দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি, প্রতিকার

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি। আজকের বিষয়ঃ অনিয়মিত কিংবা দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি, প্রতিকার । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

অনিয়মিত কিংবা দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ কি হতে পারে

28 থেকে 35 দিন পর পর মেয়েদের মাসিক হয়ে থাকে। মাসিকের মাধ্যমে একজন নারী প্রজনন ক্ষমতা লাভ করে। কারো কারো ক্ষেত্রে তিন দিন, কারো আবার পাঁচ দিন, এবং কারো সাতদিন পর্যন্ত এটি স্থায়ী হতে পারে। 12 থেকে 55 বছর বয়সী মেয়েদের মধ্যে মাসিক হতে দেখা যায়। বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে অনিয়মিত মাসিক দেখা যায়।

এছাড়াও অনিয়মিত কিংবা দুই মাস পর্যন্ত মাসিক না হওয়ার পেছনের কারণগুলো হলো-

স্ট্রেস- মানষিক চাপের ভিতর থাকলে বা অতিরিক্ত স্ট্রেস নিলে অনিয়মিত মাসিক দেখা দেয়।

ওজন হ্রাস- অতিরিক্ত কম ওজন হলে সময়মতো মাসিক নাও হতে পারে আবার কিছুদিন বন্ধ থাকতে পারে।

টিউমার- অনেক সময় জরায়ুতে ছোট টিউমার দেখা দেয়। টিউমারের কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে। জরায়ুর টিউমার মাসিকের স্বাভাবিক চক্রকে বাধা দেয়।

জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি- আমরা বিভিন্ন ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি যেমন পিল, ইনজেকশন ইত্যাদি। এসব পদ্ধতি নেওয়ার কারণে অনেক সময় অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।

ওজন বৃদ্ধি- শরীরের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধিও অনিয়মিত মাসিক হওয়ার অন্যতম একটি কারণ।

যেসব মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করান তাদের ক্ষেত্রেও মাঝে মাঝে অনিয়মিত মাসিক হতে দেখা যায়।
আবার বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ঠান্ডা, সর্দি, জ্বর, ইনফেকশন প্রভৃতি কারণে অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা হয়ে থাকে। অনেক এর থাইরয়েড সমস্যা বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এর কারণে অনিয়মিত মাসিক হয় ।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার প্রতিকার

অনিয়মিত মাসিক রোধ করার জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে, পানি পান করতে হবে এবং স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে কারণ ওজনের তারতম্যের কারণে দেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। মানসিক চাপ বা উদ্যোগ পরিহার করতে হবে। চিন্তা মুক্ত জীবন যাপন করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

এছাড়া অনিয়মিত মাসিক রোধ করতে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে-

গরম পানি- যদি অনিয়মিত মাসিক হয় বা মাসিকের সময় পেটে ব্যথা হয় তাহলে গরম পানির সেঁক দিতে হবে। হোয়াট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করে গরম পানির সেঁক দিলে উপকার পাওয়া যায়।

অ্যালোভেরার শরবত- 1 টেবিল চামচ মধুর সাথে পরিমাণমতো অ্যালোভেরার রস মিশিয়ে সকালে পান করলে মাসিকের সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।

ধনে গুঁড়ো- ধনেগুড়ো খুবই প্রয়োজনীয় একটি ওষুধী উপাদান। দুই কাপ পানিতে 1 চা চামচ ধনে গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে পান করলে এটি অনিয়মিত মাসিকের খুব দ্রুত উপকার সাধন করে।

বিঃদ্রঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু না খাওয়া ভাল।

পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।

Related Posts

10 Comments

মন্তব্য করুন