আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমরা সবাই বর্তমানে ইন্টারনেটের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। ইন্টারনেট সেবা আমরা বিভিন্ন উপায়ে পেয়ে থাকি। মোবাইল সিম কোম্পানিগুলো আমাদেরকে এই ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে বিভিন্নভাবে।
তাদের বিভিন্ন প্রকার প্যাকেজ সিস্টেম অনুসারে তারা তাদের গ্রাহককে এই ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ করে গ্রাহককে মোবাইল সিম কোম্পানিগুলোর থেকে ওই নির্দিষ্ট পরিমাণ ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয় করতে হয়। কিন্তু সমস্যাটি সেখানে নয়। ইন্টারনেট প্যাকেজ টির পরিমাণ যেরকম নির্দিষ্ট থাকে এর মেয়াদ ও ঠিক সেই রকমই নির্ধারণ করা থাকে সিম কোম্পানির পক্ষ হতে।
সেই নির্দিষ্ট সময়সীমা পার হওয়ার পর আপনার ক্রয় কৃত প্যাকেজে ডাটা অবশিষ্ট থাকলেও আপনি ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন না। এই কারণে গ্রাহকদেরকে বেশ ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। কারণ গ্রাহকরা সিম কোম্পানিগুলো থেকে ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয় করে কিন্তু সময় ক্রয় করে না। বাংলাদেশের প্রচলিত সিম কোম্পানিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় নামগুলো হলো: গ্রামীণফোন, লিংক, রবি, এয়ারটেল। আমরা সবাই এদের কাছ থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ইন্টারনেট প্যাকেজ ক্রয় করে থাকি। কিন্তু তারা শুধু ডাটা নয় সময় আমাদের নিকট বিক্রি করে।
যেমন ধরুন আপনি ১ জিবি ডাটা ক্রয় করবেন যেখানে ওই ডাটার মেয়াদ হবে তিনদিন। যার মূল্য মনে করুন ৩৫ টাকা। কিন্তু ওই সময় পরিমাণ ডাটাই যদি আপনি আর একটু সময়সীমা বাড়িয়ে সাত দিনের জন্য ক্রয় করেন তবে আপনার খরচ হতে পারে ৭০ টাকা। শুধু মাত্র চারদিন সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য আপনাকে অতিরিক্ত ব্যয় করতে হলো আরও ৩৫ টাকা। এই বিষয়টি গ্রাহকদের নিকট মোটেই পছন্দনীয় নয়।
এই সমস্যা সমাধানের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) এই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখন থেকে যদি গ্রাহকের ক্রয় কৃত ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তবে পুনরায় ওই প্যাকেজটি কেনার ফলে পূর্বের প্যাকেজে বেঁচে যাওয়া ডাটা নতুন প্যাকেজের সাথে যুক্ত হবে।
যার ফলে গ্রাহকদের ভোগান্তি অনেকাংশেই করতে সক্ষম হবে। এমন উদ্যোগী গ্রহণ করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার শুধুমাত্র একটি মোবাইল সিম কোম্পানির জন্য নয় বরঞ্চ প্রত্যেকটি মোবাইল সিম কোম্পানির ক্ষেত্রে এই নিয়ম ধার্য করা হবে। এতে করে ইন্টারনেট গ্রাহক দের ক্রয় কৃত ডাটার সুনিশ্চিত ব্যবহার সম্ভব হবে এবং তাদের ব্যয় করা অর্থের সঠিক মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে। বর্তমানে বাংলালিংক ইতোমধ্যে তাদের গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধাটি চালু করেছে। আশা করা যাচ্ছে অতিশীঘ্রই বাংলাদেশের অন্যান্য মোবাইল সিম কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের জন্য এই সুবিধা নিয়ে আসতে চলেছে।