কয়েক যুগ পরপর এমন কিছু বই বের হয় যেগুলো গ্রাহকদের জীবন পুরোপুরি পাল্টে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ঠিক এমন একটি বই হচ্ছে পাওলো কোয়েলহো এর ‘দ্য এ্যালকেমিস্ট’ (The Alchemist) বইটি।
‘পাওলো কোয়েলহো’ হলেন একজন ব্রাজিলিয়ান লেখক যিনি দ্য এ্যালকেমিস্ট এর মত জনপ্রিয় উপন্যাসটি লিখেছেন। বইটির যে জনপ্রিয়তা পাঠকদের কাছে সেই সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার দরকার নেই। পুরো পৃথিবীব্যাপী ৩০ মিলিয়ন বা তার অধিক সংখ্যক বিক্রি হয়েছে এই বইটি। এবং এই বইটি অনুবাদিত হয়েছে অর্ধশতাধিক ভাষায়। খুব সাধারণ একটি চরিত্রের দ্বারা জীবনের অনেক দিক নির্দেশনা, দার্শনিকতা এবং স্বপ্ন পূরণ নিয়ে লেখা মূলত এই বইটি। পাওলো কোয়েলহো এর লেখা এই বইটির শর্ট বাংলা রিভিউ আজকে আপনাদের দেওয়ার চেষ্টা করবো।
‘দ্য এ্যালকেমিস্ট’ বইয়ের নায়ক বা প্রধান চরিত্র হচ্ছে সান্তিয়াগো। সে ছিল একজন রাখল বালক। সে নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াতে চায় যার কারণে তাকে অনেক ভেড়া কিনে দেওয়া হয়। এরপর থেকে সে হয়ে গেলো একজন মেষপালক, তাদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায় নানান জায়গায়। এমনকি তাদের মনোভাব বুঝতে পারে সান্তিয়াগো। হটাৎ একদিন সে গুপ্তধনের স্বপ্ন দেখে। পরপর সে কয়েকদিন গুপ্তধনের স্বপ্ন দেখে এবং সে এটির সত্যতা যাচাই করতে যায়। পরবর্তীতে সে সিদ্ধান্ত নেই যে গুপ্তধনের রহস্য সে বের করবেই, যার জন্য সে তার ভেড়া এবং সকল কিছু বিক্রি করে অর্থ সামগ্রী জোগাড় করে রওনা দেয় গুপ্তধনের সন্ধানে।
শুরুতেই সে ধাক্কা খায়, গুপ্তধনের সন্ধানে যাওয়ার পথে সে তার সকল অর্থ হারায়। এরপর সে একটি দোকানে কর্মচারী হিসেবে যুক্ত হয়। সেখানে কাজ করে বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সে তাড়াতাড়ি সফল হতে শুরু করে। সব ঠিকঠাক চললেও, হটাৎ তার আবার স্বপ্নের কথা মনে পড়ে। স্বপ্ন পূরণের টানে সব ফেলে সে আবারও যাত্রা করল। যেতে যেতে সে মরুভূমির একটি মরুদ্যানে পৌঁছে। সেখানে ভয়ংকর শত্রুর আক্রমণের থেকে পুরো মরুদ্যানের বাসিন্দাদের রক্ষা করে সে। এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে তার সাথে পরিচয় হয় এক বেদুঈন কন্যার। নিজের বুদ্ধিমত্তার জন্য সেখানে অনেক সম্মান ও সম্পদ লাভ করলো সে। এর সাথে পেয়ে গেলো নিজের ভালোবাসার সঙ্গী।
কিন্তু তাকে যে যেতে হবে তার স্বপ্ন পূরণের পথে। যাত্রা শুরু করে দিল আবার, যেতে যেতে অগণিত বাঁধা এর সম্মুখীন হয় সে। যাত্রা পথে তার সাথে দেখা হয়ে যায় এক রহস্যময় ব্যক্তির সাথে, যার নাম ছিল ‘এ্যালকেমিস্ট’, তিনি লোহাকে স্বর্ণে রূপান্তর করতে জানতেন। এখানে এ্যালকেমিস্ট এর সাথে সান্তিয়াগোর অনেক কথোপকথন হয়। এ্যালকেমিস্ট সান্তিয়াগোর দৃর মনোবল দেখে তাকে তার লক্ষে যেতে সাহায্য করে।
আর এভাবেই সকল বাধা বিপত্তির পর সান্তিয়াগো বুঝতে পারে গুপ্তধনের রহস্য। সে দেখা পেলো পিরামিডের। গুপ্তধনের থেকেও পৃথিবীর অনেক কিছু বুঝার ক্ষমতা অর্জন করলো সে।
এটি ছিল দ্য এ্যালকেমিস্ট এর ছোটখাটো সারসংক্ষেপ। পুরোটা পড়লে অনেক কিছুই শিখতে পারবেন বইটি থেকে। আশা করি বইটি পড়ে সবার অনেক উপকার হবে।