বন্ধুরা সবাই কেমন আছো? কয়েক দিন পার করে তোমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। সাবমেরিন ক্যাবলের কথা তোমরা হয়তো কেউ শুনছে হয়তো কেউ শুনানি। না শুনলেও তোমাদের এই বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আজ তোমাদের জন্য সাবমেরিন ক্যাবল কি সেটা নিয়ে আলোচনা করব।
সাবমেরিন ক্যাবল সাম্প্রতিককালের আলোচিত একটি বিষয়। এটি সম্পর্কে খুব কম মানুষের ধারণা রয়েছে। এটি মূলত তথ্য প্রযুক্তির একটি বিষয়। সাবমেরিন অর্থ সমুদ্রে ডুবো এবং কেবল অর্থ হলো তার। গভীর সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে স্থাপিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টেলিযোগাযোগের তারই হল সাবমেরিন ক্যাবল। বিশ্বব্যাপী দ্রুতগতির টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সাবমেরিন ক্যাবল আবিষ্কার করা হয়েছে।
বিশেষ করে ইন্টারনেট ও তথ্য পরিষেবার ব্যাপকতর এবং সাশ্রয়ী বিস্তারের ক্ষেত্রে এটি একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন।১৮৫০ এর দিকে টেলিগ্রাফের বার্তা বিনিময়ের জন্য সর্বপ্রথম সমুদ্রের নিচ দিয়ে তার বসানো হয়। বিশ শতকের শেষভাগে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন অপটিক্যাল ফাইবার টেকনোলজি। এর ফলে উদভাবিত হয় ফাইবার অপটিক ক্যাবল নামের কাচের তন্তুজাত এক ধরনের সূক্ষ্ম তার যার ভেতর দিয়ে বিপুল পরিমাণ ডিজিটাল ডাটা দ্রুতগতিতে আদান-প্রদান করা সম্ভব।
২০০৮ সালে বাংলাদেশে সর্ব প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হয়। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি নামে সরকারি-বেসরকারি যৌথ মালিকানার একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সাবমেরিন ক্যাবল কেন্দ্রিক সেবা দিচ্ছে। বর্তমানে কোম্পানিটি SMW-4 কনসোর্টিয়ামের সাথে যুক্ত। কোম্পানিটি SMW-5 কনসোর্টিয়ামের সাথে যুক্ত হবার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এর ফলে ইন্টারনেটের গতি বাড়বে এবং আমরা সাশ্রয় হবে।
বন্ধুরা আজ এখানে শেষ করছি। সামনে যাতে আমাদের জন্য আরো ভালো ভালো লিখা নিয়ে হাজির হতে পারি সেই দোয়া করবে এবং আমিও ভালো ভালো লিখা আনার জন্য প্রচেষ্টা করবো।
সবাই ভালো থাকবে ,সুস্থ থাকবে। ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই 😷 পড়ে যাবে।