টেকনোলজি রিলেটেড আজকের আর্টিকেলটি নেটওয়ার্কের প্রজন্ম নিয়ে।অর্থাৎ 1G,2G,3G,4G নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো আজকের এই লেখায়।
আমরা তো সাবই 1G, 2G,3G চালিয়ে এসেছি আর বর্তমানে আমরা 4G চালাচ্ছি। যদিও 4G এর একদম শেষ প্রান্তেই আছি আমরা বলতে পারি।অর্থাৎ 5G যুগ আর বেশী দিন নেই।অনেকটা বলা যায় এটি দরজায় কাড়া মারছে।সুতরাং আমরা এখন ও 4G যুগেই আছি।তবে এই 1G,2G,3G,4G সম্পর্কে আমরা জানিই বা কতটুকু?
অনেকে হয়তো 1G ও ব্যবহার করেন নি যেহেতু অনেক আগের এটা।এই 1G বা First Generation, এটি আশির দশকের।এটি ছিল মূলত সেলুলার নেটওয়ার্ক ভিত্তিক,এনালগ সিস্টেম ভিত্তিক।
এই 1G এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু বৈশিষ্ট্য:
1)এরা এনালগ পদ্ধতিতে তথ্য প্রেরণ করতে সক্ষম ছিল
২)বেজ স্টোশন ও মোবাইল ফোন দুটি ভিন্ন ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করত
3)এদের অর্ধপরিবাহী মেমোরি ছিল
4)মাইক্রোপ্রসেসর এগুলোতে ব্যবহৃত হত
5)এগুলোর ডেটা ট্রাসফার রেট ছিল মাত্র 2.4-14.4 kbps। বুঝতেই পারছেন কতটা স্লো ছিল ।
6)এগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য ছিল শুধু কথা বলা অর্থাৎ 1G প্রযুক্তি শুধুমাত্র কথা বলার জন্যই ব্যবহৃত হত।
7) 1G প্রযুক্তির ফোনগুলো ভারী ছিল বেশ
8)এগুলোর রোমিং সুবিধা ছিল না
উদাহরণসরূপ AMPS
গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য হলো এটি 1979 সালে শুরু হয় আর শেষ হয় 1990 সালে আর বাংলাদেশে আসে 1989 সালে অর্থাৎ একদম শেষের দিকে।প্রথম USA তে এটি চালু করা হয়েছিল।
এবার 2G নিয়ে কথা বলা যাক।1G শেষ হলে পরে 1991সালে ফিনল্যান্ডে প্রথম 2G বা Second Generation চালু হয়।মোবাইলের ইন্টারনেট সেটিংসে আমরা GSM দেখতে পাই, সেটিই 2G কে নির্দেশ করে।এই 2G এর কিছু বৈশিষ্ট্য :
1)এই 2G এর মাধ্যমেই প্রথম ডিজিটাল তথ্য প্রেরণ করা সম্ভব হয়।অর্থাৎ 2G দ্বারা ডিজিটাল তথ্য প্রেরণ করা সম্ভব হতো।
2)রোমিং ব্যবস্থা ছিল
3)2G এর বিকাশ ই মোবাইল ফোনের পেমেন্ট সিস্টেমের সূচনা করে
4)SMS এবং MMS ব্যবস্থা ছিল।
5) ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেত তবে ধীরগতির ছিল
6)ডেটা ট্রান্সফার রেট ছিল 14.4 kbps
7)এদের পরিবাহী মেমোরি ছিল
অর্থাৎ 2G, 1G অপেক্ষা কিছুটা হলেও উন্নত ছিল আর এটি বাংলাদেশে আসে 1996 সালে।অর্থাৎ শুরুর প্রায় ৫ বছর পর আসে।
এবার আসি 3G বা 3rd Generation নিয়ে। এখনো আমরা অনেকেই 3G ইউজ করছি কারণ 3G তে ইন্টারনেট ডেটা কিছুটা কম লাগে বলে।3G প্রথম শুরু হয় 2001 সালে,জাপানে।ইন্টারনেট সেটিংসে গেলে যে CDMA
,GPRS বা EDGE দেখতে পাই সেটিই 3G।3G এর কিছু বৈশিষ্ট্য:
১)ভয়েস ও ডেটা ট্রান্সমিশনের জন্য ডিজিটাল সিস্টেমের ব্যবহার করে 3G প্রযুক্তি
২)অনলাইনে যেকোন সময় ব্রাউজ করা যায়,ইমেইল করা যায় ও দ্রতগতিতে কোন ফাইল ডাউনলোড করা যায়।
৩)ভিডি কনফারেন্স করা যায়। 3G প্রযুক্তিই ভিডিও কলিংএর সূচনা করে।
৪)এটির ডেটা ট্রান্সফার রেট ৩.১ mbps.
৫)পরিবাহী মেমোরি বিদ্যমান
৬)সহজেই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়
এই 3G বাংলাদেশে অনেক পরে আসে।অর্থাৎ এটি চালু হয় 2001 সালে আর বাংলাদেশে আসে 2012 সালে এই থেকে বোঝা যায় আমরা কতটা পিছিয়ে ছিলাম।
এখন আমরা কথা বলব Fastest নেটওয়ার্ক 4G নিয়ে।যেটা হয়তো এখনো, এইমুহূর্তে আপনি USE করছেন।LTE,Wi-max ই হলো 4G।এই 4G শুরু হয় ২০০৯ সালে কোরিয়াতে। তো চলুন জেনে নেয়া যাক এই 4G এর কিছু বৈশিষ্ট্য ঃ
১) ডেটা ট্রান্সফার হার অনেক বেশী
২)এটির Frequency অনেক উচ্চ
৩)এটি দ্বারা 3D Image প্রেরণ করা সম্ভব
৪)এটির ডেটা ট্রান্সফার রেট ১০০ mbps!!!বুঝতেই পারছেন কতটা Fast.
৫)মোবাইল টিভি 4G এর জন্যই বিকশিত হয়েছে
4G বাংলাদেশে সম্প্রীতিনই বলা যায়।।একটা আকর্ষণীয় ফ্যাক্ট হলো 4G এর গতি 3G অপেক্ষা ৫০ গুণ বেশী গতিসম্পন্ন।!!
আশা করি 1G,2G,3G,4G সম্পর্কে অনেক কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দেবেন।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।