আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা একটি উপায় হলো ইউটিউবিং করে আয়।ইউটিউবে ইনকাম করার বেশ কিছু নিয়ম-নীতি ও গাইড লাইন রয়েছে।তাদের নিয়মিত এবং গাইডলাইন না মেনে কাজ করলে আপনি ইউটিউবে আয় করতে পারবেন না।
তার ভিতরে কপিরাইট পলিসি অন্যতম একটি নিয়ম নীতি। অন্যান্য নিয়মের থেকে ইউটিউব সবচেয়ে বেশি ফলো করে কপিরাইট পলিসির দিকে। তাই আমাদের সকলের কপিরাইট পলিসি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা জরুরি। কেননা ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি আপনি না মেনে কাজ করলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব। তাই আর্টিকেলটি যদি আপনি পড়তে ইচ্ছুক হন অবশ্যই শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়তে থাকবে। তাহলে আশা করি ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পারবেন।
ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি 2021?
ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি: ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে। আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কপিরাইট পলিসি না মেনে চলেন তাহলে আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে। তাই অবশ্যই ইউটিউব এ কাজ করতে হলে তাদের কপিরাইট পলিসি সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা থাকতে হবে।
ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে।বিস্তারিত জানার জন্য আগে আমরা কপিরাইট পলিসি দুই প্রকার কি কি এই সম্পর্কে জানব।ইউটিউব এর পলিসি দুই প্রকার কি কি তা নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো:
- কপিরাইট ক্লেইম ইউটিউব এর প্রথম কপিরাইট পলিসি।
- কপিরাইট স্ট্রাইক ইউটিউব এর দ্বিতীয় কপিরাইট পলিসি।
সাধারনত ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি এই দুই প্রকার হয়ে থাকে। তবে এই দুই প্রকার পলিসি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং আলাদা। ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম সম্পর্কে এবার আমরা জানবো
ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম: ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম হল অন্যের কন্টেন বা অন্যের ভিডিও এর কোন কিছু ব্যবহার করলে, ইউটিউব নিজে থেকে আপনাকে একটি কপিরাইট ক্লেইম দেবে।
আপনি যদি অন্যের চ্যানেলের ভিডিও কন্টেন কোয়ালিটি ইমেজ অথবা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক আপনার চ্যানেলে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চ্যানেল কপিরাইট ক্লেইম এর আওতায় পড়বে। তাই অবশ্যই আপনাকে কপিরাইট ক্লেইম এর থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
কপিরাইট ক্লেইম আসলে আপনার চ্যানেলে কি কি সমস্যা হবে?
ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম আসলো কোন সমস্যা হয় না তবে, আপনার চ্যানেল টি যখন মনিটাইজেশন হবে তখন ওই ভিডিওর জন্য আপনি কোন টাকা পাবেন না। অর্থাৎআপনি যার ভিডিও আপনার চ্যানেলে ব্যবহার করেছেন অটোমেটিক্যালি সে ভিডিওর জন্য ভিডিওর আসল মালিকের টাকা চলে যাবে একাউন্টে।
কপিরাইট ক্লেইম থেকে বাঁচার উপায়?
খুব সহজ ভাবেই আপনি কপিরাইট ক্লেইম এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আপনি অন্যের ভিডিওর কোন অংশ কিছুই ব্যবহার করবেন না আপনার ইউটিউব চ্যানেলে। বিশেষ করে অন্য চ্যানেলের ছবি কন্টেন কোয়ালিটি এবং ইমেজ আপনার ভিডিওতে কখনো ব্যবহার করবেন না।
তাহলে আপনি খুব সহজেই কঁপিরাইট প্লেন এর থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বুঝতেই পারছেন ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম আসলে আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন নিজের ভিডিও নিজে তৈরি করার।
ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক: ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম এর থেকে মারাত্মক কপিরাইট স্ট্রাইক। এমনকি ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক খুবই মারাত্মক আপনার জন্য।
আপনি যদি অন্য কোন চ্যানেলের অথবা চুরি করে কিংবা কপি করে অন্যের ভিডিও আপনার চ্যানেলে ব্যবহার করেন তাহলে, ইউটিউব এর আসল ওনার আপনাকে স্ট্রাইক দিবে।মনে রাখবেন ইউটিউবের কপিরাইট ক্লেইম ইউটিউব নিজে থেকে দেয়। কিন্তু ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক ইউটিউব নিজে থেকে দেয় না।
অর্থাৎ আপনার ভিডিওতে আসল মালিকের ইমেইল ঠিকানায় একটি মেসেজ যাবে যদি আপনি ভিডিও কপি করেন। তারপর আসল মালিক তিনি চাইলে আপনাকে সাথে সাথে কপিরাইট স্ট্রাইক দিতে পারে। নানা কারণে ইউটিউবে স্ট্রাইক আসে।
কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে কি করবেন: সর্বপ্রথম কপিরাইট স্ট্রাইক 90 দিন একটিভ থাকে। তাই প্রথমবার কপিরাইট স্ট্রাইক খেলে 90 দিন ভিডিও আপলোড করা থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে অটোমেটিকালি 90 দিন পর আপনার প্রথম স্ট্রাইক ইন একটিভ হয়ে যাবে।
পরবর্তী স্ট্রাইক আসলে 6 মাস একটিভ থাকবে আপনার কপিরাইট স্ট্রাইক। দ্বিতীয় স্ট্রাইক আসলে আপনি দুই সপ্তাহ ধরে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। তাই আপনি চাইলে ছয় মাস পর ভিডিও আপলোড করবেন। কারণ 6 মাস পর দ্বিতীয় স্ট্রাইক চলে যাবে।কিন্তু তৃতীয় স্ট্রাইক এর জন্য আপনাকে কোন নোটিশ পাঠানো হবে না সরাসরি আপনার একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যাবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন ইউটিউবের কপিরাইট স্ট্রাইক কি এবং কিভাবে মুক্তি পেতে পারেন। ইউটিউব এ কাজ করার জন্য এই নিয়মগুলো মানা আপনাদের সকলের জন্য খুবই জরুরী। কারণ এই পলিসি আমরা ভঙ্গ করলে আমাদের একাউন্ট সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ?
- আমাদের ইউটিউবে কাজ করার জন্য কপিরাইট ক্লেইম এবং কপিরাইট স্ট্রাইক থেকে মুক্তি পেতে হবে।
- নিজের সততার ধৈর্য এবং ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে ইউটিউবে কাজ করুন।
- ভুল তথ্য বা ইনফরমেশন বা অশ্লীল ভিডিও বানানো থেকে বিরত থাকুন।
- ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি সম্পর্কে ভালো নলেজ অর্জন করে ইউটিউবে কাজ করুন।
- কোনরকম হ্যাক বা অশ্লীল ভিডিও বা খারাপ ভিডিও আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন না।
- পরিশেষে ধৈর্য সততা এবং পরিশ্রম দিয়ে ইউটিউবে কাজ করতে থাকুন।
আর্টিকেল এর শেষ কথা
পরিশেষেবন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি এপর্যন্তই। আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ করার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আর্টিকেল টিভি ভালো লাগে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে আবারও অসংখ্য ধন্যবাদ। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আশা ব্যক্ত কামনা করে আজকের মত বিদায় নিয়েছে আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।