সত্যিই মেয়েদের জীবনটা আজব..
চিনা নেই জানা নেই..কখনো দেখনো দেখে ও নি যেই মানুষটাকে তিনবার কবুল বলে সেই মানুষটাকে আপন করে নিতে হয়…
আসলেই কি সে নিজে ইচ্ছে করে যায়..!!না তাকে যেতে বাধ্য করে…
যেই বাড়িতে ছোট থেকে বড় হয়েছে..সেই বাড়ি টা একদিন তার জন্য মেহমান খানা হয়ে যায়..
নিজের আপন মা বাবা ভাই বোনকে সারাজীবনের জীবনের জন্য পর করে দিতে হয়..
শশুর বাড়িতে গিয়ে হতে হয় নানা অত্যাচারের স্বীকার..
সকালে ঘুম থেকে একটু উঠতে দেরি হলে..শুনতে হয় হাজারো রকমের কথা….
মুখ বুজে সব সহ্য করতে হয়..
কারন সে জানে এটা যে পরের বাড়ি…পরের কথা মত ই চলতে হবে…
এই মানিয়ে নেওয়ার জন্য পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড পেট ব্যথা নিয়ে ও তাকে রান্না করতে হয়..
মেয়েরা জানে কিভাবে পরিবারের মানুষের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে হয়…
কষ্ট হলে ও সব কিছু মানিয়ে নেয়..কারন সে জানে সে মেয়ে..
তার ভালো লাগার খারাপ লাগার কোনো মূল্য নেই..
কেউ বুঝবে না তার মনের কষ্ট..কারন এটা যে তার নিজের বাড়ি নয়…
নিজের চাওয়া পাওয়ার কোনো মূল্য কখনো কেউ দেয় না..
জোর গলায় কখনো কারো সাথে কথা ও বলতে পারে না…
প্রেগন্যান্সির সময় তার ভালো লাগা খারাপ লাগার মূল্য কেউ দেয় না..
এ সময় ও তাকে পরিবারের সব কাজ করতে হয়..
কারন এটা যে অন্যের বাড়ি।
নিজের মা বাবা ভাই বোনকে দেখতে মন চাইলে নিজের ইচ্ছে মত দেখতে ও পারে না…
তার জন্য ও কত কথা শুনতে হয়।
সারা এলাকা ঘুরে বেড়ানো মেয়েটাকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থাকতে হয়….
এই যে এত ত্যাগ…তার পরে ও পরিবারের মানুষ গুলোর কাছে ভালো হতে পারে না..
শুনতে হয় হাজারো রকমের কথা..
বিয়ের দিন নিজের বাড়ির সব কিছু ছেড়ে চলে আসে..অন্যের ঘরের ঘরনী হয়ে…
এই বিদাই টা যে কতটা যন্ত্রনা..সেটা শুধু মাএ একটা মেয়ে ই জানে..
এই অনুভূতি চাইলে ও ভাষায় প্রকাশ করা যাবে…
এ যা সত্যিই অনেক কষ্টের…
কি অদ্ভুত জীবন তাই না..
একটা মেয়ে মা হওয়ার সময় কি পরিমান কষ্ট সহ্য করে..সেটা কখনো একটা পুরুষ বুঝবে না..
এত ত্যাগ এত কষ্ট পাওয়ার পরে ও একটা মেয়ে মুখ বুঝে সব সহ্য করে যায়…
পর মানুষ গুলোকে আপন করে….নিজের জীবনটাকে নতুন করে সাজিয়ে নেয়…
সত্যিই মেয়েদের জীবনটা বড়ই অদ্ভুত…..
এয়ারটেল সিম দিয়ে ফ্রিতে ইন্টারনেট-ফেসবুকসহ সবকিছু চালান !
আসসালামুয়ালাইকুম, প্রিয় পাঠক কেমন আছে আশা করি অনেক ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে এমন একটা ট্রিকস শেয়ার করব যেটার...