স্মার্টফোন ম্যালওয়ার কি? এর থেকে বাঁচার উপায়

বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করব স্মার্টফোন ম্যালওয়ার নিয়ে যাকে আপনারা সাধারণভাবে ভাইরাস হিসাবে চিনেন।

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় যন্ত্র হচ্ছে স্মার্টফোন। আপনার আশেপাশে তাকালেই এর সত্যতা বুঝতে পারবেন। আপনি আমি সহ বেশিরভাগ মানুষের হাতে শোভা পায় এই স্মার্টফোন।

কিন্তু নানান কারনে আমাদের স্মার্টফোনে ঢুকে পরে ক্ষতিকর ভাইরাস বা ম্যালওয়ার। এটি আমাদের ফোনের ওপর কন্ট্রোল নিয়ে নেয় এবং ধীরগতিসম্পন্ন করে ফেলে।

তাছাড়া আমাদের পার্সোনাল তথ্যও চুরি করে । এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এই ম্যালওয়ার কী??

তাহলে চলুন জেনে নেই:

মেলওয়ার(malware)কে বানান হয় অসদুদ্দেশ্যে। মেলিকিওউস(malicious) সফটওয়্যারের সংক্ষিপ্ত রূপ মেলওয়ার। মেলওয়ারকেও সাধারণ এন্টিভাইরাস শনাক্ত করতে পারে না,আর ক্র্যাক করা এন্টিভাইরাসের কথা নাই বা বললাম। গুগল প্লে স্টোরে থাকা ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপসের কারণেই কয়েক লাখ অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর স্মার্টফোন ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়েছে।
ম্যালওয়্যারযুক্ত এ ধরনের অ্যাপসের মধ্যে রয়েছে ডুরাক কার্ড, হিস্টোরি গেম ও আইকিউ টেস্ট। এখন পর্যন্ত দেড় কোটিবার ডাউনলোড হয়েছে এ ধরনের অ্যাপ। অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অ্যাভাস্ট সম্প্রতি গুগলের প্লে স্টোরে এ ধরনের ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপসের সন্ধান পেয়েছে। অ্যাভাস্টের দাবি, এ ধরনের অ্যাপে খুব সতর্কভাবে ম্যালওয়্যার কোড বসানো থাকে বলে অ্যাপ ইনস্টল করার সঙ্গে সঙ্গেই তা স্মার্টফোনে আক্রমণ করে না। এক মাস বা তার চেয়েও দীর্ঘ সময় পরে এই ম্যালওয়্যারগুলো কাজ শুরু করে। এ ধরনের ম্যালওয়্যার ফোনে ইনস্টল হয়ে গেলে তা অনাকাঙ্ক্ষিত বিজ্ঞাপন প্রদর্শন, ফোনের অস্বাভাবিক আচরণ করতে শুরু করে। অ্যাভাস্টের মোবাইল ম্যালওয়্যার বিশ্লেষক ফিলিপ ছেত্রী জানিয়েছেন, ‘মোবাইল ফোন রিবুট না করা পর্যন্ত এই ম্যালওয়্যার বিব্রত করতে থাকে। অনেক সময় ম্যালওয়্যারটি দূর করতে স্মার্টফোন রিবুট করার পরও কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হয়। ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হলে এক সপ্তাহ পর থেকেই স্মার্টফোন অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করে। অনেক সময় ম্যালওয়্যার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি টের পেতে এক মাসও লেগে যেতে পারে। গুগল প্লে স্টোরে থাকা কোনো অ্যাপে ম্যালওয়্যার রয়েছে তা নির্ধারণ করার কোনো উপায় নেই। তবে আসল অ্যাপ চেনার জন্য পরিচিত নির্মাতা ও অ্যাপের ডাউনলোড সংখ্যার দিকে তাকালেই তা বোঝা যাবে। ভুয়া অ্যাপের তুলনায় আসল অ্যাপ ডাউনলোড বেশি হয়।
এর থেকে বাচার উপায়:
ম্যালওয়ার থেকে বাচতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। খুশির কথা হলো গুগল প্লে স্টোর সবঅ্যাপ চেক করে ফিল্টারিং করে ক্ষতিকর অ্যাপ ছাটাই করে। একটি রিপোর্ে দেখা গেছে ০.০০১% অ্যাপ গুগল ফিল্টারিং ফাকি দিতে পারে। কি? অনেক কম মনে হচ্ছে। চিন্তা করুন গুগল প্লে স্টোরে কতটা অ্যাপ আছে। তবুও গুগল প্লে স্টোর থেকে সবসময় অ্যাপ ইন্সটল করবেন। থার্ড পার্টি থেকে ইন্সটল না করাই ভালো। বিশেষ দরকার হলে সাইটের সিকিরিটি চেক করে তারপর ইন্সটল করুন। আর আজেবাজে সাইট বিশেষ করে পর্ণ সাইটগুলোতে ঢুকবেন না।
আজ এ পর্যন্তই। আপনি এবং আপনার স্মার্টফোন ভালো থাকুক এই কামনায়,,,,
ধন্যবাদ।

Related Posts