অত্যাধিক পানি খাওয়ার পরিণাম

আমরা  নিশ্চয়ই ডি-হাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা রোগ সম্পর্কে জানি।পানি শূন্যতা মূলত তিন ধরণের যেমন  Mild dehydration(সাধারণ,দেহ থেকে ৫% তরল বের হয়ে গেলে এটা হয়),Modarate dehydration(কিছুটা ঝঁকিপূর্ণ,যখন দেহ থেকে ১০% তরল বের হয়ে যায়),Severe dehydration (এটা অনেক সিরিয়াস,এই ক্ষেত্রে দেহ থেকে ১৫% তরল বের হয়ে যায়)।যাই হোক আজ আমি Dehydration সম্পর্কে বিস্তারিত লিখব না,তবে আশা করি আমি পরবর্তীতে ডি-হাইড্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করব। আজকের লিখব তার উল্টাটা অর্থাৎ Overhydration বা  WATER INTOXICATION সম্পর্কে।
Overhydration কী?
প্রথমেই বলেছি যেহেতু এটা পানিশূন্য রোগের উল্টোটা,সেহেতু এটা পানি আধিক্য বা Over hydration। অর্থাৎ যখন আপনি অধিক পানি নিয়মিত পান করতে থাকেন এবং আপনার দেহ হতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি নিষ্কাষিত হতে পারে না তখনই এই রোগটি হয়ে থাকে।
Overhydration কেন হয়?
যখন আপনি প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পানি গ্রহণ করেন তখনই এটা হওয়ার প্রবণতা থাকে।আরও অনেক কারণ আছে সেগুলো হলো-
১)যখন আপনার Heart সঠিক ভাবে রক্ত পাম্প করতে ব্যর্থ হয়
২) Renal Disorder হলে। Renal Disorder হওয়ার ফলে আপনার কিডনি সুবিধা মতো তরল বা পানিকে দেহ থেকে মূত্ররূপে বের করতে পারে না
৩)inappropriate hypersecretion
of antidiuretic hormone (SIADH) বা  হরমোন জনিত রোগের ফলে
৪)অত্যাধিক বা অযথা তরল স্যালাইন শিরার মাধ্যমে নিলে
৫)আপনি যদি নিয়মিত ৮ লিটারের সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশী পানি করে থাকেন।

নবজাতকদের প্রথম ১ মাসে এই রোগটি হওয়ার প্রবণতা থাকে কারণ তখনো তাদের কিডনি বা ফিল্টারেশন সিস্টেম ততটা উন্নত হয়না।ফলে দেহ থেকে সুবিধামতো পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না।

এই রোগের কিছু লক্ষণঃ
১)ব্যবহার বা সাধারণ আচরণে কিছু পরিবর্তন আসে
২)আক্রান্ত ব্যক্তির অতি নিদ্রা হয় এবং তিনি কর্মক্ষেত্রে অমনোযোগী হয়ে পড়ে
৩)বমি বমি ভাব এবং বমি হয়
৪)ওজন কমতে শুরু করে
৫)শরীর দুর্বল হয়ে যায়
৬)দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায় বা কিছুটা ঘোলাটে হয়ে
যায়
৭)রক্তসল্পতা,রক্তে অম্লের আধিক্য,সাইয়্যানোসিস,রক্তস্রাব,ঘা হয়।
৮)পেশীজনিক সমস্যা দেখা দেয়,যেমন মাংসপেশিতে টান পড়ে।
৯)মস্তিষ্কের সমস্যা হয়,অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যক্তি ঘোরের মধ্যে থাকেন
১০)রোগী জ্ঞান হারান,অনেক সময় কোমাতেও চলে যান।
চিকিৎসা ঃসোডিয়াম স্যালাইন নিতে হয় তবে এইক্ষেত্রে  সবচেয়ে ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

প্রতিরোধঃনিয়মিত ৭-৮ গ্লাস বা ২-৩ লিটার জল খাওয়াই উত্তম,মিষ্টিকুমড়া, মেথি,শাক মূত্রজনিত সমস্যার সমাধান করে।
আশা করি এখন হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে অত্যাধিক পানিও স্বাস্থ্যের  জন্য ক্ষতিকর।তাই নিয়মিত এবং সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া  অত্যন্ত জরুরী।

Related Posts

8 Comments

মন্তব্য করুন