আপনার করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সম্ভাবনা কতটুকু? বলে দিবে আপনার রক্তের গ্রুপ…

রক্তের গ্রুপের কারনে আপনার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা কতটুকু? রক্তের গ্রুপ কি আপনার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নির্ধারণ করতে পারে?
এ নিয়ে থাকছে আজকের এ নিবেদন।
সম্পতি কিছু গবেষণা বলছে যে আপনার রক্তের গ্রুপের ওপরও নির্ভর করে আপনি করনা ভাইরাসে কি পরিমানে আক্রান্ত হতে পারেন।
সম্প্রতি গবেষকরা দাবি করছে যে কিছু কিছু রক্তের গ্রুপ বেশি পরিমানে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার মেয়েদের তুলনায় অনেক কম। গবেষণা আরো বলছে যে আপনার বয়স যদি বেশি হয় তাহলে আপনার আক্রান্তের সম্ভাবনা তত বেশি।
যাদের ক্রনিক স্বাস্থ সমস্যা আছে যেমন ডায়াবেটিস, হার্টে  সমস্যা তাদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। ল্যাটিন আমেরিকানদের আক্রান্তের হার এশিয়দের তুলনায় অনেকাংশে কম যা সাম্প্রতিক গবেষণার সাথে মিলে যায়।
তবে গবেষণা বলছে যে রক্তের গ্রুপও করোনা ভাইরাসে আক্রমনের সম্ভাবনার একটি নির্দেশক হতে পারে।
ইংল্যান্ডের একটি মেডিসিন জার্ণাল “New England medicine journal” একটি গবেষনা করে দেখেছে যে কিছু নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের রোগীর সংখ্যা বেশি। গত মাসের শেষে এমন একটি গবেষণাপত্র তারা প্রকাশ করেছে।
কত ধরনের ব্লাড রয়েছে?
মোট আট ধরনের রক্ত রয়েছে মানব দেহে। যা লোহিত রক্তের এন্টিজেন এর উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে ভাগ করা হয়। যদি শুধুমাত্র এন্টিজেন এ থাকে তাহলে ব্লাড গ্রুপ হবে A, যদি B এন্টিজেন থাকে তাহলে ব্লাড গ্রুপ হবে B, যদি উভয় এন্টিজেন থাকে তাহলে AB এবং যদি কোনো এন্টিজেন না থাকে তাহলে সেটা O গ্রুপের রক্ত।

লোহিত রক্তে এক ধরনের প্রোটিন থাকে যা Rh factor নামে পরিচিত। এটি উপস্থিত থাকলে বলা হয় পজিটিভ যেমন A+, AB+ ইত্যাদি আর অনুপস্থিত থাকলে বলা হয় নেগেটিভ যেমন A-, O- ইত্যাদি।

এভাবে মোট আট ধরনের রক্ত বিদ্যমান। A+, B+, O+, AB+, A-, B-, AB- ও O-।

গবেষকরা দেখেছেন যে মোট পরিক্ষিত জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশে রক্তের গ্রুপ A ( A+ এবং A-)। অর্থাৎ শতকরা ৪৫ জন আক্রান্তের রক্তের গ্রুপ A. এর পরে আছে ও গ্রুপের অবস্থান। শতকরা ৩৫ শতাংশ মানুষ এই O গ্রুপের অন্তর্গত যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে সিরিয়াস আক্রমনের স্বীকার হবে কোন রক্তের গ্রুপ, তা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি।

তবে রক্তের গ্রুপকে মেজর( প্রধাণ) নির্দেশক হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে না। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে A এবং O গ্রুপের আক্রান্তের সম্ভাবনা সর্বোচ্চ দেখানো হলেও এশিয়া অঞ্চলে যেমন বাংলাদেশ, ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান কিংবা শ্রী লংকায় ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে।

সুতরাং এ ধরনের গবেষণা কতটা অর্থবহ সেটাও প্রশ্ন থেকে যায়।

সব শেষে বলতে চাই, সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন। ধন্যবাদ।

Related Posts