অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট ২০২১

আসসালামু আলাইকুম। সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সবসময়। 

 

চলে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজ। এসাইনমেন্ট সিরিযে সকল শ্রেণির কাংখিত এসাইনমেন্ট পেতে চোখ রাখুন গ্রাথরের শিক্ষা বিভাগে।এসাইনমেন্ট সিরিজের আজকের ধারাবাহিকতায় নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট। আশা করি আপনাদের উপকার হবে।

 

প্রশ্নঃ১৯৫৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত যেকোনো ১০টি উল্লেখযোগ্য ঘটনার সময়কালসহ একটি পোস্টার তৈরি কর।

উত্তরঃ

১.পলাশীর যুদ্ধঃ

১৯৫৭ সালের ২৩ জুন নবাব সিরাজুদ্দৌলা ও ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধ প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খানের বিশ্বাসঘাতকতার দরুন কোম্পানি কতর্ক পরাজিত হয়।এ যুদ্ধে রাজনৈতিক ফলাফল ছিলো সুদূরপ্রসারী ও ধংসাত্নক এবং এ কারণে যদিও এটি ছোট খাট দাংগার মতো ঘটনা ছিলো, তবুও এটিকে যুদ্ধ বলে বাড়িয়ে দেওয়া হয়।এর ফলে বাংলায় ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য বাংলা অনেকটা স্প্রিং বোর্ডের মতো কাজ করে, যেখান থেকে ক্রমান্বয়ে ব্রিটিশ সরকার আধিপত্য বিস্তার করে অবশেষে সাম্রাজ্য স্থাপন  করতে সক্ষম হয়। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য প্রায় সমগ্র ভারতবর্ষ গ্রাস করে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে এশিয়ার অন্যান্য অংশেও এর অধিনস্ত হয়।

 

২.১৭৬৫ সাল( দ্বৈব শাসন)ঃ

১৭৬৫ সালে লড ক্লাইভ বাংলায় নবাব থেকে দেওয়ানি সনদ প্রাপ্ত হলে যে শাসন প্রণালীর উদ্ভব হয় তা ইতিহাসের দ্বৈত শাসন নাম পরিচিত। মীর জাফরের মৃর্তুর পর লর্ড ক্লাইভ ১৭৬৫  সালে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আমলের কাছ থেকে বাংলা,বিহার ,উড়িষ্যায় দেওয়ানি লাভ করে।  এ সময় কিছু শর্ত সাপেক্ষে মীরজাফরের পুত্র নাজিম উদ্দিনকে বাংলার সিংহাসনে বসানো হয়। শর্ত মোতাবেক নাজিম -উদ -দৌলা তার পিত মীর জাফরের ন্যায় ইংরেজদের বিনা শুল্কে অবাধ বাণিজ্য করার সুযোগ দেবেন এবং দেশীয় বণিকদের অবাধ বাণিজ্য সুবিধা বাতিল করবেন। এ ব্যবস্থার ফলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রচুর অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠে। 

 

৩.১৭৭০ সাল (ছিয়াত্তরের মযন্থন)

দুর্ভিক্ষ হলো কোনো এলাকা ব্যাপী খাদ্য ঘাটতি। সাধারণত ফসলহানি ,যুদ্ধ ,সরকারের নীতিগত ব্যর্থতা ইত্যাদি কারণে দুর্ভিক্ষ সংহঘটিত হয়। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ ,গবাদিপশুর মোড়ক,পোকার আক্রমণ ইত্যাদি কারণেও দুর্ভিক্ষ হয়। 

 

১৯৭০ সালে বাংলাদেশে এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিলো। সময়টি বাংলা ১১৭৬  সাল হওয়ার এই দুর্ভিক্ষ ছিয়াত্তরের মযন্থন নাম পরিচিত। অতি বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ঋদ্ধি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় সমগ্র দেশজুড়ে চরম মন্দ দেখা দে। ত্রুটিপূর্ণ ভূমি রাজস্থ ব্যবস্থা ও খাদ্যবাজার দালাল ধরিয়ে শ্রেণীর দূরত্বের ফলে অবস্থা আরো শোচনীয় হয়ে পরে। 

 

৪.১৭৯৩ সাল :

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রশাসন কতৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকার ও বাংলা ভূমি মালিকদের মধ্যে সম্পাদিত একটি স্থায়ী চুক্তি এর প্রবক্তা লর্ড কর্নওয়ালিস। এ চুক্তির আলোকে জমিদার ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় বউ সম্পত্তির নিরাঙ্কুশ সত্ত্বাধিকারী হউন। জমির সত্ত্বাধিকারী হওয়া ছাড়াও জমিদারগণ স্বত্বাধিকারের সুবিধার সাথে চিরস্থায়ীভাবে অপরিবর্তিত এক নির্বারিত হারের রাজস্বে জমিদারিস্থ লাভ করেন। চুক্তির আওতায় 

 

৫.১৮৮১ সাল (শ্ৰীরামপুর মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন):

বাংলার নবজাগরণের ক্ষেত্রে শ্রীরামপুরে প্রতিষ্ঠিত মুদ্রণযন্ত্র ভূমিকা ছিল অনন্য। ১৮২১ সালে শ্রীরামপুরে মুদ্রণযন্ত্র স্থাপন বাংলার মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার পথ সুগম হয়। এ সময়ে অনেকে বাংলা ভাষায় সংবাদপত্র প্রকাশ করতে জনমত সৃষ্টি করতে সমর্থ হয়। 

 

ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো আপনাদের সামনে। 

মাস্ক পড়ুন 

সুস্থ থাকুন

 

Related Posts

1 Comment

মন্তব্য করুন