আসসালামুআলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন। বর্তমান বিশ্বে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবথেকে বহুল প্রচলিত মোবাইল ফোন। এখন লক্ষ্য করলে দেখা যায় প্রায় সকলের হাতে একটি করে মোবাইল ফোন আছে আর বেশিরভাগই সেটা অ্যান্ড্রয়েড ফোন। এন্ড্রয়েড ফোনের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। আর এই ব্যাপারে ফোনের ব্যবহার প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার একটাই কারণ মোবাইল ফোন সচরাচর এবং সহজলভ্য হওয়া।
আগে যেমন একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো , কিংবা দূরবর্তী কোনো স্থানে যোগাযোগ করা প্রায় অসম্ভব ছিল। মোবাইল ফোন আজ সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে, মোবাইল ফোন দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করার মাধ্যমে পুরো বিষয়টাই আজ আমাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। আমরা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে জানতে পারি সারা পৃথিবীতে কোথায় কি হচ্ছে।
একটি ফোন নতুন কেনা হয় তখন সেটি যেমন সার্ভিস দেয় কিছুদিন পরে যায় সেই ফোনটিতে নানারকম সমস্যা দেখা দেয়। এসকল সমস্যার মধ্যে অন্যতম হলো ফোন স্লো হয়ে যাওয়া। নিম্নে ফোনের এইসব হয়ে যাওয়া সমস্যা সমাধানের কিছু টিপস বর্ণনা করা হলো:
১) অপ্রয়োজনীয়’ অ্যাপস আনইন্সটল করা:
আমাদের ফোনে অনেক ধরনের অ্যাপস থাকে যেগুলো আমাদের কোনো কাজেই লাগেনা, আবার অনেক অ্যাপস আছে যেগুলো আমরা সামরিক কোন কাজের জন্য ইন্সটল করি কিন্তু পরে সেগুলো আর কোনো কাজে আসে না। এই সকল অপ্রজনীয় অ্যাপসগুলো আমি ইনস্টল করলে আমাদের ফোন তেমন স্লো হবে না।
২) মোবাইলে মেমোরি ফাঁকা করা:
আমাদের ফোনে অপ্রয়োজনীয়’ অনেক ডাটা থাকে যেমন গান, ভিডিও ,ছবি এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস। এই সকল ডাটা গুলো মোবাইলের মেমোরিতে অনেক জায়গা দখল করে থাকে। যার ফলে মোবাইল আগের তুলনায় স্লো হয়ে যায়। অপ্রোজনীয় তথ্য গুলো ডিলিট করে দিয়ে বা মেমোরির ক্যাশ ক্লিয়ার করে আমরা আমাদের হাতে থাকা পন্টি আবার পূর্বের মত ফাস্ট করতে পারব।
৩) গেজেট রিমুভ:
আমাদের এ স্মার্টফোনটিকে সাজাতে আমরা বিভিন্ন ধরনের গেজেট ব্যবহার করে থাকি। মাত্রা অতিরিক্ত এসকল গেজেট ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের ফোন হ্যাং হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি গেজেট যেমন: ডবল ক্লক, টেম্পারেচার মিটার, ওয়েদার বক্স, গেম বক্স ইত্যাদি আপনার ফোনের ফ্রন্ট প্যানেল থেকে রিমুভ করে ফেলুন।
৪) পাওয়ার হ্যাঙ্গার অ্যাপ ডিজেবল:
আমাদের ফোনে অনেক অ্যাপ আছে যে গুলো বেশি ব্যাটারি ব্যবহার করে থাকে। ব্যাটারি পাওয়ার বাড়ানোর একটি কারণ ফোন স্পিড অ্যাপ এর। তাই আপনি সেটিংসে যে অ্যাপের মধ্যে দেখেন কোন অ্যাপ গুলো বেশি পাওয়ার নিচ্ছে এবং সেগুলো অপ্রয়োজনীয় হলে ডিজেবল করে দিন।
৫) অ্যানিমেশন মুড অফ:
অ্যানিমেশন মুড অফ এটি ফোন ফাস্ট করতে অনেক বেশি কাজে দেয়। তাই অ্যানিমেশন মুড অফ করে রাখাই উত্তম।
৬) ডাটা সেভ মুড:
গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে সেটিংস এ যান এবং দেখেন এখানে একটি ডাটা সেভ মুড অপশন আছে। আপনি এই অপশনটিতে প্রবেশ করে ডাটা সেভ মোড অন করে দিন। তৎক্ষণাৎ আপনি দেখতে পারবেন কি পরিমান ডাটা সেভ হচ্ছে। এতে আপনার অনলাইনে লোড করা পেজ এর স্পিড বাড়বে।
এই সকল সাধারণ পদ্ধতি গুলো একটু অবলম্বন করলেই আমাদের হাতে থাকা সুপার স্পিড ফোনটি কখনো হবে না। এবং স্লো হলেও তা খুবই কম পরিমাণে স্লো হবে।
আশা করি আমার পোস্টটি পড়ে উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।