আদর্শ মানুষ ও ধর্মীয় বিশ্বাস

আদর্শ মানুষ হই: আসেন ভাই সবাই আদর্শ মানুষ হই।।।।প্লিজ ভাই প্লিজ, দয়া করে বইলেন না চলেন ঐ পথে যাই বা ওখানে যাই। সেখানে প্রতিদিন গেলে, সঠিক পথের শিক্ষা নিলে তবেই আদর্শ মানুষ হওয়া যায়। আসলে আমার কাছে আদর্শ মানুষ নয়, মানুষ দেখানো আদর্শ পাওয়া যায়, যার কল্যানে অনেকের কোন আদর্শ না থাকা সত্বেও তারা আদর্শ মানুষ হবার পথ দেখায়।

আমার কাছে আদর্শ মানুষ হবার রাস্তাটা শুরু হয় পরিবার থেকে, সেখানে সমাজ, রাস্ট্র, ধর্ম এগুলো সবই গৌণ। যেখানে মূখ্য বা মূল হল আপনার আমার মা-বাবা যারাই হল পৃথিবীর প্রকৃত বড় শিক্ষক। অর্থাত এক কথায়- শুরু হল আপনার আমার মা-বাবা কিন্তু মজার বিষয় শেষটা হবে আপনি বা আমি; হায়রে আদর্শ, হায়রে মানুষ‌! আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের আদর্শ আমরা আর মানুষ হবে তারা, যেমনটা পিছন থেকে হতে হতে আসছে। আমাদের পিতা মাতা হলো আমাদের আদর্শ, আর আমরা তাদের থেকে শিখে শিখে হবো একজন (….) মানুষ।

ধর্মীয় মানুষ হই:-

আমার ধর্মের ভাইরা কই!! ভাই, ধর্মের ভাই, কই!!!
ভাই না বলে পারছি না, আপনারা এখানে কোন কোন ধর্মের আছেন? আপনি ভাই মুসলিম, আরে আপনি ভাই ও হিন্দু, আরে এই ভাই তো দেখছি বৌদ্ধ, আরে আরেক ভাই বলছেন তিনি খৃস্টান।।। যাক অনেক লোক পেলাম, আবার ধর্মও পেলাম আলাদা। কিন্তু এখন যে ধর্মের দাস হয়ে পড়তেছি সেই ধর্মের একজনও নাই!

ভাই ধর্ম মানে কি? আমি তো অত জানিনা, তবে অল্প যেটুকু বুঝি জিবন পরিচালনার শিক্ষা বা আইন বা নিয়ম। সেই অনুযায়ী আমার ধর্মের লোক একজনও আমি ছাড়া পেলাম না, যদিও জানি ও বুঝি, এখানে অধিক অংশই সেই ধর্মের অনুসারি কিন্তু বলেনা। বলে বংশগত প্রাপ্ত পাওয়াটা, যেটা প্রতিদিন অর্জন করতেছি সেটা বলি না। কেননা আমার জন্ম ইসলাম ধর্মের পরিবারে জন্ম হবার পরও আমি আমার জিবন পরিচালনায় আসলে কখনো ইসলামের পূর্ণতা আনতে পারি নাই আবার পুরোপুরি বাদও দেই নাই। যেটুকু আমার স্বার্থের সাথে মিল সেগুলো পালন করি আর বাকিগুলো অনেকের মত কানেই তুলিনা।

তাই লজ্জার বিষয় আমার জন্য… কেননা মনে হয় শিক্ষকের ঘরে জন্ম নিয়ে চোর তৈরি হচ্ছি, আবার কস্টও হচ্ছে এই ভেবে শিক্ষকের যে দায়িত্ব সেইটাও বা কই। আমার ধর্ম শান্তির ধর্ম ইসলাম না হয়ে অনুসারি হচ্ছি— সেকুলারিজম বা মিথ্যা দিয়ে বানিয়ে সাজনো মতানুসারীদের মত। এসব ত্যাগ করে আল্লাহ আমাকে আপনাকে সঠিক বুঝ দান করে আমাদের সকলকে সত্যিকারের ইসলামি জিবন পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সবশেষে- ধর্মীয় বিশ্বাস বা পারিবারিক শিষ্টাচার বিষয়ে কোন বিষয়ে এখানে মূল্যায়ন বা আঘাত করা হয়নি, এখানে বিষয়টা ছিল- একজন সত্যিকারের মানুষ যার মানবতা ও বিচক্ষণতার প্রকাশ পশু বা অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করে একজন মানব পরিচয়ে পরিচিত করবে।

Related Posts

20 Comments

মন্তব্য করুন