আমরা অনেকেই ক্লাউড কম্পিউটিং নামটি শুনেছি।আবার অনেকে এটির ব্যবহার ও জানেন। আবার অনেকে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাপারটির সাথে পরিচিত নয়।যাইহোক, ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়েই আজকের বিস্তারিত আলোচনা।ক্লাউড কম্পিউটিং কী, কীভাবে কাজ করে এধরণের জ্ঞান আমরা অর্জন করব । আজকের আর্টিকেলটি একটু গুরুত্বপূর্ণ তাই মনযোগ দিয়ে সবাই পড়ার চেষ্টা করবেন অনেক কিছু জানতে পারবেন । তো চলুন শুরু করা যাক-
ক্লাউড কম্পিউটিং আসলে কী?
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো কোনো একজন Seller বা ক্রেতার তথ্য ও বিভিন্ন Application কে কোন সেবাদাতার সিস্টেমে অাউটসোর্স করার এমন একটি মডেল যাতে তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকবে যেমন রিসোর্স স্কেলেবিলিটি,অন-ডিমান্ড সেবা,Pay as you go.
রিসোর্স স্কেলেবিলিটি:ক্রেতা যতো যত চাবে,সেবাদাতা ততই অধিক পরিমাণে সেবা দিবে এটাই রিসোর্স স্কেলেবিলিটি।
অন-ডিমান্ড সেবাঃঅন ডিমান্ড সেবা ক্রেতার ইচ্ছা অনুযায়ী অর্থাৎ ক্রেতা যখনই সেবা চাবে সেবাদাতাকেও তখনই ক্রেতার সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ক্রেতা তার ইচ্ছেমতো চাহিদা বাড়াতে কমাতে যেকোন সময়েই সক্ষম।
Pay as you go:এইক্ষেত্রে ক্রেতা যা ব্যবহার করবে তার জন্যই শুধু পয়সা দিবে। অর্থাৎ আগে কোন সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে না।
অর্থাৎ এই তিনটি বৈশিষ্ট্য ক্লাউড কম্পিউটিং এ থাকতে হবে।বিষয়টিকে যদি আমরা একটু সহজ করি।যখনই প্রয়োজন অর্থাৎ প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফট্ওয়্যার ব্যবহার করা।এ পদ্ধতিটিই ক্লাউড কম্পিউটিং। জিনিসটিকে যদি আমরা আরও সহজ করি যেমন ধরুন আপনি একটি কোম্পানি চালাবেন আর একটা কোম্পানির জন্য প্রযোজন ১০ টি সার্ভার,অনেক জায়গা,অনেক বিদ্যুৎ বিল, এখন আপনার কাছে যথেষ্ট জায়গা নেই,বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্যও এত অর্থ নেই আবার সেট-আপ ও Maintains করাও কষ্টসাধ্য এখন আপনি কী করবেন?
এখনই আপনি যেই জিনিসটি করবেন সেটি হচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং এর আশ্রয় নেয়া। অর্থাৎ এই ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে আপনি ইন্টারেনেটের মাধ্যমে সার্ভার স্বল্প খরচেই ভাড়া করে নিতে পারবেন।এর ফলে আপনি ভার্চুয়াল ভাবে সেই সার্ভার গুলো আপনার করে নিতে পারবেন এবং কাজ ও করে নিতে পারেন প্রয়োজন অনুযায়ী। এর ফলে আপনার অর্থ, জায়গা বা কোন কিছু নিয়েই চিন্তা করতে হবে না।আর আপনি যতক্ষণ চাবেন ততক্ষণই ভার্চুয়াল সার্ভার ব্যবহার করতে পারবেন আবার অতিরিক্ত অর্থও দিতে হবে না তার মানে আপনি যতক্ষণ ব্যবহার করবেন শুধু ততক্ষণের অর্থই পরিশোধ করতে হবে। এই ব্যাপারটিই মূলত আমাদের ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে সারাংশ ধারণা দেয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং এরও প্রকারভেদ আছে যেমনঃPublic Cloud, Community Cloud, Private Cloud, Hybrid Cloud.
Public Cloud জনসাধারণের জন্য জন্য উন্মুক্ত, যে চাবে টাকা দিয়ে সেই এটির সুবিধা নিতে পারবে।তবে এইক্ষেত্রে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা দেখা যায় মাঝে মাঝে।
Community Cloud ও অনেকটা Public Cloud এর মতো তবে এটি কয়েকটি গ্রুপ বা কমিউনিটির মধ্যেই এটি সীমাবদ্ধ। এখানে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সম্মুখে পড়তে হয়না।
Private Cloud মূলত বড় সংস্থার জন্য।এটি সম্পর্কে অনেক বিতর্ক আছে তাই সেই বিতর্কে না যাওয়াই আপাতত ভালো বলে আমি মনে করি।
Hybrid Cloud হলো Private আর Public ক্লাউডের মিশ্রণ।তবে Hybrid Cloud এ খরচ তুলনামূলক বেশী কারন এটিতে দুই রকমের ভিন্ন সেবাই থাকে।
আমরা যদি ওইসব ক্লাউডের ব্যবহার করতে যাই তাহলে আমরা হবো ক্লায়েন্ট। সবশেষে বলা যায় ক্লাউড কম্পিউটিং নিসন্দেহে অনেক সুবিধাজনক,কেননা অপারেটিং খরচ কমানো যায়,অসীম স্টোরেজসহ আরও অনেক সুবিধা ভোগ করা যায় এই ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে।আমরা যে Google drive,one drive ব্যবহার করে থাকি এগুলোও কিন্তু Cloud application.
আশা করি ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পেয়েছেন। সময় নিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেল টি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।কোথাও ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাদৃষ্টি দেখবেন।সামনে আরও ইন্টারেস্টিং কিছু থাকবে।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।