ইন্টারনেটের কিছু ব্যবহারিক সুবিধা

হ্যালো বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন? ভালো আছেন তো? আশা করি শীতের এই তিক্ত সময়েও আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন। আমিও বেশ ভালো আছি। আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই করি সব সময়। আজ আমি নতুন আরো একটি পোষ্ট নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।

আজকের পোষ্টের বিষয়— ইন্টারনেটের কিছু ব্যবহারিক সুবিধা নিয়ে। বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেট যখন সকলের কাছেই জনপ্রিয়, তখন ইন্টারনেটের কিছু ব্যবহারিক সুবিধা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই অবগত হওয়া উচিত। ইন্টারনেটের কিছু ব্যবহারিক সুবিধা—

ইন্টারনেটের কিছু ব্যবহারিক সুবিধা

 

 

ইন্টারনেট একটি বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ মাধ্যম। ইন্টারনেটের কল্যানেই মানুষ আজ সারা পৃথিবীকে একই সাথে জানতে পাচ্ছে। তাই ইন্টারনেটের ব্যবহার দিন দিন দ্রুত হারে বেড়ে যাচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যতীত আজ অনেক কিছুই আর সম্ভব নয়।

ইন্টারনেটের সুযোগ সুবিধাঃ বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ প্রক্রিয়া হিসেবে ইন্টারনেটের সুবিধাও বিশ্বব্যাপী ব্যাপক বিস্তৃত। নিচে ইন্টারনেট ব্যবহারে প্রধান প্রধান সুবিধাগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

১. তথ্য ও যোগাযোগঃ ইন্টারনেট বিপুল তথ্যের এক বিশাল ভান্ডার। পৃথিবীর যত্রতত্র  ছড়িয়ে থাকা সংবাদগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে জড়ো করে তৈরি হয় তথ্য বিশ্ব। যে কোনো তথ্যের সহজ সমাধান হলো ইন্টারনেট। যোগাযেগের ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের ভূমিকা অগ্রগণ্য। আকাশপথ, স্থলপথ ও জলপথ এর যাবতীয় যাতায়াত ও যোগাযোগের যে কোনো তথ্য আজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজেই জানা যায়।

২. ব্যবসার বাণিজ্যঃ ইন্টারনেট আজ ব্যবসায় বাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সন্ধান দিয়েছে। ব্যবসায়ী তার প্রস্তুুতকৃত বিভিন্ন পণ্যের যাবতীয় তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার কাক্ষিত পণ্য খুৃঁজে পায়  এবং জানতে পারে উক্ত পণ্যের ব্যবহার ও যাবতীয় গুণাগুন।

৩. শিক্ষা ও গভেষণাঃ শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট নতুন মাত্রা যোগ করেছে। আজ শিক্ষার্থী ক্লাসে না গিয়েও ইন্টারনেটের কল্যানে পারে ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে এবং শিক্ষককে প্রশ্ন করে প্রয়োজনীয় উত্তরটি জেনে নিতে পারে।

৪. ইলেকট্রনিক মেইলঃ ইমেইল বা ইলেকট্রনিক মেইল এক চমৎকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। এক ইন্টারনেট বয়বহারকারী অন্য এক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর নিকট কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে পারে সংবাদ পৌঁছে দিতে।

৫. বিনোদনঃ বিনোদনের জগতে ইন্টারনেট এক অদ্বিতীয় ব্যবস্থা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আজ অন লাইনে রেডিও, টেলিভিশন, সিনেমা, ম্যাগাজিন ইত্যাদি বিনোদন উপভোগ করা যায়। তাছাড়া পৃৎিবীর অপর প্রান্তের বন্ধুর সাথে ইন্টারনেটে বসে জমিয়ে আড্ডা দেওয়া এক মজার ব্যাপার।

৬. ইন্টারনেট সেবাঃ ইন্টারনপট থেকে বর্তমানে নানাবিধ সেবা পাওয়া যায়। যেমন— ভিডিও কনফারেন্সিং, Ip Phone, Usenet, Telenet, FTP, WWW, Veronica, Gofer ইত্যাদি।

পরিশেষে বলতে পারি যে, ইন্টারনেট প্রযুক্তি আজ সারা পৃথিবীর মানুষের হাতের মুঠেয় নিয়ে এসেছে। ফলে দিন দিন এর ব্যবহারের সুযেগ, সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলেছে।

আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত পোষ্ট পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও নিজেদের উপকারে আসবে।

আজকে এ পর্যন্তই।
ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন। সামনে নতুন এক টপিক নিয়ে যেন আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসতে পারি তার জন্য দোয়া রাখবেন।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।

Related Posts