করোনা ভাইরাস মহামারীতে দীর্ঘদিন স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় শিশুরা ইন্টারনেটের দিকে ঝুঁকছে বেশি। তবে আমাদের মৌলিক কিছু বিষয়ে পরিবর্তন আনা জরুরি। আমরা একটু সচেতন হলেই শিশুদের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার নিরাপদ করতে পারি। এমনকি তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারে নজরদারিও করা যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ই-মেইল অ্যাকাউন্ট। এটির ব্যবহার নিয়ে আজ আলোচনা করছি।
শিশুদের বিনোদন বা টাইম পাশ করার জন্য যদি কোন ইন্টারনেট ডিভাইস দেয়া হয় তাহলে সেই ডিভাইসটিতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যায়। এটা গুগলের নতুন সংযোজন। আর এই কন্ট্রোল একাউন্ট ব্যবহার করাটাই শিশুদের জন্য নিরাপদ বলে মনে করা হয়।
বর্তমানে গুগলের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ করার জন্য একটা প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সিস্টেম আছে। যা ব্যবহার করলে শিশুরা ইন্টারনেটে কী দেখছে তার সবকিছুর উপর অভিভাবকদের নজরদারি করা সম্ভবপর হয়। তাই আমার মতে,
আমি মনে করি শিশুদের যদি কোন ইন্টারনেট ডিভাইস দেয়া হয় তাতে যেন প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সেট করা থাকে।
শিশুদের বিনোদন ও টাইম পাশ করার জন্য যে ডিভাইসটি দেয়া হয় সেটি চালু করতে একটি ই-মেইল অ্যাড্রেস দরকার হয়। আর এটি জি-মেইল হলে নিরাপত্তা ও নিরাপদ করার জন্য কিছু বাড়তি পদক্ষেপ নেয়া যায়। অভিভাবকগন এর পক্ষে বা বিপক্ষে পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে এটিকে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল অ্যাকাউন্ট বলা হয়। শিশুদের ডিভাইসে এই জিমেল একাউন্টটি খোলা যায়।
যেকোন একজন শিশুর ই-মেইল অ্যাকাউন্ট খোলার সময় তার বয়স ১৩ বছরের নিচে হলে গুগল নিজে থেকেই বলবে ওই নামের অ্যাকাউন্টটি প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের অধীনে সেট করতে হবে। আপনি করতে চান কিনা তার উপরও গুগল আপনার সদয় অনুমতি চাইবে।
সেক্ষেত্রে গুগল থেকে আরও জানতে চাওয়া হবে যে এই অ্যাকাউন্টটি অন্য কোন অভিভাবকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করা হবে। তার মানে হলো, ই-মেইলের সেখানে যেকোন একজন অভিভাবকের ই-মেইল অ্যাকাউন্ট সেট করতে চাইবে। এখানে শিশুর বাবা ও মায়ের যেকোন একটা ই-মেইল অ্যাকাউন্ট সংযোজন করে দেয়ার সুযোগ থাকে।
অভিভাবকের ই-মেইল সেট করে দেয়ার পর থেকে এই জি-মেইল অ্যাকাউন্ট ডিভাইসটির অ্যাকাউন্ট লগ-ইন করা হবে। তখন শিশুটি তার জি-মেইল দিয়ে গুগলে কী কী খুঁজলো, গুগল বা প্লেস্টোর থেকে কী কী অ্যাপ ইন্সটল করলো, ইউটিউব ফেসবুকসহ অন্যান্য সোর্সে কী কী দেখলো তার সব কিছুই তখন অভিভাবকের সেট করা ই-মেইল অ্যাড্রেস থেকে দেখা যাবে। এমনকি শিশুটি তার ডিভাইসটি নিয়ে কোথায় কোথায় গেলো অভিভাবকগন সেই স্থানটিও শনাক্ত করতে পারবে।
এখন ই-মেইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের একটা গুরুত্বপূর্ণ সার্ভিস হলো অভিভাবকদের সাথে শিশুর অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করে দেয়া। সেক্ষেত্রে শিশুটি কাকে কাকে ইমেইল পাঠাচ্ছে এবং কার কার সাথে কথা বলছে সেটাও অভিভাবকগন দেখতে পাবেন।