাধ্যমে অনলাইন হতে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে আপনি যে সব দেশ Monitization সাপর্ট করে সে দেশের লোকেশন সেট করে খুব সহজেই আপনার চ্যানেল কে Monitization করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া, আমেরিকা বেষ্ট কান্ট্রি। আর এইটা আপনি চ্যানেল সেটিং থেকে খুব সহজেই করতে পারেন।YouTube Channel তৈরীঃ প্রথমেই আপনাকে Gmail ID এর মাধ্যমে একটি YouTube Channel তৈরী করে নিতে হবে। YouTube.Com এ গিয়ে Gmail ID এর মাধ্যমে Signup করলেই আপনার YouTube Channel তৈরী হয়ে যাবে।
YouTube Partner হওয়াঃ তারপর বামপাশের অপশন হতে My Channel এ ক্লিক করলে আপনার YouTube Channel টি দেখতে পাবেন। আপনার Channel টির নামের উপরে Video Manager নামে আরেকটি অপশন দেখতে পাবেন সেটিতে ক্লিক করুন। এখন বামপাশের Channel অপশনে ক্লিক করার পর ডানে অনেক অপশন দেখতে পাবেন। সেখানে আপনার নামের পাশে থাকা Partner হতে মোবাইল নাম্বার দিয়ে Partner Verified করতে হবে। Partner Verified না করলে আপনার ভিডিও গুলিকে Monetized করতে পারবেন না।
ভিডিও আপলোড করাঃ এখন আপনার ভিডিওটি আপলোড করুন। আপলোড হওয়ার পর ভিডিওটির নিচের দিকে Monetized অপশন দেখতে পাবেন। এখানে Monetize with ads অপশনে ঠিক চিহ্ন দিয়ে দিলেই আপনার ভিডিওটিতে এখন থেকে Google বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে। তবে সাবধান কোন প্রকার কপি করা ভিডিও আপলোড করবেন না। তাহলে ইউটিউব যে কোন সময় আপনার Monetized অপশন Disable করে দেবে।
AdSense এ Apply করাঃ এখন আপনাকে আপনার YouTube Channel এর মাধ্যমে Google AdSense এর জন্য আবেদন করতে হবে। এই AdSense এর মাধ্যমে আপনি টাকা উত্তোলন করবেন। এখন আবার বামপাশের Channel অপশন হতে Monetization অপশনে ক্লিক করে ডানপাশে Enable Monetization বাটন হতে Monetization একটিভ করে নিতে হবে। তারপর নিচের দিকে How Will Paid নামে আরেকটি অপশন পাবেন। সেখানে associate an AdSense account এ ক্লিক করে Next ক্লিক করে আপনার Gmail ID এর মাধ্যমে লগইন করে যাবতীয় তথ্য দিলেই আপনার AdSense Request চলে যাবে। এখন ২-৩ দিনের মধ্যে আপনার AdSense Approve এর মেইল আপনার ইনবক্সে চলে আসবে।