আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ( পার্ট-২, ৪র্থ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।
(ক) বিদ্যুৎ পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের নাম লেখ।
উত্তর: বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ: তামা, দস্তা, সোনা, লোহা, টিন ও অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি।
বিদ্যুৎ অপরিবাহী পদার্থ: কাঠ, রাবার, মাইকা, চিনামাটি ও কাচ প্রভৃতি।
(খ) বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তারের ব্যবহারের কারণ কি লেখ।
উত্তর: তামা বিদ্যুৎ সুপরিবাহী, দামে সস্তা, সহজলভ্য, সহজে কাটা যায় কিংবা জোড়া দেওয়া যায়।
অ্যালুমিনিয়ামও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী, কিন্তু তাতে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড তৈরি হয় যা পরবর্তী সময়ে বিদ্যুৎ প্রবাহে বাধা দেয়। রুপাও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী কিন্তু অনেক দামি। স্টিল অনেক শক্তিশালী কিন্তু এর বিদ্যুৎ পরিবাহিতা কম। তাই সব দিক থেকে বিচার করলে বৈদ্যুতিক তারে তামার ব্যবহারের ই সবচেয়ে সুবিধাজনক। এই কারণে বিদ্যুৎ পরিবহনে তামা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
(গ) উদ্দীপকের ১ম চিত্রে মোম গলে পড়ার পরবর্তী অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: উদ্দীপকে প্রথম চিত্রের মোম গলে পড়ার অবস্থাটি তরল অবস্থা। এর পরবর্তী অবস্থা হলো কঠিন। নিচে তার ব্যাখ্যা করা হলো:
মোমের চলনে পদার্থের তিন অবস্থা দেখা যায়। যেমন: কঠিন,তরল এবং গ্যাসীয়। কঠিন অবস্থায় তাপের প্রভাবে মোম গলে তরলে পরিণত হয়। তখন কিছু অংশে বাষ্পে পরিণত হয়।এর পরবর্তী ধাপে মোমের কিছু অংশ নিচে জমে কঠিন মোমে পরিণত হয়। অর্থাৎ এ ধাপটিতে পদার্থের কঠিন অবস্থা বিরাজ করে। কোন বস্তু যতটুকু জায়গা দখল করে সেটা ঐ বস্তুর আয়তন। সকল কঠিন বস্তু জায়গা দখল করে। তাই সকল
কঠিন বস্তুর আকার ও আয়তন আছে। তবে কিছু কিছু কঠিন পদার্থের দৃঢ়তা কম। যেমন সরিষা দানা ভাত কলা ইত্যাদি।
সুতরাং বলা যায়, মোম গলে পড়ার পরবর্তী অবস্থা কিছু পরিমাণ তরল এবং কিছু পরিমাণ বাষ্পে পরিণত হয়।
(ঘ) চিত্রে পদার্থটির গলনাঙ্ক ও হিমাংক কি একই? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে – বিশ্লেষণ কর।
উত্তর: চিত্রে পদার্থ দুটির গলনাংক ও একই। পাঠ্যপুস্তক এর আলোকে নিম্নে বিশ্লেষণ করা হলো:
যে তাপমাত্রায় কোন কঠিন পদার্থ তরলে পরিণত হয় সেই তাপমাত্রাই ওই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে। আবার যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ তরল থেকে জমতে শুরু করে কঠিন অবস্থায় পরিণত হয় তাকে ওই পদার্থের হিমাঙ্ক বলে। প্রায় সকল পদার্থের গলনাংক ও হিমাংক সমান। চিত্রের ১ম পদার্থ হলো মোম। কঠিন মোম 57 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে তরলে পরিণত হয়। তাই মোমের গলনাঙ্ক 57 ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই একই তাপমাত্রায় মোম জমতে শুরু করে কঠিন মোমে পরিণত হয়। অর্থাৎ মোমের হিমাঙ্কও 57 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবার চিত্রে দ্বিতীয় পদার্থ হল বরফ। বরফের গলনাঙ্ক 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমাঙ্কও 0 ডিগ্রী সেলসিয়াস। যেহেতু আলাদা আলাদাভাবে পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক যথাক্রমে 57 ডিগ্রি সেলসিয়াস ও 0 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাই বলা যায়, পরিমাণগতভাবে পদার্থটির গলনাংক ও হিমাংক একই।
কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
আগের পোস্টটি পড়তে ক্লিক করুন
Topic Keyword: ৪র্থ সপ্তাহ বিজ্ঞান ষষ্ঠ শ্রেণির এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট-২, ৪র্থ সপ্তাহ বিজ্ঞান ষষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট-২, ৪র্থ সপ্তাহ বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ শ্রেণির এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট-২, ৪র্থ সপ্তাহ বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ শ্রেণির অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট-২, ৪র্থ সপ্তাহ বিজ্ঞান ক্লাস সিক্স এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট-২, ৪র্থ সপ্তাহ বিজ্ঞান ক্লাস সিক্স অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পার্ট-২