Infinix গত মার্চের ১৩ তারিখে একটা স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে যার নাম “Infinix S5 Pro”।এর সব কিছুই জানা গেছে এতদিনে। আমি সিফাত আজকে আপনাদেরকে “Infinix S5 Pro” এর সম্পূর্ণ রিভিউ দিব তো দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক ।
ডিজাইন
এর সামনে ব্যাবহার করা হয়েছে গ্লাস। তবে কোন বা কি গ্লাস ব্যবহার করা হয়েছে তা আমি জানি না। এর ফ্রেম তৈরি করা হয়েছে প্লাস্টিকের এবং পিছে ব্যবহার করা হয়েছে প্লাস্টিক যা পলিকারবোনেট ডিজাইনের সাথে থাকবে। এখানে নানা রকম ক্লার হয়েছে দেওয়া হয়েছে যা থেকে আপনি আপনার মনের মত ক্লার বেছে নিতে পারবেন। এখানে আপনারা তিনটি ক্লার পেয়ে যাচ্ছেন, তিন ক্লার হলো ” Nebula Black” ও “Quetzal Cyan” আর “Violet” তাছাড়াও এর ডিজাইন দেখতে অসাধারণ যা একবার তাকলে আর চোখ ফেরানো যাবে না। আমার মতে এর ডিজাইনে একে ১০ এ ৮.৫০ দেওয়া যায়।
ডিসপ্লে
এতে ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে “আইপিএস ডিসপ্লে” যার আকার হচ্ছে ৬.৫৩ ইঞ্চি। এই ডিসপ্লেতে যেকোন ভিডিও ১০৮০পি তে দেখা যাবে। তবে এতে এত নিডস দেওয়া হয় নি আমার মনে হয়(দেওয়ার পরেও ভালো মত দেখা যায় না, আমি যতটুকু জেনেছি।)।
প্রসেসর
এতে ব্যাবহার করা হয়েছে”Mediatek Helio P35″ চিপসেট। এটি একটি ১২ নেনমিটারের প্রসেসর। এতে সিপিউ হিসেবে দেওয়া হয়েছে “Octa-core”। এতে রয়েছে মোট ৮ টি কোর।
১ম ৪টি কোরের স্পিড হচ্ছে 2.3 গিগাহার্জ যা “Cortex-A53” বেস করে চলবে।
পরের ৪টি কোরের স্পিড হচ্ছে 1.8 গিগাহার্জ যা “Cortex-A53 ” বেস করে চলবে।
এখানে জিপিউ হিসেবে থাকছে “PowerVR GE8320” যা বেশ ভালো একটি জিপিউ।
এই প্রসেসর দিয়ে লং-টাইম গেমিং করলে এর তাপমাত্রা বেড়ে ৪৫°+ সে. এ চলে যায়।
এর র্যাম মেনেজিং দেখে আমি সত্যই অনেক অবাক হয়েছি কারন এটি একসাথে অনেকগুলা এপ মেনেজিং করতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন এটা কিন্তু গেমিং প্রসেসর নয়।
র্যাম রম
এখানে রম হিসেব থাকবে ৪ এবং ৬জিবি এবং র্যাম হিসেবে থাকবে ৬৪ এবং ১২৪ জিবি। তাছাড়াও এখানে এসডি কার্ডের ব্যবহার করা সুবিধা আছে।
ক্যামেরা
এখানে ক্যামেরা হিসেবে পেয়ে যাচ্ছেন কোয়াড্র রিয়ার ক্যামেরা। যার মেইন ক্যামেরা 48 মেগাপিক্সেল এবং এর এফফারচার হচ্ছে 1.8 । তাছাড়াও পাচ্ছেন একটি ২ মেগাপিক্সেলের ডেল স্নেসর যার এফফারচার হচ্ছে ২.৩। আর এখানে আরও পাচ্ছেন একটি “QVGA low light camera sensor”। পর্যপ্ত আলো থাকলে ক্যামেরার ছবির কওয়ালেটি অসাধারণ হয় তবে লাইট কম থাকলে ছবিটা একটু খারাপ হয়ে যায় তবে চালিয়ে নেওয়ার মত। আর ক্যামেরা বেশি ক্ষন চালালে ফোন গেম খেলার মত গরম হয়ে যায় যা খুবই বিরক্তিকর। এর মেইন ক্যামেরা দিয়ে আপনি ১০৮০ পি তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। তবে এখানে থাকছে না কোন অপ্টিকাল ইমেজ ইস্টেবালাইজ। তবে হাতে শক্ত করে ধরলে মোটামুটি ভালো মানের ভিডিও পাওয়া যায়।
সেলফি ক্যামেরা
এখানে পেয়ে যাচ্ছেন একটি 16 মেগাপিক্সেল মোটরওয়াইস সেলফি ক্যামেরা যার এফফারচার হচ্ছে 2.0।
এই ক্যামেরা দিয়ে বেশ ভালোই ছবি তোলা যায় যদি ভালো আলো থাকে তাহলে। আর এটা দিয়ে ১০৮০ পি তে ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। আর থাকছে না কোন অপ্টিকাল ইমেজ ইস্টেবালাইজ।
ব্যাটারি
তে ব্যাবহার করা হয়েছে 4000 এমএইচ ব্যাটারি যা দিয়ে এই ফোন আরাম চেয়ে দিন চলে যাবে। তবে আমার মনে হয় রাত শেষে সামান্য একটু চার্জ দিতে হবে। তাছাড়াও একটানা গেম প্লেইং করলে এভারেজে ৪ ঘন্টা পাড় করে দেওয়া যাবে আর শুধু শোসাল মিডিয়া চালালে দিন রাত নরমালি চলে এবং সকালে কিছুটা চার্জ বাকি থাকবে।
চার্জিং
এখানে আমার দতটুকু মনে হয় ১০/১৫ ওয়াড্রের চার্জার ব্যবহার করা হয়েছে। যদি ১০ ওয়াড্রের চার্জার হয় তাহলে এই ফোনটা চার্জ করতে সময় লাগবে ২:০০-২:৩০ মিনিট আর ১৫ ওয়াড্র হলে ২:৩০-৩:০০ মিনিট লাগতে পারে।
স্নেসর
এখানে সব ধরনের প্রয়োজনীয় স্নেসর আছে। তবে সব চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এখানে 3.5 এমএম অডিও জ্যাক আছে। এখানে চার্জিং প্রোট দেওয়া হয়েছে “টাইপ-প্রোট 2.0″। তাছাড়াও এখানে রয়েছে পিংজার প্রিন্ট যা পিছে আছে।
দাম
এর দাম ধরা হয়েছে বাংলাদেশী টাকায় ১০০০০ টাকা তবে এর দাম যদি আর সামান্য কিছু কম রাখা হত তাহলে মনে হয় ভালো হত।
ধন্যবাদ। কমেন্ট করে জানান যে কেমন লাগলো আপনার এই ফোনটি। আর কিছু দিনের মধ্যে আরেকটি ফোনের রিভিউ আসছে তাই পাশে থাকুন।