নতুন নতুন যারা ইউটিউব চালানো এবং ভিডিও আপলোড করা শুরু করেছেন তারা হয়তো এই বিষয়টা খুব ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারছেন। ভিডিও আপলোড করছেন অথচ ভিউ আসছে না। চ্যানেলে সাবসক্রাইবার কম। আপনাদের হয়তো মনে হতে পারে, এত কষ্ট করে ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও বানাচ্ছি আর আপলোড করছি তবুও ভিউ আসে না। কেন? ইউটিউব চ্যানেলে ভিউ আসবে কখন আর কিভাবে?
আসল ব্যপারটা হলো, আজকাল অনেক ইউটিউব চ্যানেল এসে গেছে আর সেইসাথে কঠোর হয়েছে কপিরাইট আইন। এছাড়া ইউটিউবে সার্চ করলে প্রতিটি বিষয়ের উপরই ভিডিও পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় নতুন চ্যানেল দাঁড় করানো বেশ কঠিন। তবে একবার চ্যানেল মনিটাইজেশন পেয়ে গেলে এরপর ভিউ আর সাবসক্রাইবার দুটোই বাড়তে থাকবে। কিন্তু এই শুরুর পথটা একটু ধৈর্য্য সহকারে পার করতে হবে। হঠাৎ করে কোনো সফলতাই আসে না।
তার জন্য শ্রম দিতে হয়, ধের্য্য ধরতে হয়। সর্বোপরি, সফলতা না আসা পর্যন্ত লেগে থাকতে হয়। ইউটিউব চ্যানেলের ক্ষেত্রেও তাই। চেষ্টা করবেন যে বিষয়ে আপনি দক্ষ এবং যথেষ্ট জানাশোনা আর চর্চা আছে সেই সংক্রান্ত কন্টেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে। এতে ভিডিওর মান ভালো হয়। এখন সফল হচ্ছি না বলে কি ইউটিউব চালানো বন্ধ করে দিবো? মোটেই নাহ। আপনি নিজের কন্টেন্ট বানান আর আপলোড করতে থাকুন। সফলতা আসবেই। মনে রাখবেন, সপ্তাহে অন্তত দুইটা হলেও ভিডিও আপলোড করতে হবে। আর সেটা প্রতি সপ্তাহেই করতে হবে। নতুবা চ্যানেলের রিচ কমে যাবে।আর কোন ধরণের ভিডিওতে দর্শকের আগ্রহ বেশি সেটা জেনে নিয়ে তবেই ভিডিও আপলোড করুন।
ইউটিউব চ্যানেলে ভিউ আসবে কখন আর কিভাবে? কি কি করণীয়? তা নিচে বর্ণণা করা হলো:
১. কন্টেন্ট নিজের হতে হবে। কপিরাইট হলে চলবে না।
২. এডিটিং ভালো হতে হবে। এতে দর্শক বাড়ে।
৩. বেশ আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করতে হবে যাতে দর্শকের নজর কাড়ে। ৪. এডিটিং ভালো মনের আর ছবি এবং শব্দ স্পষ্ট শোনা যেতে হবে।
৫. ব্যাকগ্রাউন্ডে অযথা শব্দ যাতে না আসে। নয়েজ রিডাকশন করতে হবে।
৬. ভিডিওর কোয়ালিটি ভালো হতে হবে।
৭. মাঝে মাঝে ভিন্ন ধরণের কন্টেন্ট আপলোড করতে হবে।
৮. নতুন কিছু করার চেষ্টা করতে হবে। যেমন: যারা রান্নার ভিডিও আপলোড করছেন, তারা মাঝে মাঝে রান্নার বা কিচেনের কিছু টিপস সহ ভিডিও বানাতে পারেন।
৯. হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করুন।
১০. একটি চমৎকার টাইটেল দিতে হবে ভিডিওতে।
১১. নজর রাখুন কেমন সাড়া পাচ্ছেন আপনার কোন কন্টেন্টে।
সেইমতো নতুন ভিডিও বানান। এভাবে এই নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার চ্যানেল ধীরে ধীরে দর্শক পাবে। আর সাবসক্রাইবারও পাবে। তবে ধৈর্য্য ধরতে হবে। আর কোনো কারণে একটি বা দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেলে তো আর কথাই নেই! আর মনিটাইজেশন পাবার পরে ভিডিও আপলোড করতে হবে। বন্ধ করা যাবে না। আর মনিটাইজেশন চালু হবার পর আপনি ভিডিওর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
আপনারা হয়তো ভাবছেন, আমি এতকিছু কিভাবে জানলাম? কারণ আমি নিজেও নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলেছি আর প্রথম প্রথম আমিও অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলাম। অনেক টিউটেরিয়াল দেখেছি। এরপর দেখলাম, নাহ। এভাবে হবে না। আমাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে আর সময় দিতে হবে। আপনারা চাইলে এই সংক্রান্ত আরও বিস্তারিত জানতে ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিও টিউটেরিয়াল দেখতে পারেন। এছাড়া গুগলেও সার্চ করতে পারেন।
আর কিছু জিনিস আপনি চ্যানেল চালাতে চালাতেই শিখে যাবেন। যেমন- কখন ভিডিও আপলোড দিলে ভালো দর্শক আসে, কি কি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, ভিডিওর মান ভালো হতে হবে আর নিজের তৈরি কন্টেন্ট হতে হবে। সবাই ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। এতক্ষণ ধৈর্য্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের ফেসবুক গ্রুপঃ https://web.facebook.com/groups/grathor.official