অষ্টম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট ২০২১

আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।

চলে এসেছে এসাইনমেন্ট সিরিজ। এসাইনমেন্ট সিরিজের উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আজ আমি নিয়ে এসেছি অষ্টম শ্রেণির ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা এসাইনমেন্ট। 

প্রশ্নঃ ধর তোমার ঘনিষ্ট একজন সহপাঠীর আচরণে মুনাফিকের আচরণ পরিলক্ষিত হয়, তাকে প্রকৃত মুমিন বান্দা হতে সহায়তা করার জন্য তুমি কি কি উদ্যোগ নিতে পারো এ সম্পর্কিত একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি কর।

উত্তরঃ আমার একজন ঘনিষ্ঠ সহপাঠি বন্ধুর আচরণে হঠাৎ কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।সে কথা বললে মিথ্যা বলে।তাকে কোন কিছু জিজ্ঞেস করলে মিথ্যা তথ্য দেয়।কাউকে কোন কিছু দিবে বলে কথার বরখেলাপ করে।সময়মতো দেয় না।ক্লাসের কারো কাছে টাকা জমা রাখলে সে সেই টাকা খরচ করে ফেলে পরবর্তীতে সেই টাকা আর ফিরিয়ে দেয় না।আমার ঘনিষ্ঠ সহপাঠীর আচরণ কপটতা ভন্ডামী,দ্বিমুখী নীতি প্রভৃতি লক্ষণ প্রতিফলিত হয়েছে।যাদের মধ্যে এসব বৈশিষ্ট্য রয়েছে তারাই মুনাফিক।তার আচরণে একজন মুনাফিকের আচরণের সাথে মিল রয়েছে।

মুনাফিকের সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ

মুনাফিক(আরবিতে মুনাফিকুন)।ইসলামি পরিভাষায় যার অর্থ একজন প্রতারক বা ভন্ড ধার্মিক ব্যক্তি।যে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার করে, কিন্তু গোপনে অন্তরে কুফরি বা ইসলামের প্রতি অবিশ্বাস লালান করে। আর এ ধরণের প্রতারককে  বলা হয় নিফাক।

মুনাফিক সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসের বর্ণনাঃ

মুনাফিক সম্পর্কে কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা বলেনঃ

“নিশ্চয়ই মুনাফিকগণ জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে অবস্থান করবে, আর আপনি তাদের সাহায্যকারী হিসেবে কখনো কাউকে পাবেন না “(সূরা নিসাঃআয়াত ১৪৫)

” হয়রত আবু হুবায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত।নবী করিম (সাঃ)বলেন মুনাফিকের নিদর্শন তিনটি-

১.যখন কথা বলে মিথ্যা বলে

২.ওয়াদা করলে তা ভংগ করে

৩.যখন তার নিকট কোন কিছু গচ্ছিত রাখা তখন তার খিয়ানত করে। (সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিম)

মুনাফিকির ক্ষতিকর দিকঃ

মুনাফিকরা প্রত্যেকেই দ্বিমুখী আচরণকারী।এক মুখে তারা মুনাফিকের সাথে মিলিত হয়। অন্য মুখে ভোল পালটিয়ে তারা কাফিরদের সাথে মিলিত হয়।তাই মুনাফিকির পরিমাণ খুবই ভয়াভয়।

মুনাফিকি থেকে ফিরিয়ে আনার আমার কর্ম পরিকল্পনাঃ

১.কুরআন ও হাদীস অনুয়ায়ী আমল করার কথা বলতে হবে।

২.ওয়াদা না রাখার পরিকল্পনার কথা বলতে হবে।

৩.তাকে সত্য কথা বলার উপদেশ দিতে হবে।

৪.সত্য কথা বলার গুরুত্ব বুঝতে হবে।

৫.মিথ্যা কথা বলার কুফল বুঝতে হবে।

৬.কারো সাথে ওয়াদা করলে তা রাখার গুরুত্ব বুঝতে হবে।

Related Posts

মন্তব্য করুন