হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি । আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়। ব্লু হোয়েলের অজানা রহস্য—
মনে আছে কি, কক্সবাজারে কয়েকদিন আগে দুটো মৃত তিমি ভেসে এলো! বিজ্ঞানীরা ধারণা করছে এরা কাপল, পুরুষ তিমিটি হয়তো বড় কোন জাহাজের ধাক্কায় মারা গেছে, এই শোক সইতে না পেরে স্ত্রী তিমিটিও আত্মহত্যা করেছে।
শুধু মানুষ নয় অন্যান্য প্রাণিরাও আত্মহত্যা করে। হুমায়ূন আহমেদের ‘হিমুর হাতে কয়েকটি নীল পদ্ম’ উপন্যাসে পড়ছিলাম কোনো একধরনের ইঁদুর প্রজাতির প্রাণিরাও নাকি দলবেঁধে আত্মহত্যা করে, প্রাণিটার নাম-ধাম আমার ঠিক মনে নেই। তিমি মাছও একধরনের আবেগ সম্পন্ন প্রাণি যারা আত্মহত্যা করতে সক্ষম। তিমি খুবই অনুভূতি সম্পন্ন প্রাণী, তিমির বুদ্ধিও আছে, এরা কখনো একা চলে না, জোড় বেঁধে চলে, সঙ্গীর মৃত্যু হলে তিমি যখন একা হয়ে যায় তখন সে অনেকসময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
সঙ্গীর মৃত্যু হলে তিমির আত্মহত্যার ঘটনা বিশ্বে প্রচুর। এরা দল বেঁধে চলতে ভালবাসে, একজনের বিপদ হলে সবাই ঝাপিয়ে পড়ে, দলের জন্য অনায়েসে নিজের জীবন দিয়ে দেয়। কয়েক বছর আগে নিউজিল্যান্ডে এক দিনে প্রায় তিনশ তিমি আত্মহত্যা করেছিল। এরা সমুদ্রের তীরে উঠে আসে, মানুষ অনেক চেষ্টা করেও তাদের সমুদ্রে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ভারতের তামিল নাড়ুতে প্রায় ১০০টি তিমি তীরে এসে আটকে গিয়েছিল। জেলেরা অনেকগুলোকে অনেক চেষ্টা করে ঠেলে সমুদ্রে পাঠালেও তারা আবার ফিরে আসে। রাতে সমুদ্রে নিয়ে ছেড়ে দিয়ে আসার পর সকালে উঠে দেখে সবগুলো আবার ফিরে এসে তীরে মরে পড়ে আছে।
বিজ্ঞানীরা ধারণা করে, কোন তিমি যদি তীরে উঠে বালুতে আটকে যায় তখন সমুদ্রে একটি ওয়েভ-সিগন্যাল পাঠায়, তাকে বাঁচাতে তখন ঝাকে ঝাকে তিমি এসে নিজেরাও আটকে যায়। জেলেরা ধরে নিয়ে তাদেরকে সমুদ্রে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করলেও সঙ্গীকে ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত বারবার ফিরে আসতে থাকে।
ব্লু-হোয়েল (নীল তিমি) নামে একটা গেম নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল, যে গেমটা মানুষকে আত্মহত্যা পর্যন্ত নিয়ে যায়, এই হলো গেমটির নাম করণের সার্থকতা।
‘মবি ডিক’ উপন্যাসের সেই সাদা তিমিটার কথাও তো আলাদা করে বলতে হয়, সেও তো রাগের বশেই বোধহয় আহাবকে মেরে ফেলেছিল, তাই না?
কি অদ্ভুত এই প্রকৃতি!