আলাইকুম প্রিয় পাঠকবৃন্দ আশা করি সকলে অনেক ভাল আছেন। এটা জানি যে আপনারা সকলে মুভি দেখতে অনেক পছন্দ করেন বিশেষ করে হলিউডের মুভির তো জুড়ি নেই। যারা সবসময় হলিউডের মুভি দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য স্পেশাল হবে আজকের এই টপিকস। আজকে আমি এমন একটি হলিউড মুভির রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি যে আপনারা জানলে হতবাক হয়ে যাবেন।
মুভিটির নাম হচ্ছে – Hachi-A Dog’s Tale
আমি যদি আমার পার্সোনাল রেটিং দেই তাহলে হবে9.9/10
তাহলে এবার চলুন মুভিটির কাহিনী শুনে নেওয়া যাক। মুভিটির মেন কাহিনীতে থাকবে একটি কুকুর যার নাম হাচি। এই কুকুরের অভিনয় দেখলে আপনি আপনার চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না তারপর আরেকটি মেইন চরিত্রে রয়েছে প্রফেসর পার্কার নামক এক ব্যক্তি। মুভিটি মূলত প্রচন্ড ইমোশনাল একটি মুভি। এমন কেউ নেই যে এই মুভিটি দেখেছে অথচ কান্না করে নি। মুভিটি মূলত একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। 1923 সালে জাপানে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে এই মুভিটি নির্মাণ করা হয়েছে। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে এই মুভিটি অস্কার পায় নি ঠিকই কিন্তু অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল এবং পুরো বিশ্ববাসীর হৃদয় কেড়ে নিয়েছিল। যারা নিয়মিত হলিউড মুভি দেখেন তাদের কাছে শুনলেই বুঝতে পারবেন যে তাদের প্রিয় মুভির লিস্টে এই মুভির নাম থাকবেই। মুভিটি শুরু হয় মূলত প্রফেসর পার্কার কে দিয়ে। তিনি একদিন স্টেশনে একটা ছোট কুকুরের বাচ্চা দেখতে পেলেন তিনি বাচ্চাটিকে তার মালিকের কাছে ফেরত দিতে চেয়েও অনেক খোঁজাখুঁজি করে পেলেন না। পরে তিনি বাচ্চাটিকে তার বাড়িতে নিয়ে এলেন। তার স্ত্রী এ ব্যাপারটা খুব একটা পছন্দ না করলেও তিনি তার পাশের রুমে এই বাচ্চাটিকে রেখে দিলেন এভাবেই আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে বাচ্চাটা এবং প্রফেসরের খুব প্রিয় হয়ে ওঠে। কুকুরটি প্রফেসরকে এক মুহূর্তের জন্যও আলাদা থাকতে দিতে চাইত না। যেখানে যেতেন হাচি তার পিছে পিছে যেত প্রফেসর যখন নিয়মিত অফিস করতেন তখন কুকুরটি তাকে স্টেশন পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসত এবং স্টেশনে বসে থাকতো যতক্ষণ না প্রফেসর আবার অফিস থেকে ফিরে। অফিস থেকে ফিরে এলেই কুকুরটি যখন তার প্রফেসরকে দেখতো ট্রেন থেকে নামছে তাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরত। এভাবেই দিনের পর দিন কাটতো। কুকুরটি এতই জনপ্রিয় ছিল যে ওই অঞ্চলের প্রায় সমস্ত মানুষকেই হাচী কে খুব ভালোবাসতো। তারা দেখা হলেই হাজির সাথে কদমর্দন করতে চাইত তাকে খেতে দিত। একদিন প্রফেসর হাসি কে সাথে নিয়ে স্টেশন পর্যন্ত গেলেন এবং তারপর অফিসে চলে গেলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে প্রফেসর আর ফিরে এলেন না অফিসেই তিনি তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পরিবারের লোকজন হাচিকে সাথে না নিয়েই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করল এদিকে হাসি স্টেশনে অপেক্ষায় করতে লাগলো তার প্রফেসরের জন্য। প্রফেশ্বর এর বাসার ছেলেমেয়েরা তার বাসা চেঞ্জ করে অন্য কোথাও চলে গেল হাচিকেও সাথে করে নিয়ে যাবার অনেক চেষ্টা করল। একবার সাথে নিয়েও গেল কিন্তু বেঁধে রাখতে পারল না হাঁচি আবারো স্টেশনে এসে হাজির হলো। এভাবেই দিনের পর দিন কাটতে থাকলো মাসের পর মাস বছরের পর বছর প্রায় 20 বছর পার হয়ে গেল। এরপর কাহিনী কি ঠিক কোন দিকে এগুলো তা জানতে হলে আপনাকে মুভিটি দেখতেই হবে। আসলে মানুষের সাথে কুকুরের বন্ধুত্ব যে কতটা পর্যায়ে যেতে পারে এই মুভিটি না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। আর কুকুর ও যে মানুষকে কতটা প্রভুর সমতুল্য দেখতে পারে তা নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। আমি অবশ্যই আপনাদের সাজেস্ট করবো যে এই মুভিটি অবশ্যই দেখবেন। পরবর্তীতে আবার কোনো নতুন হলিউড মুভি রিভিউ নিয়ে হাজির হব ততদিন পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
ওয়ালটন চার্জার ফ্যানের দাম, চার্জার ফ্যান প্রাইস ইন বাংলাদেশ
ওয়ালটন চার্জার ফ্যানের দাম, চার্জার ফ্যান প্রাইস ইন বাংলাদেশ, চার্জার ফ্যান কিনতে আপনার নিকটস্থ ওয়ালটন শো রুম থেকে ঘুরে আসতে...