আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি সবাই ভাল আছেন সফটওয়্যার এবং সুস্থ আছেন। আজ আমি নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। নতুন যে ব্লগটি আমি আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এলাম সেটা হলো এইচটিএমএল এর ধারণা সম্পর্কে। এর আগে আমি আরেকটা পোস্ট করেছিলাম সেটি হল এইচটিএমএল এর মৌলিক বিষয় সমূহ গুলো কি কি। আপনারা চাইলে সেই পোষ্টটি এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। তো চলুন আমরা আজকের পোস্ট অর্থাৎ এইচটিএমএল এর ধারণা সম্পর্কে জেনে নেই। আপনারা অনেকেই হয়তো এইচটিএমএল সম্পর্কে জেনে থাকবেন। যারা না জানেন এবং যাদের বিষয়ে ধারণা নেই তাদের জন্য আমি আজকে পোস্টটি করলাম।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি world-wide-web সম্পর্কে। world-wide-web একটি বৃহৎ সিস্টেম যা অনেক গুলো ওয়েব সার্ভার এর সমন্বয়ে গঠিত হয়। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের যেকোনো ধরনের তথ্য ও সঞ্চালন সরবরাহ করতে সক্ষম হলো এসব ওয়েব সার্ভার। world-wide-web যে আবিষ্কার করেছিলেন তার নাম হয়তো অনেকেরই অজানা।
তার নামটি হল টিম বার্নার্স লি। তিনি প্রথম যে ওয়েব পেজ টি তৈরি করেছিলেন সেখানে প্রথম হাইপারটেক্সট মার্কআপ ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। এইচটিএমএল একটা কম্পিউটার ল্যাঙ্গুয়েজ যা পৃথিবীর বিশাল তথ্য ভান্ডার কে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য প্রদানের সুযোগ করে দিয়েছে। ওয়েবপেজের মূল কাঠামো তৈরি হয় এইচটিএমএল দিয়ে। এইচটিএমএল কোন প্রোগ্রামিং ভাষা নয়। এর পূর্ণরূপ হলো হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ।
মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ একসেট মার্ক আপ ট্যাগের সমন্বয়ে গঠিত হয়ে থাকে। একটা পেজ এর বিভিন্ন অংশ ব্রাউজারের মাধ্যমে কিভাবে প্রদর্শিত হবে তাই এইচটিএমএল ও মার্ক আপ ট্যাগ সমূহ ব্যবহার করে প্রকাশ করা হয়। 1990 সালের দিকে এনসিএসএ NCSA কর্তৃক ডেভলপ কৃত মোজাইক ব্রাউজারের মাধ্যমে এইচটিএমএল এর পরিচিতি লাভ করে। 1997 সালের জানুয়ারিতে w3c কর্তৃক প্রথম ডেভলপ কৃত এইচটিএমএল 3.0 প্রকাশিত হয়। একই বছরের শেষে ডিসেম্বরে w3c এইচটিএমএল এর নতুন সংস্করণ এইচটিএমএল 4.2 প্রকাশ করে। এইচটিএমএল এর সর্বশেষ ভার্সন html5 পরিচিতি লাভ করে 2010 সালে।
আমি আপনাদের এইচটিএমএল সম্পর্কে কিছুটা ধারনা দিতে চেষ্টা করেছি। পোস্টটি পড়লে আপনার বুঝতে পারবেন এইচটিএমএল এর উৎস কোথা থেকে আরম্ভ হয়েছে। তো আজকের মতো এই পর্যন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে