(পার্ট-২,৪র্থ সপ্তাহ) সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

আসসালামু আলাইকুম, সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভালোই আছেন। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ সপ্তাহের পরিকল্পিত এ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামে আজকে নিয়ে এলাম এই সপ্তাহে চলমান সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান” ( পার্ট-২, ৪র্থ সপ্তাহ) এ্যাসাইনমেন্টের সমাধান। তাহলে শুরু করা যাক।

 

                       

                      ১নং প্রশ্নের উত্তর:

                      (ক) যেসব পদার্থকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করলে ওই পদার্থের উপাদান ব্যতীত আর অন্য কোন পদার্থের উপাদান পাওয়া যায় না, তাকে মৌলিক পদার্থ বলে। 

 

                     (খ) অণু ও পরমাণুর মধ্যে পার্থক্য নিচে দেওয়া হলো: 

 

                                অণু:

১. মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার মধ্যে ওই পথে সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে তাকে অনু বলে।

২. অণুর স্বাধীন সত্ত্বা আছে।

৩. অণু বিভক্ত অবস্থায় রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে না।

৪. অণুর মধ্যে মৌলিক ও যৌগিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে।

৫.  প্রকৃতিতে স্বতন্ত্র অনু সংখ্যা অসংখ্য।

 

                            পরমাণু: 

১. অণু যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দিয়ে গঠিত সেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণাগুলোকে পরমাণু বলা হয়।

২. পরমাণুর স্বাধীন সত্তা নেই।

৩. পরমাণু অবিভক্ত অবস্থায় রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে।

৪. পরমাণুর মধ্যে শুধুমাত্র মৌলিক পদার্থের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকে।

৫. প্রকৃতিতে স্বতন্ত্র পরমাণু সংখ্যা মাত্র ১১৮ টি।

 

 

                     (গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত পদার্থগুলো প্রতীক ও সংকেতের সাহায্য আলাদা করে মৌলিক ও যৌগিক পদার্থ হিসেবে আলাদা করে চিহ্নিত করা হলো:

 

১.  লিথিয়াম– Li — একটি মৌলিক পদার্থ

২. পানি– H2O — একটি যৌগিক পদার্থ

৩. খাবার লবণ– NaCl — একটি যৌগিক পদার্থ

৪.  চক– CaCO3 –একটি যৌগিক পদার্থ

৫.  কার্বন– C — একটি মৌলিক পদার্থ

৬.  চুন– CaO — একটি যৌগিক পদার্থ

৭.  নাইট্রোজেন– N — একটি মৌলিক পদার্থ

৮.  পটাশিয়াম– K — একটি মৌলিক পদার্থ

৯.  অক্সিজেন– O — একটি মৌলিক পদার্থ

১০. আয়োডাইড– I- — একটি মৌলিক পদার্থ

১১. লোহা– Fe — একটি মৌলিক পদার্থ

১২. ক্লোরিন– Cl –একটি মৌলিক পদার্থ

 

 

                     (ঘ) দুই বা ততোধিক পদার্থের এমন মিশ্রন যেখানে পদার্থ গুলো নিজ নিজ আণবিক রাসায়নিক ধর্ম বজায় রেখে একসাথে সূক্ষ্মভাবে মিশে একটি সমসত্ব এবং একটি মাত্র দশাসম্পন্ন মিশ্রণ উৎপন্ন করে, তাকে দ্রবন বলে। মিশ্রণের যে উপাদানটির ভৌত অবস্থা উৎপন্ন দ্রবণের ভৌত অবস্থা নির্ধারণ করে তাকে, দ্রাবক বলে। সহজ ভাষায়, যেসব পদার্থ অন্য পদার্থকে দ্রবীভূত করতে পারে তাদেরকে দ্রাবক বলা হয়। আর কোন পদার্থ যদি অজৈব ও জৈব সকল প্রকৃতির পদার্থকে দ্রবীভূত করে তবে তাকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

 

উল্লেখিত পদার্থগুলোর মধ্যে পানিকে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়। কেননা এটি অধিকাংশ অজৈব যৌগ কে দ্রবীভূত করতে পারে। খাবার লবণ, ফিটকিরি প্রভৃতি অজৈব পদার্থ কক্ষ তাপমাত্রায় পানিতে দ্রবীভূত হয়। তাছাড়া পোলারিটি সম্পন্ন জৈব যৌগ সমূহকেও দ্রবীভূত করতে সক্ষম। চিনি, ভিনেগার, স্পিরিট, ভিটামিন-সি, গ্লুকোজ প্রভৃতির জৈব পদার্থ পানিতে সহজেই দ্রবীভূত হয়। এ কারণে একে সার্বজনীন দ্রাবক বলা হয়।

 

                    ২ নং প্রশ্নের উত্তর:

 মৌলিক পদার্থ কে রাসায়নিক ভাবে বিশ্লেষণ করে অন্য কোন বস্তুতে রূপান্তরিত করা যায় না। কিন্তু যৌগিক পদার্থ কে রাসায়নিক ভাবে বিশ্লেষণ করলে একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়।

চিনির রাসায়নিক সংকেত। । চিনিকে রাসায়নিকভাবে বিশ্লেষণ করলে সি এইচ এবং ও ইত্যাদি মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়। তাই চিনি একটি যৌগিক পদার্থ। 

 

 কোন সমস্যা হলে কমেন্ট করুন এবং পরবর্তী এ্যাসাইনমেন্টগুলো পেতে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ। 

Keyword: ৪র্থ সপ্তাহ সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর, ৪র্থ সপ্তাহ সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর,

 

Related Posts

7 Comments

মন্তব্য করুন