ইন্টারনেটে প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচার উপায়

আপনি এখন ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত আছেন বলেই এই আর্টিকেলটি পড়তে পারছেন। ইন্টারনেট যেমন সুফল দেবে তেমনি বিশ্বজুড়ে কতিপয় এমন দুষ্কৃতকারীও রয়েছে যারা তাদের অপরাধ মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেটকে বেছে নিয়েছে। এজন্যই বর্তমানে সাইবার ক্রাইম নামের আলাদা একটি অপরাধ জগৎ তৈরি হয়েছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় আপনার মেইল কিংবা ব্রাউজারে বা পপআপ ব্রাউজারে প্রায়ই অনেক লোভনীয় অফার যেমন- বিরাট অংকের টাকা বা অন্য কোনো বস্তু ইত্যাদি দেবার জন্য আপনাকে প্রলুব্ধ করতে পারে। সব সময় সযতনে এ জাতীয় অফার থেকে বিরত থাকুন। যেমন-আপনি কখনো লটারি কেনেন নি বা কোনো ড্র-তে অংশগ্রহণ করেননি অথচ দেখছেন আপনার মেইলে একটি মেইল এসেছে যে আপনি কয়েক লাখ ডলার জিতেছেন। এটি পাওয়ার জন্য আপনার ক্লেইম দাখিল করুন। এ মেইল গুলোতে কোনো অসঙ্গতি পাওয়া যাবে না। সব কিছু ঠিকঠাক থাকবে। মেইল অ্যাড্রেস, ডোমেইন সবই থাকবে, কিন্তু আসলে এগুলো প্রতারণার জন্য পাতা ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। এ মেইলে সাড়া দেওয়ার পর আপনার কিছু অর্থ কোনোভাবে হাতিয়ে নেবে এরা।

আবার অনেক সময় কিছু কিছু মেইল আসে এমন সব ম্যাসেজ নিয়ে যে কেউ নিজে প্রচুর টাকার মালিক, কিন্তু টেকনিক্যাল অসুবিধার কারণে সে নিজ নামে টাকাটি তুলতে পারবে না। আপনার নামে টাকাটি পাঠাতে চায় এবং এর জন্য একটি বিরাট কমিশন আপনাকে দেয়া হবে। এটা আর নিঃসন্দেহে চিটিংবাজি। এ মেইলগুলো রেসপন্স করে থাকলে তারা আপনাকে কিছু ডলার বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানাবে। ঐ ডলার টুকু হাতিয়ে নিতেই এতো ভনিতা।

এমনকি তারা মানবিকতা জাগাবার জন্য অসুস্থতার কথা বলে, অসুস্থ অবস্থার ছবি পাঠিয়েও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু এসব মেইল থেকে সর্বদা সাবধান থাকার চেষ্টা করুন। কেননা আপনি যদি বোকা হয়ে যান তবে এদের অর্থ দিয়ে প্রতারিত হবেন। আর যদি মনে করেন টাকা দিয়ে দেখি এরা কি করে তাহলে কেবল সময় নষ্ট হবে। আমার মতে, কখনোই ইন্টারনেট থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম এবং প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানির যোগাযোগ ব্যতীত কোনো ধরনের অফার বা আর্থিক লেনদেনে জড়িত না হলেই ইন্টারনেটে আপনি প্রতারিত হবেন না।

শুধু যে অর্থের মাধ্যমেই আপনি প্রতারিত হতে পারেন এমনটা কিন্তু মোটেও নয়। আপনি বিভিন্ন তথ্যের দ্বারাও প্রতারিত হতে পারেন। প্রতারক চক্র আপনার সাথে বিভিন্ন উপায়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করতে পারে। এ বিপদ থেকে বাঁচতে আপনাকেই সর্বদা চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে। তাহলেই আপনি ইন্টারনেটে নিজেকে নিরাপদে রাখতে পারবেন। ইন্টারনেট নিরাপত্তা জিনিসটা আসলে কি? এটা কিভাবে করা যায়? ইত্যাদি বিষয় গুলো সম্পর্কে এখন থেকে জানা শুরু করুন। তাহলে ভবিষ্যতে আপনি যদি এসব সমস্যার সন্মুখিন হয়েও যান তাহলে তৎক্ষণাৎ কি করতে হবে তা আপনি বুঝতে পারবেন।

আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা কমেন্টে জানিয়ে দিন এবং আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। ধন্যবাদ।

Related Posts

17 Comments

মন্তব্য করুন