ইন্টারনেট প্রযুক্তির প্রকারভেদ ঃ
মাএ কিছুদিন আগেও বাংলাদেশের ইন্টারনেট প্রযুক্তি ছিল হাতে গোণা কয়েকটি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাদের হাতে। আসলে সেই সময় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যেন জম্মী ছিল এইসব সার্ভিস প্রোভাইডার বা কাছে । কারন,সেইসময় ল্যান্ড ফোনের মধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হতো গ্রাহকদের। সুতারাং ব্যবহারকারী সরকারি ল্যান্ডফোনের মধ্যমে ইন্টারনেট প্রবেশ করতে হতো । আর সেই সাথে ব্যবহার করতে হতো বিশষ ধরনের ইন্টারনেট কার্ড। যার ফলে ব্যবহারকারীকে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য খরচ করতে হতো বেশি টাকা । যেমন সরকারি টেলিফোন ব্যবহাররের খরচের সাথে যুক্ত হতো এই ধরনের কলিং কার্ডের খরচ । সুতারাং তখন মোটামুটি এক মিনিটের চার্জ পড়ে যেত প্রায় .৫ পয়সার ওপরে ।
এইসময় বাজারে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানীর সৃষ্টি হয়েছিল । তারা প্রবর্তন করেছিল বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট কার্ড । বিভিন্ন মূল্যমানের এইসব কার্ড কিনে নিজে ইন্টারনেট অ্যাকাউন্ট সচল করতে হতো ব্যবহারকারিকে । এইসব এক ধরনের অসাধুতার প্রশ্রয়ও ঘটেছিল সরকারের অজান্তে । কারন এই সাথে সৃষ্টি হয়েছিল অনেক অবৈধ ভিওএলপি সার্ভারের।কলিং কার্ডের মধ্যমে বিভিন্ন বৈদাশিক ফোন কল করে সরাসরি কর ফাফি দেয়ার অনেকগুলো ফাক ফোকড় তৈরি হয়েছিল তখন।
কিন্তু দিন বলদের পালায় বদলে গেছে অনেককিছু। সরকারের সদিচ্ছার কারনে এইসব কলিং কার্ডের খপ্পর থেকে মুক্তি পেয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারিরা । ইন্টারনেট করে বিটিটিবি যখন বিটিসিএল এর কাছে হস্তন্তরিত হলো তারপর থেকে ইন্টারেন্ট একেবারে সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে গিয়েছে । এখন সরাসরি ইন্টারনেটে প্রবেশ খুবি সহজ হয়ে গিয়েছে ।
ইন্টারনেট কানেক্টেড হওয়া ঃ
ইতিপূর্বে আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইন্টারনেট প্রবেশ করার বিষয়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করছি । এই পর্যায়ে আমরা ইন্টারনেটে প্রবেশ করবো । আশা করা যায়, আপনি ইতিমধ্যে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হওয়ার প্রয়োজনীওয় প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করেছেন ।
শুধুমাএ ব্রডব্যান্ড কানেকশন ছাড়া অন্য যে কোন ডায়াল আপ ইন্টারনেত ব্যবহার করতে হবে। ইতিপূর্বে আমরা আলোচনা করছি , ডায়াল আপ ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারিত হয় বিভিন্ন ফোন লাইনের মধ্যমে ইন্টারনেট সংযুক্ত হওয়ার জন্য । এক্ষেত্তে যখন আপনি বিটিসিএল এর ফোন লাইনের মধ্যমে ইন্টারনেট যুক্ত হতে চাইবেন তখন আপনার প্রয়োজন হবে একটি মডেম
আর মডেমের মাধ্যমে সরাসরি বিটিসিএল এর ইন্টারনেট সার্ভারের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে ডায়ালার । এই ডায়ালার তৈরি করে নিতে হবে কম্পিউটারের কট্রোল প্যানেলের নেটওয়ার্ক কানেকশন নামক আইকনে ডাবল ক্লিক করে । ডায়ালার তৈরির জন্য প্রয়োজনে বিটিসিএল এর ইন্টারনেট বিভাগে যোগাযোগ করতে পারবেন । তারা এই বিষয়ে আন্তরিকতার সাথে আপনার সহায়তা প্রদার করবে।
ব্রডব্যান্ড কানেকশন ডায়ালার কানেকশন ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না । কারন, যখন আপনার কম্পিউটারে ব্যডব্যান্ড কানেকশন লাগলো থাকবে তখন কম্পিউটার অন করা মাএ আপনার কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযুক্ত থাকবে কাছাকাছি সার্ভারের সাথে । এই পদ্ধতিতে লোক্যাল এরিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যেমে নিকটস্থ ইন্টারনেট সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকবে আপনার কম্পিউটার । কখনও কোন কারনে এই সংযোগ কেটে গেলে বা সংযোগটি ডিজেবল করা হলে সেটা আবার সচল করা যায় ।অনেক সময় কম্পিউটার রিস্টার্ট দিলেও সংযোটি পুনরায় এস্টিবলিশড হয়ে থাকে।
আপনি যদি বিভিন্ন ফিক্সড সেলুলার ফোন যেমন ন্যাশলার, ওয়াটটেল, র্যাংকসটেল ইত্যাদি ফোন লাইন ব্যবহার করেন ইন্টারনেটে কানেক্টড হবার জন্য তাহলে ও আপনার প্রয়োজন হবে ডায়ালার । তবে এইসব ফোন লাইনের জন্য তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা আছে । এই ধনের ফোন সেট কম্পিউটারে কনফিগার করার সময় উক্ত ডায়ালার তৈরি হয়ে যায় ।
আপনি যদি মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে যে কোন মোবাইল সীমকার্ডের মাধ্যমে ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে চান -তখন উক্ত মোবাইল আপারেটরের নিজস্ব ডায়ালার ব্যবহার করতে হবে আপনাকে । কিংবা যে জিপিয়ারসি মোবাইল ফোনটি কোনফিগার করার সময়ই উক্ত ডায়ালার তৈরি হয়ে যাবে ।