আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা।
স্টিভ জবস সম্পর্কে পূর্বের পোস্টে তার কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।
আজকের আলোচনা করব তার শৈশব ,শিক্ষাজীবন ও পারিবারিক জীবন সম্পর্কে।
চলুন শুরু করা যাক।
পল জবস নামে একজন গাড়ির মিস্ত্রি ও তার স্ত্রী ক্লারা জবস, স্টিভ জবসকে দত্তক নিয়েছিলেন, যিনি জন্মগতভাবে পরিত্যক্ত ছিলেন।
পল ও ক্লারা স্টিভকে অত্যন্ত ভালোবাসতেন।জবসের মা তাকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগেই শিখিয়েছিলেন কিভাবে পড়তে ও লিখতে হয়।
তাই তিনি যখন বিদ্যালয় গেলেন তখন তিনি দেখলেন যে ,শিক্ষকরা পড়াচ্ছেন তিনি তার সবকিছুই জানেন।
একটি মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা ঘটলো যখন তিনি চতুর্থ শ্রেণীতে ছিলেন। তার শিক্ষিকা ইমোজিন হিল তাকে খুব কাছ থেকে কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করলেন এবং দেখতে পেলেন তিনি কিভাবে পরিচালিত হন ও তাকে দিয়ে কিভাবে কাজ করানো যায়।
তাকে দিয়ে কিছু করানোর জন্য তিনি তাকে অর্থ ও খাবার দিতেন। একদিন স্কুল ছুটির পর তিনি জবসকে গণিত সমস্যা সম্বলিত একটি অনুশীলন বই দিলেন। তিনি বললেন “এটা তুমি বাড়ি নিয়ে যাও এবং এটা করো”।তিনি জবসকে একটা বিশাল ললিপপ দেখিয়ে বললেন যখন তুমি এটা শেষ করে ফেলবে ,যদি তুমি এটার বেশির ভাগ সঠিক করো আমি তোমাকে এটি এবং ৫ ডলার দেব। দুই দিনের মধ্যে জবস গণিত সমস্যার সমাধান করে ফেললেন এবং তার শিক্ষিকার কাছে অনুশীলনের বইটি ফেরত দিলেন।
কয়েক মাস ধরে এটা চলতে থাকল এবং জবস শেখা এতই উপভোগ করলেন যে তার আর বিনিময়ের প্রয়োজন পরলো না।
তিনি তার শিক্ষিকাকে খুব পছন্দ করতেন এবং তাকে খুশি করতে চাইতেন।
চতুর্থ শ্রেণীর শেষে জবস খুব ভালো করলেন।তিনি যে অসাধারণ মেধাবী ছিলেন তা শুধু জবস ও তার পিতামাতার কাছেই না, শিক্ষকদের কাছেও পরিষ্কার ছিল।
বিদ্যালয় তাকে দুই শ্রেণীতে না পড়ে সপ্তম শ্রেণীর প্রস্তাব করলো। এর অর্থ এই পড়াশোনা জবস এর কাছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন মনে হবে এবং তিনি পড়াশোনায় উদ্বুদ্ধ হবেন। তার পিতা-মাতা তাকে মাত্র এক শ্রেণী বাদ দেওয়ালেন।
হাইস্কুল শেষ করার পর জবস পোর্টল্যান্ড ,ওরিগণ এ অবস্থিত রিড কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই কলেজ ছেড়ে দেন। এবং পরবর্তী ১৮ মাস বিভিন্ন ক্রিয়েটিভ কোর্স করেন।১৯৭৪ সালে জবস ‘আর্টারির’ হয়ে একজন ভিডিও গেমস ডিজাইনার হিসেবে যোগ দেন।
১৯৯১ সালের ১৮ই মার্চ জবস লরেন পাওয়েলকে বিয়ে করেন। তিনি তার পরিবার সম্পর্কে কাউকে তেমন কিছু বলতেন না।তবে জানা যায় যে , লরেনের সাথে তার তিন সন্তান এর বাহিরেও ২৩ বছর বয়সে প্রেমিকা ক্রিসান ব্রেনানের গর্ভে লিসা নামে তার একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছিল।
জবস তার কন্যা লিসার সাথে তার সাত বছর বয়স হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন প্রকার যোগাযোগ করেননি। পরবর্তীতে লিসা কিশোর বয়স থেকে বাবার সাথে থাকতে শুরু করেন।
জবসের জীবনকাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বেশ কয়েকটি সিনেমা তৈরি হয়েছে।যার মধ্যে ২০১৩ সালে নির্মিত ও অতি সমালোচিত “জবস” এবং ২০১৫ সালে নির্মিত ও ড্যানি বয়েল পরিচালিত “স্টীভ জবস” অন্যতম।
২০১১ সালের ৫ই অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের পালো আলটাতে ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন প্রযুক্তি জগতের এই মহান পুরুষ। তিনি প্রায় ৮ বছর যাবৎ অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেছিলেন।
আমাদের সকলের এই মহান নেতার অনুসরণ করা উচিত।
তাহলেই জীবনে সফল হওয়া সম্ভব।
আশা করি সবার ভালো লেগেছে।
অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আল্লাহ হাফেজ।।
গ্রামীণফোন পকেট ওয়াইফাই রাউটার
আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠকগণ কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলেই আপনাদের নির্দিষ্ট অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। সকলে...