ইউটিউবে আয় ও প্রফেশন তৈরি পর্বঃ ৩।কিভাবে কন্টেন্ট নির্ধারণ, তৈরি ও পাব্লিস করবেন।

“ইউটিউবিং করে আয় এবং প্রফেশন তৈরি” এর দ্বিতীয় পর্বে আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি স্বাগত। আজকের এই পর্বে আমি আলোচনা করব কিভাবে ইউটিউব এর কন্টেন্ট তৈরি করবেন এবং কনটেন্ট বিষয়ে কিভাবে ইউটিউবিং জ্ঞান অর্জন করবেন, সম্পূর্ণ বিষয়টি আমি আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলব।   

এর আগে একটা জরুরি বিষয় ছিলো।যারা

“ইউটিউবে আয় এবং প্রফেশন তৈরি” টিউটোরিয়ালটির গত পর্বগুলো দেখেন নি,তারা এখনি দেখে আসতে পারেন। তবে এ পর্বটি দেখে নেয়ার পর।গত পর্ব  ২টিতে বলেছিলাম কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন,ভিডিও আপলোড,ইউটিউবের সেটিংস এবং YouTube Studio এপটি ব্যবহার করবেন।

১ম পর্বের লিংকঃএখানে ক্লিক করুন।

২য় পর্বের লিংকঃ এখানে ক্লিক করুন।

প্রথমে বলছি যে ইউটিউবিং করতে হলে আপনাকে নিজস্ব একটি কনটেন্ট এর উপর ভিত্তি করে ইউটিউবিং করা শুরু করতে হবে।

১)কন্টেন্ট বিষয় নির্ধারনঃ

 আপনি আপনার ইউটিউবের যে নাম রেখেছেন তার উপর ভিত্তি করে আপনার কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। যেমনঃ 

ফানি ভিডিওঃআপনার ইউটিউবিং করার মূল যাত্রা যদি হাসির ভিডিও আপলোড করে অথবা ফানি ভিডিও আপলোড তাহলে আপনাকে সে দিকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। 

ব্লগিংঃআবার আপনি যদি একজন ব্লগার হন অর্থাৎ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান এবং তার একটি পূর্ণ ভিডিও আপলোড করতে চান তাহলে একটি ব্লগিং চ্যানেল খুলবেন। 

স্ক্রীন রেকডিংঃ অবশ্যই আপনি চাইলে বিভিন্ন বিষয় ও কন্টেন্ট নির্ধারণ করে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। বিশেষ করে স্ক্রিন রেকর্ডিং। প্রফেশনাল ইউটিউবার অনেক আছে যারা স্ক্রিন রেকর্ডিং করে ভিডিও আপলোড করে মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার  অর্জন করেছে।

টিউটোরিয়ালঃ আবার টিউটোরিয়াল বিষয় নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন।যেমনঃ এইচটিএমএল, ওয়ার্ডপ্রেস,  ওয়েব ডিজাইনিং নিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। 

এক্ষেত্রে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে যে আপনি কোন বিষয়ের উপর ইউটিউব শুরু করবেন।যে বিষয়ের উপর ইউটিউবিং করবেন সে বিষয়গুলোর উপর নজরদারি করতে হবে। প্রথমত আপনার কনটেন্ট এবং এর বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।

অবশ্যই পড়বেনঃ>>Telegram থেকে ইনকাম করুন মাসের ১৫০০০-২০০০০ টাকা

>>প্লে স্টোরে এপ ইন্সটল রিওয়ার্ড নিন মাসে ৩-৫ ডলার ক্রেডিট। ১০০% প্রুফসহ   একদম ফ্রীতে।  

২)কন্টেন্ট খোজাঃ

সাধারণত কন্টেন্ট বিষয় খুজে পেতে যত সময় লাগে সাজিয়ে গুছিয়ে ভিডিও আকারে প্রকাশ করতে ঠিক ততটা সময় লাগেনা। একটা সময় কন্টেন্ট এর বিষয় বের করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। কাজেই আপনি সবসময় কনটেন্ট বের করার কাজে থাকবেন। যখন কোন কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু পেয়ে যাবেন তখন একে কাজে লাগিয়ে, অনেক জ্ঞান অর্জন করে আপনি আপনার টিউটিরিয়াল হিসেবে প্রকাশ করতে পারবেন।

 

ইউটিউবিং করার জন্য কি দরকারঃ

ইউটিউবিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে। সর্বপ্রথম আপনি যদি করে থাকেন তাহলে আপনার কথা হবে স্পষ্ট এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কথার স্পষ্টতা ও সৌন্দর্যের জন্য একজন ভিজিটর কোনো ইউটিউবারকে ভালো লাগলে তাকে সাবস্ক্রাইব করে এবং তার ভিওয়ার্স ও অনেক বেশি হয়।  আপনি যে চ্যানেলে তৈরি করে না কেন, আপনি যখন টিউটোরিয়াল বিষয়ক ভিডিও প্রকাশ করবেন তখন স্ক্রিন রেকর্ডার অ্যাপ ইউজ করতে পারেন। এখন প্রফেশনালি কিভাবে স্ক্রিন রেকর্ডিং করবেন তা নিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলাম এ সাইটে। সেটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

 

স্ক্রিন রেকর্ডিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান, মোবাইল অথবা অ্যান্ড্রয়েড, কম্পিউটার জনিত সমস্যা সমাধান যদি জানেন তাহলে তা ব্যবহার করে একটি বিশেষ বাংলা টিউটোরিয়ালকে ভিডিও বানিয়ে পাব্লিস করতে পারনে। অনেক প্রযূক্তিগত সমস্যা রয়েছে, যেগুলোর বেশির ভাগ সমাধান জানা থাকলে ইউটিউবে পাব্লিস করতে  থাকেন। 

 

ইউনিক কন্টেন্ট নিনঃ

আপনি ইউটিউবে যখন ভিডিও পাবলিশ করবেন তখন অবশ্যই ইউনিক কন্টেন্ট নিবেন।  প্রতিনিয়ত অনেক ভিজিটর ইউটিউবে বা গুগলে সার্চ দেয় অনেক ইউনিক সমস্যার সমাধান বা বিষয় নিয়ে। নিজস্ব বাংলা টিউটোরিয়াল ইউটিউব চ্যানেল না পেলে তারা বিদেশী টিউট্রিয়াল গ্রহণ করে।যা উপলব্ধি হতে সময় লাগে। এবং কেবল কিছুটা উপলব্ধি করতে পারে।কাজেই ওই ইউনিক বিষয়টি নিয়ে যখন আপনি ইউটিউবে বাংলা টিউটোরিয়াল লিখে একটি ভিডিও আপলোড করুন তখন স্বভাবতই বাংলা ভাষাভাষী লোকের আপনার টিউটোরিয়ালটি দেখবে এবং এর ভিউয়ারস বাড়বে। এটাই স্বাভাবিক।

 

অর্থ খরচাপাতিঃ

এবার আপনি ফানি ভিডিও আপলোড করবেন। আপনার অনেক খরচ করতে হবে। বিশেষ করে আপনাকে এইচডি ক্যামেরা, ভিডিও রেকর্ডিং, একজন ভিডিও এডিটর কে সাথে নিয়ে পাশাপাশি অনেক জনকে পার্টনার  করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি সফল হবেন তার সম্ভাবনা অনেক কম। আর আপনার অর্থ এবং টাকা যাবে কিছুটা বেশি।কিন্তু আপনি যদি মোবাইল এন্ড্রয়েড ফোনকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে করতে পারেন তাহলে কোনো খরচই পড়ে না

 

ভিডিও আপলোডের সময় নজরদারীঃ

এখন ইউটিউবে যখন আপনি ভিডিওটি আপলোড করবেন তখন কিছু বিষয়ের উপর নজরদারি রাখতে হবে। প্রথমত আপনি যে ভয়েস রেকর্ডিংটা ভিডিও এর সাথে এড করেছেন সেটা স্পষ্ট কিনা। দ্বিতীয়ত আপনি কোন কোয়ালিটির দিবেন। বিশেষ করে সব সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন 1080p কোয়ালিটি তে দিতে।এতে ভিডিওটি এইচডি মানের হবে। ভিডিওটি আপলোড করার পর আপনাকে দেখতে হবে ভিডিওটির ক্রপ সাইস ঠিক আছে কিনা। যদি ক্রপ সাইস না ঠিক থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। ঠিক করতে হবে। এছাড়া  ভিডিওটিতে অবশ্যই থামনেল এড করতে পারেন। মূলত থাম্বনেল দেখে ভিওয়ার্সরা  আকর্ষন অনুভব করে থাকে, কাজে আপনাকে একটি আকর্ষণীয় থামনেল তৈরি করতে হবে।২ নম্বর পর্বে আমি বলেছিলাম কিভাবে ইউটিউব ভিডিওতে থাম্বনেল এড করতে হয়।যার লিংক আমি সবার উপরে দিয়ে দিয়েছি।

 

তারপর আপনাকে ভিডিও টাইটেল দিতে হবে। আকর্ষণীয় শব্দে এমনভাবে দিবেন যাতে কেউ দেখেই আপনি ভিডিওটি ভিউ করতে চায়। ডেস্ক্রিপশনে আপনি আপনার ফেসবুক গ্রুপের লিংক অথবা এর রিভিও। পরবর্তীতে ভালো করে লিখে দিতে পারেন যে চ্যানেলটি যেন অবশ্যই সাবস্ক্রাইভ করে তার অনুরোধ।

 

আজকের পর্বে আমি কন্টেন্ট তৈরি ও প্রয়োজনীয় সিদ্বান্ত বিষয়ে আলোচনা করলাম।আরো কতগুলো পর্ব থাকবে। সম্পুর্ন ইউটিউবিং জানতে।কাজেই দেখতে ভুলবেন না।দেখা হবে আবারো।ভালো থাকবেন।

 

চলবে…

 

Related Posts